জান্নাতুল তুবা হিরা

রপ্তানি করা পণ্যের বিপরীতে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আসছে না। একটি অসাধু চক্রের কারণে গার্মেন্টস খাতের রপ্তানির ৩০ হাজার চালানের বিপরীতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দেশে আসেনি। এর সঙ্গে শিপিং লাইন্স, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স এবং অনেক ক্ষেত্রে গার্মেন্টস মালিকও জড়িত রয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কঠোর অবস্থান গ্রহণ না করায় এবং অনেক ক্ষেত্রে আইনি ফাঁকফোকরের সুযোগে দীর্ঘ ২০-৩০ বছরেও মামলার সমাধান হচ্ছে না।
সংঘবদ্ধ চক্র, বিদেশি বায়ার এবং বায়িং হাউসগুলোর নানা ধরনের জালিয়াতির কারণে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে আছে। পণ্য রপ্তানি করেও টাকা না পেয়ে অনেক গার্মেন্টস মালিক এখন দিশাহারা; অনেকে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসা বন্ধ করে দিতে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস কারখানার প্রতারণার শিকার হওয়ার ঘটনাটি এই আলোচনাকে নতুন করে উসকে দিয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোডের ‘কে গার্মেন্টস’ কারখানা প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের দুই কনটেইনার তৈরি পোশাক আলজেরিয়ার একটি বায়িং হাউসের মাধ্যমে রপ্তানি করে। আলজেরিয়ার ওরান বন্দরে পণ্য পৌঁছানোর পরও বায়িং হাউসের প্রতারণার কারণে রপ্তানিকারক ‘কে গার্মেন্টস’-এর মালিক এক টাকাও পাননি।
সরকারের রপ্তানি গাইড লাইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির ছয় মাসের মধ্যে রপ্তানি মূল্য দেশে ফেরত আসার কথা। ঐ সময়ের মধ্যে পণ্য মূল্য ফেরত না আসলে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কম আসলে ব্যাংকে ওভার ডিউজ হিসেবে পরিগণিত হবে। আবার অনেক সময় রপ্তানি মূল্যের ডিসকাউন্ট করা হলে কম মূল্য ফেরত আসে। সেক্ষেত্রে বায়ারকে দেওয়া ডিসকাউন্ট বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কমিটিকে অবহিত করে অনুমোদন নিতে হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিপিং লাইন্স ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স কর্তৃক আমেরিকা কিংবা সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যাংকের ডকুমেন্ট ছাড়াই বায়ারকে পণ্য ডেলিভারি দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বায়ার বাংলাদেশের রপ্তানিকারক কর্তৃক তার ব্যাংকে পাঠানো ডকুমেন্ট ছাড় না করে স্থানীয় ফরোয়ার্ডার্স ও শিপিং লাইনের সঙ্গে যোগসাজশ করে পণ্য ডেলিভারি নিয়ে নেয়। কারণ ব্যাংক থেকে ডকুমেন্ট ছাড় করতে পণ্যের সকল মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এতে করে বিদেশি ব্যংক বাংলাদেশের ব্যাংকে পণ্যের মূল্য আসে না। বিদেশি ব্যাংক নির্দিষ্ট সময়ে বায়ার ডকুমেন্ট ক্লিয়ার না করলে তা ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত গার্মেন্টস মালিকদের মতে বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানি চালানের ক্ষেত্রে টাকা ফেরত না আসলে সরাসরি ভূমিকা রাখলে এবং বিদেশি বায়ারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিদেশে দূতাবাস সমূহ ব্যবহার করা এবং ক্ষেত্র বিশেষে মামলা করলে অসাধু বায়ার কিংবা রপ্তানিকারক শিপিং লাইন ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অবৈধ কাজ করার ক্ষেত্রে নিরুত্সাহিত হবে। ব্যবসায়ীদের মতে, বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৮(এ) ধারা রহস্যজনকভাবে বিলুপ্ত করে দেওয়ায় বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গেছে।

রপ্তানি করা পণ্যের বিপরীতে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আসছে না। একটি অসাধু চক্রের কারণে গার্মেন্টস খাতের রপ্তানির ৩০ হাজার চালানের বিপরীতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দেশে আসেনি। এর সঙ্গে শিপিং লাইন্স, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স এবং অনেক ক্ষেত্রে গার্মেন্টস মালিকও জড়িত রয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কঠোর অবস্থান গ্রহণ না করায় এবং অনেক ক্ষেত্রে আইনি ফাঁকফোকরের সুযোগে দীর্ঘ ২০-৩০ বছরেও মামলার সমাধান হচ্ছে না।
সংঘবদ্ধ চক্র, বিদেশি বায়ার এবং বায়িং হাউসগুলোর নানা ধরনের জালিয়াতির কারণে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আটকে আছে। পণ্য রপ্তানি করেও টাকা না পেয়ে অনেক গার্মেন্টস মালিক এখন দিশাহারা; অনেকে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসা বন্ধ করে দিতে।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস কারখানার প্রতারণার শিকার হওয়ার ঘটনাটি এই আলোচনাকে নতুন করে উসকে দিয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর সিরাজউদ্দৌলা রোডের ‘কে গার্মেন্টস’ কারখানা প্রায় তিন কোটি টাকা মূল্যের দুই কনটেইনার তৈরি পোশাক আলজেরিয়ার একটি বায়িং হাউসের মাধ্যমে রপ্তানি করে। আলজেরিয়ার ওরান বন্দরে পণ্য পৌঁছানোর পরও বায়িং হাউসের প্রতারণার কারণে রপ্তানিকারক ‘কে গার্মেন্টস’-এর মালিক এক টাকাও পাননি।
সরকারের রপ্তানি গাইড লাইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির ছয় মাসের মধ্যে রপ্তানি মূল্য দেশে ফেরত আসার কথা। ঐ সময়ের মধ্যে পণ্য মূল্য ফেরত না আসলে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কম আসলে ব্যাংকে ওভার ডিউজ হিসেবে পরিগণিত হবে। আবার অনেক সময় রপ্তানি মূল্যের ডিসকাউন্ট করা হলে কম মূল্য ফেরত আসে। সেক্ষেত্রে বায়ারকে দেওয়া ডিসকাউন্ট বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কমিটিকে অবহিত করে অনুমোদন নিতে হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিপিং লাইন্স ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স কর্তৃক আমেরিকা কিংবা সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যাংকের ডকুমেন্ট ছাড়াই বায়ারকে পণ্য ডেলিভারি দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বায়ার বাংলাদেশের রপ্তানিকারক কর্তৃক তার ব্যাংকে পাঠানো ডকুমেন্ট ছাড় না করে স্থানীয় ফরোয়ার্ডার্স ও শিপিং লাইনের সঙ্গে যোগসাজশ করে পণ্য ডেলিভারি নিয়ে নেয়। কারণ ব্যাংক থেকে ডকুমেন্ট ছাড় করতে পণ্যের সকল মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এতে করে বিদেশি ব্যংক বাংলাদেশের ব্যাংকে পণ্যের মূল্য আসে না। বিদেশি ব্যাংক নির্দিষ্ট সময়ে বায়ার ডকুমেন্ট ক্লিয়ার না করলে তা ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত গার্মেন্টস মালিকদের মতে বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানি চালানের ক্ষেত্রে টাকা ফেরত না আসলে সরাসরি ভূমিকা রাখলে এবং বিদেশি বায়ারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিদেশে দূতাবাস সমূহ ব্যবহার করা এবং ক্ষেত্র বিশেষে মামলা করলে অসাধু বায়ার কিংবা রপ্তানিকারক শিপিং লাইন ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অবৈধ কাজ করার ক্ষেত্রে নিরুত্সাহিত হবে। ব্যবসায়ীদের মতে, বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৮(এ) ধারা রহস্যজনকভাবে বিলুপ্ত করে দেওয়ায় বিদেশিরা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গেছে।

আদালত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ৪৬৯.৪৮ একর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন; জমিগুলো গাজীপুর ও কক্সবাজারের ৬ উপজেলার মধ্যে অবস্থিত।
২ দিন আগে
বাংলাদেশে ৭ম জাতীয় পে-স্কেল ১ জুলাই ২০০৯ সাল থেকে কার্যকর হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মূল বেতনে প্রায় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ৮ম পে-স্কেল ১ জুলাই ২০১৫ সাল থেকে কার্যকর হয়
২ দিন আগে
রোববার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায় যে, কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ‘সন্ধ্যা ৬টার পর বেনাপোলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত নয়
৩ দিন আগে
তহবিলগুলো অবৈধ বাজার থেকে আসে এবং তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বারবার আমানত করা হয়
৩ দিন আগেআদালত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ৪৬৯.৪৮ একর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন; জমিগুলো গাজীপুর ও কক্সবাজারের ৬ উপজেলার মধ্যে অবস্থিত।
রপ্তানি করা পণ্যের বিপরীতে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আসছে না। একটি অসাধু চক্রের কারণে গার্মেন্টস খাতের রপ্তানির ৩০ হাজার চালানের বিপরীতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দেশে আসেনি।
বাংলাদেশে ৭ম জাতীয় পে-স্কেল ১ জুলাই ২০০৯ সাল থেকে কার্যকর হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে মূল বেতনে প্রায় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ৮ম পে-স্কেল ১ জুলাই ২০১৫ সাল থেকে কার্যকর হয়
রোববার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায় যে, কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ‘সন্ধ্যা ৬টার পর বেনাপোলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত নয়