এইচ এম প্রফুল্ল
খাগড়াছড়িতে সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মিত খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার স্ত্রী কেমি চাকমার মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট বাঁশ ঝড়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার(১৭ জুন দুপুরে) দুদক রাঙ্গামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহমদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে উপস্থিত সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানান, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে সড়ক বিভাগের ১৮০ ফুট জায়গা দখল করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য দফায় দফায় চিঠি দেওয়ার হলেও তিনি চিঠির কোনো জবাব দেননি।
দুদুক কর্মকর্তা আহমদ ফরহাদ হোসেন জানান,অবৈধভাবে সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে রেস্টুরেন্ট নির্মাণে সড়ক বিভাগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিচালিত অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। একই সময় আরো পাঁচটি স্থানে অভিযান চালায় দুদুক।
অভিযোগ রয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালীন স্ত্রীর নামে নির্মিত রেস্টুরেন্টে যাতায়াতের সুবিধার্থে সরকারি অর্থে খাগড়াছড়ি সদরে হাতির কবর সংলগ্ন স্থানে ৬ লাখ ৯২ হাজার ২৫ টাকা ব্যয়ে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করেন।
খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের হাতির কবরের বিপরীতে সড়কের পাকা নির্মিত বাশ ঝাড় রেস্টুরেন্টটি তার স্ত্রী কেমি চাকমাকে মালিক হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় স্টোর রুম এবং শৌচাগার,ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে লাইভ কিচেন ও রেস্টুরেন্ট। তৃতীয় তলায় বিশ্রামাগার। ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত ঢালাই শেষ হয়েছে।
খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের পাশাপাশি,সরকারি গাড়িতে ইট, বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন,পরিবারের বাজার থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে সরকারি গাড়ি ব্যবহার,দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই শ্রমিকের মৃত্যু এবং পাঁচ শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হলেও প্রভাব খাটিয়ে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করা ও জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ অন্য সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া ও হয়রানির অভিযোগে বিক্ষোভ হয়।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সুপারিশে ২০২৪ সালের ৭ মার্চ তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি এলজিইডিতে বদলি হয়ে আসেন। তার আগে তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে বদলি হয়ে আসর পেছনেও খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সুপারিশ ছিল। তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর বিকেলে জেলা পরিষদের নতুন ভবনের কেন্ডিলিবারের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক নিহত ও ৫ শ্রমিক আহত হন। অভিযোগ ছিল, শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় ছাদ ঢালাইয়ে লোহার খুঁটির পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছিল। সেন্টারিং সিস্টেম ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ঘটনার পর জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকার সুরাজ খানের ছেলে জালাল খান বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতে পিটিশন দিলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য সে সময়কার নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে বাদীকে আপসনামা দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তৃপ্তি শংকর চাকমার নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম গত ২৪ মার্চ নিখাদ খবরে এক বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
খাগড়াছড়িতে সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মিত খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার স্ত্রী কেমি চাকমার মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট বাঁশ ঝড়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার(১৭ জুন দুপুরে) দুদক রাঙ্গামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহমদ ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে উপস্থিত সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানান, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে সড়ক বিভাগের ১৮০ ফুট জায়গা দখল করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য দফায় দফায় চিঠি দেওয়ার হলেও তিনি চিঠির কোনো জবাব দেননি।
দুদুক কর্মকর্তা আহমদ ফরহাদ হোসেন জানান,অবৈধভাবে সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে রেস্টুরেন্ট নির্মাণে সড়ক বিভাগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিচালিত অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। একই সময় আরো পাঁচটি স্থানে অভিযান চালায় দুদুক।
অভিযোগ রয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালীন স্ত্রীর নামে নির্মিত রেস্টুরেন্টে যাতায়াতের সুবিধার্থে সরকারি অর্থে খাগড়াছড়ি সদরে হাতির কবর সংলগ্ন স্থানে ৬ লাখ ৯২ হাজার ২৫ টাকা ব্যয়ে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করেন।
খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের হাতির কবরের বিপরীতে সড়কের পাকা নির্মিত বাশ ঝাড় রেস্টুরেন্টটি তার স্ত্রী কেমি চাকমাকে মালিক হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় স্টোর রুম এবং শৌচাগার,ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে লাইভ কিচেন ও রেস্টুরেন্ট। তৃতীয় তলায় বিশ্রামাগার। ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত ঢালাই শেষ হয়েছে।
খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে পাঁচতলা ভবন নির্মাণের পাশাপাশি,সরকারি গাড়িতে ইট, বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন,পরিবারের বাজার থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে সরকারি গাড়ি ব্যবহার,দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুই শ্রমিকের মৃত্যু এবং পাঁচ শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হলেও প্রভাব খাটিয়ে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করা ও জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ অন্য সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া ও হয়রানির অভিযোগে বিক্ষোভ হয়।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সুপারিশে ২০২৪ সালের ৭ মার্চ তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি এলজিইডিতে বদলি হয়ে আসেন। তার আগে তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে বদলি হয়ে আসর পেছনেও খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সুপারিশ ছিল। তৃপ্তি শংকর চাকমা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর বিকেলে জেলা পরিষদের নতুন ভবনের কেন্ডিলিবারের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক নিহত ও ৫ শ্রমিক আহত হন। অভিযোগ ছিল, শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় ছাদ ঢালাইয়ে লোহার খুঁটির পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছিল। সেন্টারিং সিস্টেম ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ঘটনার পর জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকার সুরাজ খানের ছেলে জালাল খান বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতে পিটিশন দিলে বিচারক মো. ফরিদুল আলম এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য সে সময়কার নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে বাদীকে আপসনামা দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তৃপ্তি শংকর চাকমার নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম গত ২৪ মার্চ নিখাদ খবরে এক বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
মাই টিভি চেয়ারম্যানের ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ।
৩ ঘণ্টা আগেবৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া কিছু ট্রলার ঘাটে ফিরছিল। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা আমাদের ঘাটের দুটি ট্রলারসহ ১৪ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ট্রলারের মালিক টেকনাফের ডেইল পাড়ার ফরিদ আলম, অপরটির নাইট্যংপাড়ার ছৈয়দ আলম
৮ ঘণ্টা আগেঅবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী কমিশনার (এএসপি) মো. আরিফুজ্জামান।
৯ ঘণ্টা আগেছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী-শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিন বছরের এক শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায়ও নিহত এই চারজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এমনকি চার মরদেহের দাবিদারও কেউ হাসপাতাল কিংবা পুলিশের শরণাপন্ন হয়নি
৯ ঘণ্টা আগেমাই টিভি চেয়ারম্যানের ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া কিছু ট্রলার ঘাটে ফিরছিল। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা আমাদের ঘাটের দুটি ট্রলারসহ ১৪ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ট্রলারের মালিক টেকনাফের ডেইল পাড়ার ফরিদ আলম, অপরটির নাইট্যংপাড়ার ছৈয়দ আলম
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী কমিশনার (এএসপি) মো. আরিফুজ্জামান।
ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী-শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিন বছরের এক শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায়ও নিহত এই চারজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এমনকি চার মরদেহের দাবিদারও কেউ হাসপাতাল কিংবা পুলিশের শরণাপন্ন হয়নি