নীলফামারী

নীলফামারীতে হু হু করে ভোগ্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারণ দিশেহারা হয়ে পরেছে। ব্যবসায়ীরা এই মুল্যবৃদ্ধিকে অপর্যাপ্ত সরবরাহের কারণ বলে অজুহাত তুলছেন।
জেলা জুড়ে খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারে চাল, গম, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, আদা, রসুন, পেঁয়াজ এবং আলুর মতো প্রধান খাদ্যদ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। এতে ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের চাপ মধ্যম ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলিকে বহন করতে হচ্ছে।
শাখামাচা বাজার, বড় বাজার, নতুন বাজার, সাহেব বাজার এবং নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েককটি পাইকারি বাজারে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, দাম প্রতিদিন বাড়ছে। বাজারগুলোতে প্রশাসনের কোন তদারকি নেই।
সদর উপজেলার মাষ্টারপাড়ার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সবজির দাম হঠাৎ করে বেড়েছে। আজ আমি এক কেজি কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকায় কিনেছি, যেখানে গত সপ্তাহে একই পরিমাণ ছিল মাত্র ১০০ টাকা। আলু ছাড়া আর কোনও সবজি ৬০ টাকার কম দামে বিক্রি হচ্ছে না। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চালের বাজারও অস্থির। ফলস্বরূপ, আমাদের মতো পরিবারগুলি দৈনন্দিন খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।’

নীলফামারী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর ছাত্রী রোকসানা পারভীনও একই রকম অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। "আমি আমার রুমমেটের সাথে একটি ছাত্রীনিবাসে থাকি, কারণ আমার বাড়ি কলেজ থেকে অনেক দূরে। আমরা প্রতিদিন বড় বাজার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনি। বর্তমানে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকা, ছাগলের মাংস ১,০০০-১,১০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা, ফার্ম মুরগি ৩০০-৩৩০ টাকা এবং পোল্ট্রি মুরগি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন ফার্ম ডিমের দাম ১৬০-১৭০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি ২৬০ টাকার কম দামে কোনও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।’
ঊর্ধ্বমূখি দামের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষরা চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী মোড়ের ৪৫ বছর বয়সি রিকশাচালক আব্দুল বাতেন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, "নিম্ন আয়ের মানুষ হিসেবে, আমি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের সাথে তাল মেলাতে পারছি না। আমি স্বল্প আয়ের মানুষ, এবং আমি আমার পরিবারকে সাহায্য করতে হিমশিম খাচ্ছি।"
এদিকে, অনেকে অভিযোগ করেছেন যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য পণ্য মজুদ করছে। নীলফামারীর সচেতন নাগরিকরা বাজার তদারকি জোরদার করার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নীলফামারীতে হু হু করে ভোগ্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারণ দিশেহারা হয়ে পরেছে। ব্যবসায়ীরা এই মুল্যবৃদ্ধিকে অপর্যাপ্ত সরবরাহের কারণ বলে অজুহাত তুলছেন।
জেলা জুড়ে খুচরা ও পাইকারি উভয় বাজারে চাল, গম, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল, আদা, রসুন, পেঁয়াজ এবং আলুর মতো প্রধান খাদ্যদ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। এতে ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের চাপ মধ্যম ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলিকে বহন করতে হচ্ছে।
শাখামাচা বাজার, বড় বাজার, নতুন বাজার, সাহেব বাজার এবং নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েককটি পাইকারি বাজারে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, দাম প্রতিদিন বাড়ছে। বাজারগুলোতে প্রশাসনের কোন তদারকি নেই।
সদর উপজেলার মাষ্টারপাড়ার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সবজির দাম হঠাৎ করে বেড়েছে। আজ আমি এক কেজি কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকায় কিনেছি, যেখানে গত সপ্তাহে একই পরিমাণ ছিল মাত্র ১০০ টাকা। আলু ছাড়া আর কোনও সবজি ৬০ টাকার কম দামে বিক্রি হচ্ছে না। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চালের বাজারও অস্থির। ফলস্বরূপ, আমাদের মতো পরিবারগুলি দৈনন্দিন খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।’

নীলফামারী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর ছাত্রী রোকসানা পারভীনও একই রকম অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। "আমি আমার রুমমেটের সাথে একটি ছাত্রীনিবাসে থাকি, কারণ আমার বাড়ি কলেজ থেকে অনেক দূরে। আমরা প্রতিদিন বড় বাজার থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনি। বর্তমানে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকা, ছাগলের মাংস ১,০০০-১,১০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা, ফার্ম মুরগি ৩০০-৩৩০ টাকা এবং পোল্ট্রি মুরগি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন ফার্ম ডিমের দাম ১৬০-১৭০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি ২৬০ টাকার কম দামে কোনও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না।’
ঊর্ধ্বমূখি দামের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষরা চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী মোড়ের ৪৫ বছর বয়সি রিকশাচালক আব্দুল বাতেন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, "নিম্ন আয়ের মানুষ হিসেবে, আমি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের সাথে তাল মেলাতে পারছি না। আমি স্বল্প আয়ের মানুষ, এবং আমি আমার পরিবারকে সাহায্য করতে হিমশিম খাচ্ছি।"
এদিকে, অনেকে অভিযোগ করেছেন যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য পণ্য মজুদ করছে। নীলফামারীর সচেতন নাগরিকরা বাজার তদারকি জোরদার করার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সরকারি উদ্যোগে হজযাত্রীদের জন্য বিমান ভ্রমণে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে। হজ মৌসুমে বিমান টিকিটের ওপর প্রযোজ্য আবগারি শুল্ক সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হচ্ছে, যা হজযাত্রীদের খরচ কমিয়ে পবিত্র হজ পালনের পথ আরও সহজ করবে।
৫ দিন আগে
প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ফের চালু হয়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় নতুন চালান দেশে আসে। প্রথম দফায় ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে রকি এন্টারপ্রাইজ, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির আমদানিকারক আব্দুল মালেক বাবু।
৯ দিন আগে
দেশের পাঁচ সমস্যাগ্রস্ত ইসলামি ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় আমানতকারীদের উদ্বেগ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংক পিএলসি’ অধিগ্রহণের কাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়েছে—যেসব গ্রাহকের হিসাব এই পাঁচ ব্যাংকে রয়েছে, তাঁদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দ্রুত ফেরত দে
৯ দিন আগে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, যারা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেন না এবং গ্যাস–বিদ্যুৎ বিল দিতে অনীহা দেখান, তারাই দেশের বড়লোক। তবে তার এই মন্তব্যে ব্যবসায়ীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, সম্পদ সঞ্চয় ও টাকা পাচারের ক্ষেত্রে কেবল ব্যবসায়ীরা নয়, সরকারি কর্মকর্তারাও জড়িত
১২ দিন আগেসরকারি উদ্যোগে হজযাত্রীদের জন্য বিমান ভ্রমণে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে। হজ মৌসুমে বিমান টিকিটের ওপর প্রযোজ্য আবগারি শুল্ক সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হচ্ছে, যা হজযাত্রীদের খরচ কমিয়ে পবিত্র হজ পালনের পথ আরও সহজ করবে।
প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ফের চালু হয়েছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় নতুন চালান দেশে আসে। প্রথম দফায় ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে রকি এন্টারপ্রাইজ, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির আমদানিকারক আব্দুল মালেক বাবু।
দেশের পাঁচ সমস্যাগ্রস্ত ইসলামি ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় আমানতকারীদের উদ্বেগ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংক পিএলসি’ অধিগ্রহণের কাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়েছে—যেসব গ্রাহকের হিসাব এই পাঁচ ব্যাংকে রয়েছে, তাঁদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দ্রুত ফেরত দে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, যারা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেন না এবং গ্যাস–বিদ্যুৎ বিল দিতে অনীহা দেখান, তারাই দেশের বড়লোক। তবে তার এই মন্তব্যে ব্যবসায়ীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, সম্পদ সঞ্চয় ও টাকা পাচারের ক্ষেত্রে কেবল ব্যবসায়ীরা নয়, সরকারি কর্মকর্তারাও জড়িত