সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার ইসলামকাটি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে সরকারি জমি নামজারিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি ক্রয় বিক্রয়ের জন্য নামজারি করতে গিয়ে ভূমি অফিসে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা কম নয়।
সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা ঘুষ আদায় করছেন তালার ইসলামকাটি ভূমি অফিসের নায়েব আব্দুল জলিল। তার ঘুষ বাণিজ্য অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জমির মালিকরা।বাংলাদেশ সরকার ভূমির নামজারির ফি ১ হাজার ৭০ টাকা নির্ধারণ করলেও তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। ৫ আগস্টের পর তার ঘুষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ।
ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এর আগেও বরখাস্ত হয়েছিলেন তিনি। বিভাগীয় মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গোপন তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে তার কর্মস্থলে পুনরায় পদায়ন পান। অভিযোগ উঠেছে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আব্দুল জলিল ঘুষের লেনদেনকে নিয়মে পরিণত করে ফেলেছেন। সে নামজারির জন্য ঘুষের রেট বেঁধে দিয়েছেন। এ বিষয়ে কোনো লাজলজ্জার বালাই নেই।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সেবা নিতে আসা জমির মালিকরা বলেন, জমির নামজারি করতে গেলে সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকা,
এক'শ টাকার খাজনা এক হাজার টাকা থেকে পনেরো শত টাকা। ১৪৫ ধারার মামলার তদন্ত তিন হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা। পেরিফেরি দোকান বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলে ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন নায়েব আব্দুল জলিল।
প্রতি ভলিয়ম বই তলবের জন্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। ত্রুটিপূর্ণ কাগজপত্রে জমির নামজারি করতে গেলে ২০ হাজার ৫০ হাজার টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেন। বেশিরভাগ জমির নামজারির ফাইল সরাসরি ও দালালদের মাধ্যমে গ্রহণ করেন।
জানা যায়, ভূমি অফিসের কম্পিউটারের গোপন পাসওয়ার্ড পার্শ্ববর্তী বাজারে কম্পিউটার দোকানে হস্তান্তর করে ভুয়া নামজারির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় নায়েব আব্দুল জলিল।
অভিযোগ উঠেছে ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) আব্দুল জলিল তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন একাধিক ব্যক্তি। তালা ডুমুরিয়া গ্রামের আনোয়ারা বেগম, রুনা খাতুন, রানি পারভীন, রত্না বেগম ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম ওয়ারেশ সূত্রে পাওয়া জমির নামজারি করতে গেলে নায়েব আব্দুল জলিল ৭০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। চুক্তি অনুযায়ী তারা ৬৮ হাজার নগদ প্রদান করে। নামজারি আবেদন করলে নায়েব আব্দুল জলিল ২৫/৯/২৩ ইং তারিখে দুইটা নামজারি করার জন্য । যাহার মামলা নং ২৪৩৪ ও ২৪৩৬ । আবেদন কারী আনোয়ারা, রুনা খাতুন ও রানি পারভীনের নামজারি এখনো পর্যন্ত করে দেয়নি।
ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে আজ-কাল দেবো বলে শুধু কালক্ষেপণ করে আসছে। এক পর্যায়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক অভিযোগ করলে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন। সেই সাথে আব্দুল জলিলকে খলিলনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলি করেন।
তথ্যসূত্রে, ইসলামকাটি ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকেই ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু করেছেন। গণডাঙ্গা মৌজার ক-তফসিলভুক্ত সরকারি জমি নামজারি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গণডাঙ্গা মৌজার জে,এল নাম্বার ৬২ । সাবেক দাগ নং ২৬৯ ও হাল দাগ নং ৫৮৯ এর জমির পরিমাণ ১১ শতক সরকারি জমি নামজারি করে দিয়েছে। যাহার মিউটেশন আবেদন নং ৬৮৯৮৩৮৩ ও মিউটেশন মামলা নাম্বার ৫২২০।জানা যায়, নামজারি সহ খাজনা বাবদ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে আবেদন কারীর আবেদন মোতাবেক ২৬/২/২৫ ইং তারিখে তিনি নামজারি প্রদান করে। পরবর্তীতে সেই জমি ২৭/৩/২০২৫ ইং তারিখে বিক্রি করে দেয়। যাহার দলিল নং ১১৭৯ । জমি গ্রহীতা আকবার সরদার ঢ্যামসাখোলা গ্রামের পিতা নুর আলী সরদারের পুত্র। জমি দাতা তার আপন ভাই আজগর আলী।
সূত্র জানায়, এক লক্ষ টাকার ঘুষের বিনিময়ে সুজনশাহা মৌজায় ক-তফসিলভুক্ত সরকারি জমি মেহেদী ও তাহমিনা নামে নামজারি করে দিয়েছে। যাহার তথ্য চাইলে নায়েব আব্দুল জলিল দিতে অস্বীকার করে। রাজনৈতিক কোনো দল ক্ষমতায় আসলে তখন সেই দলের পরিচয়ে চলেন।
এসব বিষয়ে নায়েব আব্দুল জলিলের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরার ইসলামকাটি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে সরকারি জমি নামজারিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি ক্রয় বিক্রয়ের জন্য নামজারি করতে গিয়ে ভূমি অফিসে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা কম নয়।
সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা ঘুষ আদায় করছেন তালার ইসলামকাটি ভূমি অফিসের নায়েব আব্দুল জলিল। তার ঘুষ বাণিজ্য অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জমির মালিকরা।বাংলাদেশ সরকার ভূমির নামজারির ফি ১ হাজার ৭০ টাকা নির্ধারণ করলেও তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। ৫ আগস্টের পর তার ঘুষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ।
ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এর আগেও বরখাস্ত হয়েছিলেন তিনি। বিভাগীয় মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গোপন তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে তার কর্মস্থলে পুনরায় পদায়ন পান। অভিযোগ উঠেছে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আব্দুল জলিল ঘুষের লেনদেনকে নিয়মে পরিণত করে ফেলেছেন। সে নামজারির জন্য ঘুষের রেট বেঁধে দিয়েছেন। এ বিষয়ে কোনো লাজলজ্জার বালাই নেই।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সেবা নিতে আসা জমির মালিকরা বলেন, জমির নামজারি করতে গেলে সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকা,
এক'শ টাকার খাজনা এক হাজার টাকা থেকে পনেরো শত টাকা। ১৪৫ ধারার মামলার তদন্ত তিন হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা। পেরিফেরি দোকান বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলে ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন নায়েব আব্দুল জলিল।
প্রতি ভলিয়ম বই তলবের জন্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। ত্রুটিপূর্ণ কাগজপত্রে জমির নামজারি করতে গেলে ২০ হাজার ৫০ হাজার টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেন। বেশিরভাগ জমির নামজারির ফাইল সরাসরি ও দালালদের মাধ্যমে গ্রহণ করেন।
জানা যায়, ভূমি অফিসের কম্পিউটারের গোপন পাসওয়ার্ড পার্শ্ববর্তী বাজারে কম্পিউটার দোকানে হস্তান্তর করে ভুয়া নামজারির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় নায়েব আব্দুল জলিল।
অভিযোগ উঠেছে ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) আব্দুল জলিল তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন একাধিক ব্যক্তি। তালা ডুমুরিয়া গ্রামের আনোয়ারা বেগম, রুনা খাতুন, রানি পারভীন, রত্না বেগম ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম ওয়ারেশ সূত্রে পাওয়া জমির নামজারি করতে গেলে নায়েব আব্দুল জলিল ৭০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। চুক্তি অনুযায়ী তারা ৬৮ হাজার নগদ প্রদান করে। নামজারি আবেদন করলে নায়েব আব্দুল জলিল ২৫/৯/২৩ ইং তারিখে দুইটা নামজারি করার জন্য । যাহার মামলা নং ২৪৩৪ ও ২৪৩৬ । আবেদন কারী আনোয়ারা, রুনা খাতুন ও রানি পারভীনের নামজারি এখনো পর্যন্ত করে দেয়নি।
ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে আজ-কাল দেবো বলে শুধু কালক্ষেপণ করে আসছে। এক পর্যায়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক অভিযোগ করলে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন। সেই সাথে আব্দুল জলিলকে খলিলনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলি করেন।
তথ্যসূত্রে, ইসলামকাটি ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকেই ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জলিল সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু করেছেন। গণডাঙ্গা মৌজার ক-তফসিলভুক্ত সরকারি জমি নামজারি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গণডাঙ্গা মৌজার জে,এল নাম্বার ৬২ । সাবেক দাগ নং ২৬৯ ও হাল দাগ নং ৫৮৯ এর জমির পরিমাণ ১১ শতক সরকারি জমি নামজারি করে দিয়েছে। যাহার মিউটেশন আবেদন নং ৬৮৯৮৩৮৩ ও মিউটেশন মামলা নাম্বার ৫২২০।জানা যায়, নামজারি সহ খাজনা বাবদ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে আবেদন কারীর আবেদন মোতাবেক ২৬/২/২৫ ইং তারিখে তিনি নামজারি প্রদান করে। পরবর্তীতে সেই জমি ২৭/৩/২০২৫ ইং তারিখে বিক্রি করে দেয়। যাহার দলিল নং ১১৭৯ । জমি গ্রহীতা আকবার সরদার ঢ্যামসাখোলা গ্রামের পিতা নুর আলী সরদারের পুত্র। জমি দাতা তার আপন ভাই আজগর আলী।
সূত্র জানায়, এক লক্ষ টাকার ঘুষের বিনিময়ে সুজনশাহা মৌজায় ক-তফসিলভুক্ত সরকারি জমি মেহেদী ও তাহমিনা নামে নামজারি করে দিয়েছে। যাহার তথ্য চাইলে নায়েব আব্দুল জলিল দিতে অস্বীকার করে। রাজনৈতিক কোনো দল ক্ষমতায় আসলে তখন সেই দলের পরিচয়ে চলেন।
এসব বিষয়ে নায়েব আব্দুল জলিলের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আদমপুর আবাসন প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগেধানমন্ডিতে ঝটিকা মিছিল পরিকল্পনাকারী সজীবুল ইসলাম হৃদয়সহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি
২ দিন আগেআটক ফারদিন মিয়ার বরাতে ডিবি পরিদর্শক ছগির হোসেন জানান, নিহত বাবু ও আটক ফারদিন সপ্তাহ খানিক আগে কক্সবাজারে ঘুরতে যান। সেখান থেকে তারা মোটরসাইকেলযোগে সড়কপথে ফেরার পথে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান বহন করছিল
২ দিন আগেকোপা মাসুদ ও তার সহযোগীদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখতেন তারা
২ দিন আগেঝিনাইদহের মহেশপুরে চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আদমপুর আবাসন প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।
ধানমন্ডিতে ঝটিকা মিছিল পরিকল্পনাকারী সজীবুল ইসলাম হৃদয়সহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি
আটক ফারদিন মিয়ার বরাতে ডিবি পরিদর্শক ছগির হোসেন জানান, নিহত বাবু ও আটক ফারদিন সপ্তাহ খানিক আগে কক্সবাজারে ঘুরতে যান। সেখান থেকে তারা মোটরসাইকেলযোগে সড়কপথে ফেরার পথে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান বহন করছিল
কোপা মাসুদ ও তার সহযোগীদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিল সাধারণ মানুষ। প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখতেন তারা