সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
নিজের বুদ্ধি ও প্রতিভা খাটিয়ে হ্যামিলনের বাঁশির সুরকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবে রূপ দিলেন সাতক্ষীরার অজপাড়া গাঁয়ে বেড়ে ওঠা ওসমান গনি মিন্টু। বাঁশি বাজিয়ে তার সুরে হাঁসকে মুগ্ধ করে তার পেছনে পেছনে নিয়ে চরে বেড়াচ্ছেন তিনি। মিন্টু সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে। মিন্টু বাড়ির পাশে নোয়াকাটির উন্মুক্ত বিলে তাঁবু ফেলে গড়ে তুলেছেন হাঁসের খামার ।তার পেছনে ছুটে বেড়ানো হাঁসের দলের এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে যাচ্ছে উৎসুক জনতাও। তার এই সাফল্যের জন্য গ্রামের সবাই তাকে ‘হাঁস মিন্টু’ নামেই ডাকে।
সরেজমিন গেলে মিন্টু জানান, বছর দুই আগে গরুর খামার করে সর্বস্বান্ত হওয়ার পর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে হাঁস পালনের দিকে ঝোঁকেন তিনি। বর্তমানে তার খামারে ক্যাম্বেল জাতের প্রায় ১ হাজার ২০০টি হাঁস রয়েছে। শুধু বাজারের কৃত্রিম খাদ্যমুক্ত হাঁস পালনই নয়, বরং হাঁসের সঙ্গে অনন্য মিতালী গড়ে তুলেছেন তিনি। এই হাঁস চাষ করেই স্ত্রী, দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে ধারণকৃত সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে বাঁশির সুরে সুরে এই পদ্ধতিতে হাঁস পালন করছেন এবং এতে তার হাঁসগুলো সহজেই তার নির্দেশনা মেনে চলে। ইতোমধ্যে তিনি দুবার হাঁস বিক্রি করেছেন। হাঁস বিক্রির টাকা দিয়ে ৬টি গরু ও কিছু জমি বন্ধক রেখেছেন। এই হাঁস পালন করতে এসে অনেকের হাসি-ঠাট্টার পাত্র হয়েছেন তিনি। এমনকি প্রথমদিকে তার এ হাঁস পালন দেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বউকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু স্ত্রী এসব কথায় কর্ণপাত না করে ধৈর্য ধরার কারণে মাত্র দু্ই বছরের ব্যবধানে সফলতা দেখে সেই শ্বশুরবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুরের আমন্ত্রণে নোয়া কাঠির মাঠে হাঁস চরিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। তার এই সফলতা দেখতে সকাল-সন্ধ্যা ভিড় জমায় স্থানীয়সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম ও জামের আলীসহ অনেকেই জানান, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাঁশির সুরে সুরে মিন্টুর হাঁস পালনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আমেরিকা প্রবাসী নাসা বিজ্ঞানী ডা. মশিউর রহমান গত ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে মিন্টুর হাঁস পালন দেখতে এসে খুশি হয়ে মিন্টুকে তাৎক্ষণিক সহযোগিতার পাশাপাশি বৃহৎ আকারে হাঁস পালন করার জন্য পরিকল্পনা করতে বলেন। এসময় মিন্টুকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে যান তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) বিষ্ণুপদ বিশ্বাস জানান, কলারোয়া উপজেলার বাসিন্দা মিন্টু মিয়ার হাঁস পালনে বেকার সমস্যা দূর হয়েছে। এ ছাড়া তিনি চাকরি না করে বেকার সমস্যা কীভাবে দূর করা যায়, তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।
নিজের বুদ্ধি ও প্রতিভা খাটিয়ে হ্যামিলনের বাঁশির সুরকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবে রূপ দিলেন সাতক্ষীরার অজপাড়া গাঁয়ে বেড়ে ওঠা ওসমান গনি মিন্টু। বাঁশি বাজিয়ে তার সুরে হাঁসকে মুগ্ধ করে তার পেছনে পেছনে নিয়ে চরে বেড়াচ্ছেন তিনি। মিন্টু সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে। মিন্টু বাড়ির পাশে নোয়াকাটির উন্মুক্ত বিলে তাঁবু ফেলে গড়ে তুলেছেন হাঁসের খামার ।তার পেছনে ছুটে বেড়ানো হাঁসের দলের এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে যাচ্ছে উৎসুক জনতাও। তার এই সাফল্যের জন্য গ্রামের সবাই তাকে ‘হাঁস মিন্টু’ নামেই ডাকে।
সরেজমিন গেলে মিন্টু জানান, বছর দুই আগে গরুর খামার করে সর্বস্বান্ত হওয়ার পর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে হাঁস পালনের দিকে ঝোঁকেন তিনি। বর্তমানে তার খামারে ক্যাম্বেল জাতের প্রায় ১ হাজার ২০০টি হাঁস রয়েছে। শুধু বাজারের কৃত্রিম খাদ্যমুক্ত হাঁস পালনই নয়, বরং হাঁসের সঙ্গে অনন্য মিতালী গড়ে তুলেছেন তিনি। এই হাঁস চাষ করেই স্ত্রী, দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলে ধারণকৃত সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে বাঁশির সুরে সুরে এই পদ্ধতিতে হাঁস পালন করছেন এবং এতে তার হাঁসগুলো সহজেই তার নির্দেশনা মেনে চলে। ইতোমধ্যে তিনি দুবার হাঁস বিক্রি করেছেন। হাঁস বিক্রির টাকা দিয়ে ৬টি গরু ও কিছু জমি বন্ধক রেখেছেন। এই হাঁস পালন করতে এসে অনেকের হাসি-ঠাট্টার পাত্র হয়েছেন তিনি। এমনকি প্রথমদিকে তার এ হাঁস পালন দেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বউকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু স্ত্রী এসব কথায় কর্ণপাত না করে ধৈর্য ধরার কারণে মাত্র দু্ই বছরের ব্যবধানে সফলতা দেখে সেই শ্বশুরবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুরের আমন্ত্রণে নোয়া কাঠির মাঠে হাঁস চরিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। তার এই সফলতা দেখতে সকাল-সন্ধ্যা ভিড় জমায় স্থানীয়সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর ইসলাম ও জামের আলীসহ অনেকেই জানান, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাঁশির সুরে সুরে মিন্টুর হাঁস পালনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আমেরিকা প্রবাসী নাসা বিজ্ঞানী ডা. মশিউর রহমান গত ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে মিন্টুর হাঁস পালন দেখতে এসে খুশি হয়ে মিন্টুকে তাৎক্ষণিক সহযোগিতার পাশাপাশি বৃহৎ আকারে হাঁস পালন করার জন্য পরিকল্পনা করতে বলেন। এসময় মিন্টুকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে যান তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) বিষ্ণুপদ বিশ্বাস জানান, কলারোয়া উপজেলার বাসিন্দা মিন্টু মিয়ার হাঁস পালনে বেকার সমস্যা দূর হয়েছে। এ ছাড়া তিনি চাকরি না করে বেকার সমস্যা কীভাবে দূর করা যায়, তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মাধ্যমে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।