সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
রাজনীতি
বিএনপি

বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায় যে কারণে!

প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫, ১১: ৩৭
logo

বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায় যে কারণে!

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫, ১১: ৩৭
Photo
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনার পর রাজনীতিতে অস্থিরতা বাড়ে । মামলা থাকা সত্ত্বেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের রাষ্ট্রপতি কীভাবে দেশ ছাড়ার সুযোগ পেলেন; এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এঘটনার শক্ত প্রভাব পড়ে রাজনীতির মাঠে। এর জেরে এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে এবং জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণে যমুনা ঘেরাওসহ আন্দোলনের মুখে সরকার আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।

সরকারের সিদ্ধান্তকে বিএনপির নেতারা স্বাগত জানালেও এ আন্দোলনে তাঁদের প্রকাশ্য উপস্থিতি ছিল না; বরং একটার পর একটা ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা হচ্ছে কি না, বিএনপির মধ্যে এমন সন্দেহ তৈরি হয়। নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করা নিয়ে সরকারের সঙ্গে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির দূরত্ব দিন দিন বাড়তে থাকে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্বের কথাও জনপরিসরে আলোচনা হচ্ছে। এ ছাড়া বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য দলগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। দলগুলোর মধ্যে কাজ করছে নানা সমীকরণ। কিছু বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় নানা পক্ষকে বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য কেন চাপ বাড়াতে চাইছে বিএনপি, কতটা চাপ তৈরি করতে পারবে তারা? নির্বাচনের সময়ের ব্যাপারে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে এগোতে গিয়ে রাজনীতিতে বিএনপি একা হয়ে পড়বে কিনা, এই প্রশ্নেও আলোচনা রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।কারণ বিএনপির এই অবস্থানের সঙ্গে নেই বর্তমানে রাজনীতিতে প্রভাবশালী অন্য দলগুলো, অর্থাৎ জুলাই গণ-অভ্যত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামী।

নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থানের প্রতি এই দলগুলোর সমর্থন রয়েছে বলা যায়। তবে বিএনপিও অভিযোগ করছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপি এবং সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করছে।দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব ডিসেম্বরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দেশের মানুষের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।

দলটির নেতারা বলছেন, বাধ্য না হলে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবে না। এমনকি সরকার ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে চায় না বলে তারা মনে করেন। সে কারণে সরকারকে বাধ্য করানোর চেষ্টা তাদের থাকবে।

নির্বাচন হলেই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, এই ধারণা তৈরি হয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে কারণ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে ভোটের মাঠে অন্য কোনো দলকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে না বিএনপি।

ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৈরি হওয়া সুযোগ বা সম্ভাবনা দ্রুত কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার একটা বিষয় রয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে যত দেরি হবে, দলের নেতা-কর্মীদের সামলানো তত কঠিন হবে; দখল, চাঁদাবাজি ও অধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা বা এ ধরনের অপরাধ বাড়তে থাকবে।

সারাদেশে দলটির নেতা-কর্মীরা অনেকে আধিপত্য বিস্তার করেছে। দখল ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে নেতাকর্মীরা।

এ ধরনের অপরাধে জড়িত নেতা-কর্মীদের অনেককে পদ থেকে বহিস্কার করাসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু থামানো যায়নি তাদের নেতা-কর্মীদের দখল, চাঁদাবাজির মতো নানা অপরাধ।

এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের মাঝে বিএনপি সম্পর্কে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে; অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে দলটিকে।

নেতা-কর্মীদের এ সব অপরাধের অভিযাগ নিয়ে চিন্তিত বিএনপির নেতৃত্ব। তারা মনে করছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে যত দেরি হবে, দলের নেতা-কর্মীদের সামলানো তত কঠিন হবে।

এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন দেরিতে হলে কতটা সহায়ক পরিস্থিতি থাকবে, সেটা দলটিকে ভাবাচ্ছে। হয়তো তারাই ক্ষমতায় যাবে, কিন্তু সমালোচনা বাড়বে।

ষড়যন্ত্র তত্ত্বও কাজ করছে বিএনপির ভেতরে। ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে বলে বিএনপির শীর্ষ নেতা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কারণ প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনা নিয়ে যে সংকট হয়েছিল, সে পটভূমিতে গত শনি ও রোববার অধ্যাপক ইউনূস বিএনপিসহ দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এসব বৈঠক সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও এ সরকার আগামী বছরের ৩০ শে জুনের পর একদিনও ক্ষমতায় থাকবেন না। ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে আর নির্বাচন হবে না মির্জা ফখরুল

এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন সরকার করবে না, প্রেস সচিবের ওই বক্তব্যে সেটা পরিষ্কার বলে বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। গত বুধবার যখন বিএনপির সমাবেশ থেকে আলটিমেটামের সুরে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাওয়া হয়েছে, সেদিনই জাপান সফরে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আবারও ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের পুরোনো অবস্থানই তুলে ধরেছেন।

শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে : প্রধান উপদেষ্টা

জাপানের টোকিও‘র ইম্পেরিয়াল হোটেলে ৩০তম নিক্কেই ফোরামে ‘ ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘আমরা জনগণকে বলেছি, নির্বাচন এই বছরের শেষে ডিসেম্বরে অথবা সর্বোচ্চ জুনে অনুষ্ঠিত হবে। ‘তবে কিছু রাজনীতিবিদ নির্বাচনের জন্য জুন পর্যন্ত অপেক্ষা কেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন কেন নয় সেই প্রশ্নও তুলেছেন। দেশের সব রাজনৈতিক দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর অবস্থানে অটল রয়েছেন। তিনি একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চান। চাপ তৈরি করে যেনতেন নির্বাচন করানোর পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : তারেক রহমান

ঢাকার নয়াপল্টনে এক সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।বুধবার ঢাকায় বিএনপির আয়াজনে তারুণ্যের সমাবেশে বিএনপি নেতা তারেক রহমানও বলেছেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মনে হয় এরই ভেতরে টালবাহানা শুরু হয়েছে বা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের অভিনব শর্তের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যত”।

তিনি এ-ও বলেন, “জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ও বাইরে কারও কারও মনে হয় ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে”।

অন্তর্বর্তী সরকাররে দুর্বলতার বিষয়কেও বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাওয়ার পেছনে যুক্তি হিসেবে দেখাচ্ছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি সামলাতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে। সেই ব্যর্থতা ঢাকতে সরকারও ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ আওড়াচ্ছে। এর মধ্যে নির্বাচন প্রলম্বিত করার চিন্তা কাজ করছে বলেও বিএনপি নেতাদের অনেকে মনে করেন।

আর সেজন্যই বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন করার জন্য সরকাররে ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে এবার মাঠে নামছে।

এক ব্যক্তিই শুধু ডিসেম্বরে নির্বাচন চান না: মির্জা আব্বাস

ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন দেশের ‘এক ব্যক্তিই চান না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে পুস্পমাল্য অর্পণের পরে জাপানে প্রধান উপদেষ্টার এক বক্তব্যের জবাবে তিনি এরকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, খুব দুঃখের সঙ্গে বলছি, দেখলাম ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা) জাপানে বসে বিএনপির বদনাম করছেন। একটু লজ্জাও লাগল না দেশের সম্পর্কে বিদেশে বসে বদনাম করতে।

তিনি বললেন, একটি দল নির্বাচন চায়। আর আমরা বলতে চাই, একটি লোক নির্বাচন চায় না। সে হলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস উনি নির্বাচন চান না।

Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনার পর রাজনীতিতে অস্থিরতা বাড়ে । মামলা থাকা সত্ত্বেও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের রাষ্ট্রপতি কীভাবে দেশ ছাড়ার সুযোগ পেলেন; এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এঘটনার শক্ত প্রভাব পড়ে রাজনীতির মাঠে। এর জেরে এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ডাকে এবং জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণে যমুনা ঘেরাওসহ আন্দোলনের মুখে সরকার আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।

সরকারের সিদ্ধান্তকে বিএনপির নেতারা স্বাগত জানালেও এ আন্দোলনে তাঁদের প্রকাশ্য উপস্থিতি ছিল না; বরং একটার পর একটা ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা হচ্ছে কি না, বিএনপির মধ্যে এমন সন্দেহ তৈরি হয়। নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করা নিয়ে সরকারের সঙ্গে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির দূরত্ব দিন দিন বাড়তে থাকে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্বের কথাও জনপরিসরে আলোচনা হচ্ছে। এ ছাড়া বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ অন্য দলগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। দলগুলোর মধ্যে কাজ করছে নানা সমীকরণ। কিছু বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় নানা পক্ষকে বৈরিতার পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য কেন চাপ বাড়াতে চাইছে বিএনপি, কতটা চাপ তৈরি করতে পারবে তারা? নির্বাচনের সময়ের ব্যাপারে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে এগোতে গিয়ে রাজনীতিতে বিএনপি একা হয়ে পড়বে কিনা, এই প্রশ্নেও আলোচনা রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।কারণ বিএনপির এই অবস্থানের সঙ্গে নেই বর্তমানে রাজনীতিতে প্রভাবশালী অন্য দলগুলো, অর্থাৎ জুলাই গণ-অভ্যত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামী।

নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থানের প্রতি এই দলগুলোর সমর্থন রয়েছে বলা যায়। তবে বিএনপিও অভিযোগ করছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপি এবং সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করছে।দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব ডিসেম্বরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দেশের মানুষের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।

দলটির নেতারা বলছেন, বাধ্য না হলে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবে না। এমনকি সরকার ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে চায় না বলে তারা মনে করেন। সে কারণে সরকারকে বাধ্য করানোর চেষ্টা তাদের থাকবে।

নির্বাচন হলেই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, এই ধারণা তৈরি হয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে কারণ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে ভোটের মাঠে অন্য কোনো দলকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে না বিএনপি।

ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৈরি হওয়া সুযোগ বা সম্ভাবনা দ্রুত কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার একটা বিষয় রয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে যত দেরি হবে, দলের নেতা-কর্মীদের সামলানো তত কঠিন হবে; দখল, চাঁদাবাজি ও অধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা বা এ ধরনের অপরাধ বাড়তে থাকবে।

সারাদেশে দলটির নেতা-কর্মীরা অনেকে আধিপত্য বিস্তার করেছে। দখল ও চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে নেতাকর্মীরা।

এ ধরনের অপরাধে জড়িত নেতা-কর্মীদের অনেককে পদ থেকে বহিস্কার করাসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু থামানো যায়নি তাদের নেতা-কর্মীদের দখল, চাঁদাবাজির মতো নানা অপরাধ।

এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের মাঝে বিএনপি সম্পর্কে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে; অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে দলটিকে।

নেতা-কর্মীদের এ সব অপরাধের অভিযাগ নিয়ে চিন্তিত বিএনপির নেতৃত্ব। তারা মনে করছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে যত দেরি হবে, দলের নেতা-কর্মীদের সামলানো তত কঠিন হবে।

এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন দেরিতে হলে কতটা সহায়ক পরিস্থিতি থাকবে, সেটা দলটিকে ভাবাচ্ছে। হয়তো তারাই ক্ষমতায় যাবে, কিন্তু সমালোচনা বাড়বে।

ষড়যন্ত্র তত্ত্বও কাজ করছে বিএনপির ভেতরে। ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে বলে বিএনপির শীর্ষ নেতা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কারণ প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনা নিয়ে যে সংকট হয়েছিল, সে পটভূমিতে গত শনি ও রোববার অধ্যাপক ইউনূস বিএনপিসহ দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এসব বৈঠক সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও এ সরকার আগামী বছরের ৩০ শে জুনের পর একদিনও ক্ষমতায় থাকবেন না। ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে আর নির্বাচন হবে না মির্জা ফখরুল

এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন সরকার করবে না, প্রেস সচিবের ওই বক্তব্যে সেটা পরিষ্কার বলে বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। গত বুধবার যখন বিএনপির সমাবেশ থেকে আলটিমেটামের সুরে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাওয়া হয়েছে, সেদিনই জাপান সফরে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আবারও ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের পুরোনো অবস্থানই তুলে ধরেছেন।

শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে : প্রধান উপদেষ্টা

জাপানের টোকিও‘র ইম্পেরিয়াল হোটেলে ৩০তম নিক্কেই ফোরামে ‘ ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘আমরা জনগণকে বলেছি, নির্বাচন এই বছরের শেষে ডিসেম্বরে অথবা সর্বোচ্চ জুনে অনুষ্ঠিত হবে। ‘তবে কিছু রাজনীতিবিদ নির্বাচনের জন্য জুন পর্যন্ত অপেক্ষা কেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন কেন নয় সেই প্রশ্নও তুলেছেন। দেশের সব রাজনৈতিক দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর অবস্থানে অটল রয়েছেন। তিনি একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চান। চাপ তৈরি করে যেনতেন নির্বাচন করানোর পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : তারেক রহমান

ঢাকার নয়াপল্টনে এক সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।বুধবার ঢাকায় বিএনপির আয়াজনে তারুণ্যের সমাবেশে বিএনপি নেতা তারেক রহমানও বলেছেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মনে হয় এরই ভেতরে টালবাহানা শুরু হয়েছে বা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের অভিনব শর্তের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যত”।

তিনি এ-ও বলেন, “জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ও বাইরে কারও কারও মনে হয় ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে”।

অন্তর্বর্তী সরকাররে দুর্বলতার বিষয়কেও বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাওয়ার পেছনে যুক্তি হিসেবে দেখাচ্ছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা, অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি সামলাতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে। সেই ব্যর্থতা ঢাকতে সরকারও ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ আওড়াচ্ছে। এর মধ্যে নির্বাচন প্রলম্বিত করার চিন্তা কাজ করছে বলেও বিএনপি নেতাদের অনেকে মনে করেন।

আর সেজন্যই বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন করার জন্য সরকাররে ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে এবার মাঠে নামছে।

এক ব্যক্তিই শুধু ডিসেম্বরে নির্বাচন চান না: মির্জা আব্বাস

ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন দেশের ‘এক ব্যক্তিই চান না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে পুস্পমাল্য অর্পণের পরে জাপানে প্রধান উপদেষ্টার এক বক্তব্যের জবাবে তিনি এরকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, খুব দুঃখের সঙ্গে বলছি, দেখলাম ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা) জাপানে বসে বিএনপির বদনাম করছেন। একটু লজ্জাও লাগল না দেশের সম্পর্কে বিদেশে বসে বদনাম করতে।

তিনি বললেন, একটি দল নির্বাচন চায়। আর আমরা বলতে চাই, একটি লোক নির্বাচন চায় না। সে হলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস উনি নির্বাচন চান না।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

বিএনপি নিয়ে আরও পড়ুন

বরিশালের বাবুগঞ্জে ছাত্রদলের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ

বরিশালের বাবুগঞ্জে ছাত্রদলের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ

বরিশালের বাবুগঞ্জের সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিকে অনিয়মিত ও জাতীয় পার্টি এবং ছাত্রলীগ নিয়ে পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে ছাত্রদলের একটি অংশ।

২৯ মিনিট আগে
বরিশালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক সহ তিন নেতার পদত্যাগ

বরিশালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক সহ তিন নেতার পদত্যাগ

নিজ দল থেকে পদত্যাগ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার মুখ্য সংগঠকসহ তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন।

১ ঘণ্টা আগে
সংস্কার ও নির্বাচন উভয়কে গুরত্ব দিতে হবে : সারোয়ার তুষার

সংস্কার ও নির্বাচন উভয়কে গুরত্ব দিতে হবে : সারোয়ার তুষার

নির্বাচনের আগে সংস্কার কেন প্রয়োজন তা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, এনসিপি সংস্কার চাওয়ায় কোনো কোনো রাজনেতিক দল অযৌক্তিকভাবে সেটার বিরোধিতা করছে। সংস্কারটা এনসিপির কোনো এজেন্ডা নয়, এটা ন্যাশনাল এজেন্ডা (জাতীয় বিষয়)

৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন : সেলিমা রহমান

প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন : সেলিমা রহমান

৫ ঘণ্টা আগে
বরিশালের বাবুগঞ্জে ছাত্রদলের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ

বরিশালের বাবুগঞ্জে ছাত্রদলের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ

বরিশালের বাবুগঞ্জের সরকারি আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিকে অনিয়মিত ও জাতীয় পার্টি এবং ছাত্রলীগ নিয়ে পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে ছাত্রদলের একটি অংশ।

২৯ মিনিট আগে
বরিশালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক সহ তিন নেতার পদত্যাগ

বরিশালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক সহ তিন নেতার পদত্যাগ

নিজ দল থেকে পদত্যাগ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার মুখ্য সংগঠকসহ তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন।

১ ঘণ্টা আগে
সংস্কার ও নির্বাচন উভয়কে গুরত্ব দিতে হবে : সারোয়ার তুষার

সংস্কার ও নির্বাচন উভয়কে গুরত্ব দিতে হবে : সারোয়ার তুষার

নির্বাচনের আগে সংস্কার কেন প্রয়োজন তা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, এনসিপি সংস্কার চাওয়ায় কোনো কোনো রাজনেতিক দল অযৌক্তিকভাবে সেটার বিরোধিতা করছে। সংস্কারটা এনসিপির কোনো এজেন্ডা নয়, এটা ন্যাশনাল এজেন্ডা (জাতীয় বিষয়)

৩ ঘণ্টা আগে
প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন : সেলিমা রহমান

প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন : সেলিমা রহমান

৫ ঘণ্টা আগে