শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যা করে পালাল যুবক

প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
Thumbnail image
মরদেহগুলো ধরে স্বজনের আহাজারি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় আমির হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মনোমালিন্য নিয়ে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামে ওই দুজন খুন হন। ঘটনার পর থেকে আমির পলাতক।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার রাতের কোনো এক সময় ওই দুজনকে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত রওশন আলীর মেয়ে যূঁথী আক্তার ও তার ছোট বোন স্মৃতি।

পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, দেড় বছর আগে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার জামতলী গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে সামিউল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় যূঁথী আক্তারের। যূঁথী এক মাস আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরই মধ্যে সামিউল যূঁথীকে ফিরে যেতে বলে, কিন্তু যূঁথী রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরে গত সপ্তাহে সামিউল তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। রোববার রাতে সামিউল তার শ্যালক জাহেদ ভূঁইয়াকে সাথে নিয়ে এক কক্ষে এবং যূঁথী ও স্মৃতি অন্য কক্ষে শুয়ে পড়ে। রাতে ঘরের ভেতর দুলাভাই সামিউলের সন্দেহজনক চলাফেরায় সন্দেহ হয় শ্যালক জাহেদের। একপর্যায়ে সে তার দুলাভাইকে খুঁজে না পেয়ে বোনের কক্ষে গেলে সেখানে সে তাদের মরদেহ দেখতে পায়।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্তসহ ঘাতক স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

হত্যা নিয়ে আরও পড়ুন

সুন্দরবনের আদাচাইরে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে দুর্ধর্ষ ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্যকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক করা করেছে।

১ দিন আগে

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক হুইপ ও খুলনা-১ সাবেক সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

৪ দিন আগে

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

৪ দিন আগে

নরসিংদী গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. ইকরামুল হাসান চৌধুরি যেন টাকার মেশিন। ছোট চাকুরি করেও রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ঘুষ নেন অভিনব কায়দায়। থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নিজেকে আড়াল করে রাখতেই বেশী পছন্দ করেন তিনি। দিনের বেলায় অফিসে আসেন না এই কর্মকর্তা।

৬ দিন আগে