মোঃ মাজহারুল পারভেজ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির জাতীয় সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন। জামায়াত আমির বলেন, একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতির মূল উদঘাটন করার জন্য যা দরকার, আমরা তারুণ্য এবং যৌবনের শক্তিকে একত্রিত করে সেই লড়াইয়েও বিজয় লাভ করব। যারা ত্যাগের বিনিময়ে সাড়ে ১৫ বছরের কঠিন অন্ধকার যুগের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, যারা লড়াই করে আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আমরা তাদের সকলের কাছে গভীরভাবে ঋণী।
বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে দুইবার মঞ্চে পড়ে গিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে প্রথম দফায় পড়ে যান তিনি। এরপর উঠে বক্তব্য দিতে থাকেন তিনি। পরে আবার পড়ে যান এবং বসে বক্তব্য দেন। চিকিৎসকরা বক্তব্য দিতে নিষেধ করলেও তিনি শোনেননি।
এ সময় হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। ডা. শফিকুর রহমান বসে বসে প্রায় ১০ মিনিট বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, আমার যতক্ষণ হায়াত থাকবে ততক্ষণ বাঁচবো। তিনি নিজের শহিদি মৃত্যু কামনা করেন। আমিরের বক্তব্যে নেতাকর্মীরা আবার উজ্জীবিত হন।
মঞ্চে বসে বক্তব্য দেওয়ার সময় দলের চিকিৎসকরা শফিকুর রহমানের রক্ত পরীক্ষা করেন। ছোট পাখা নিয়ে বাতাস করেন কেউ কেউ। এ সময় জামায়াতের আমির জানান, তিনি রক্তচুক্ষকে উপেক্ষা করেছেন। জামায়াতের কেউ এমপি হলে হাতে টাকা বিনিময় করবেন না বলে জানান। তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতের কেউ এমপি হলে ট্যাক্সবিহীন গাড়ি চড়বে না।
পুরানা পল্টনের ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেন ডা. শফিকুর রহমান। শাপলা হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন সময়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে তার বিচার দাবি করেন। বক্তব্য দেওয়ার সময় পুরো মঞ্চের নেতারা দাঁড়িয়ে থাকেন। বেশ কয়েকজন তার পাশে বসে সেবা-শুশ্রূষা করেন। পাশাপাশি বারবার পাশ থেকে বক্তব্য শেষ করার কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, আমার মওত নির্ধারিত। এক সেকেন্ড আগেও আমার মৃত্যু হবে না। এ সময় নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের অনুরোধ করে বলেন, আমিরে জামায়াত বক্তব্য হয়ে গেছে আপনার। এরপর শফিকুর রহমান স্লোগান ও সালাম দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
বক্তব্য শেষে জামায়াত আমির সব নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়ান। তখন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন প্রচণ্ড গরমে অনেকে যেমন অসুস্থ হয়েছেন, আমাদের আমিরে জামায়াতও সাময়িক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে কথা বলা ও সমাপ্ত ঘোষণার তৌফিক দিয়েছেন। এ সময় জামায়াত আমিরকে দুই পাশ থেকে ধরে ছিলেন দুজন নেতা।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর পদ্ধতি) নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশের আয়োজন করেছে। সারা দেশ থেকে দলটির নেতা–কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। বেলা দুইটায় আয়োজনের মূল পর্ব শুরু হয়। আমিরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শেষ হয়।
জামায়াত সূত্র জানা গেছে, সমাবেশস্থল থেকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বেলা ২টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তবে সকাল ১০টার পর থেকেই বক্তব্য রাখেন জেলা ও ঢাকা মহানগর পর্যায়ের নেতারা। এর ফাঁকে ফাঁকে চলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ-আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং ১ কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
জামায়াত ছাড়াও সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এতে অংশ নেন। এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। উদ্যানে প্রবেশের সময় রাস্তার দুপাশে নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে স্লোগান দেন। আপ্লুত আমির হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তাকে হাসিমুখে দেখা গেছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির জাতীয় সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন। জামায়াত আমির বলেন, একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতির মূল উদঘাটন করার জন্য যা দরকার, আমরা তারুণ্য এবং যৌবনের শক্তিকে একত্রিত করে সেই লড়াইয়েও বিজয় লাভ করব। যারা ত্যাগের বিনিময়ে সাড়ে ১৫ বছরের কঠিন অন্ধকার যুগের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, যারা লড়াই করে আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আমরা তাদের সকলের কাছে গভীরভাবে ঋণী।
বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে দুইবার মঞ্চে পড়ে গিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে প্রথম দফায় পড়ে যান তিনি। এরপর উঠে বক্তব্য দিতে থাকেন তিনি। পরে আবার পড়ে যান এবং বসে বক্তব্য দেন। চিকিৎসকরা বক্তব্য দিতে নিষেধ করলেও তিনি শোনেননি।
এ সময় হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। ডা. শফিকুর রহমান বসে বসে প্রায় ১০ মিনিট বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, আমার যতক্ষণ হায়াত থাকবে ততক্ষণ বাঁচবো। তিনি নিজের শহিদি মৃত্যু কামনা করেন। আমিরের বক্তব্যে নেতাকর্মীরা আবার উজ্জীবিত হন।
মঞ্চে বসে বক্তব্য দেওয়ার সময় দলের চিকিৎসকরা শফিকুর রহমানের রক্ত পরীক্ষা করেন। ছোট পাখা নিয়ে বাতাস করেন কেউ কেউ। এ সময় জামায়াতের আমির জানান, তিনি রক্তচুক্ষকে উপেক্ষা করেছেন। জামায়াতের কেউ এমপি হলে হাতে টাকা বিনিময় করবেন না বলে জানান। তিনি উল্লেখ করেন, জামায়াতের কেউ এমপি হলে ট্যাক্সবিহীন গাড়ি চড়বে না।
পুরানা পল্টনের ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেন ডা. শফিকুর রহমান। শাপলা হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন সময়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে তার বিচার দাবি করেন। বক্তব্য দেওয়ার সময় পুরো মঞ্চের নেতারা দাঁড়িয়ে থাকেন। বেশ কয়েকজন তার পাশে বসে সেবা-শুশ্রূষা করেন। পাশাপাশি বারবার পাশ থেকে বক্তব্য শেষ করার কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, আমার মওত নির্ধারিত। এক সেকেন্ড আগেও আমার মৃত্যু হবে না। এ সময় নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের অনুরোধ করে বলেন, আমিরে জামায়াত বক্তব্য হয়ে গেছে আপনার। এরপর শফিকুর রহমান স্লোগান ও সালাম দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
বক্তব্য শেষে জামায়াত আমির সব নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে দাঁড়ান। তখন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন প্রচণ্ড গরমে অনেকে যেমন অসুস্থ হয়েছেন, আমাদের আমিরে জামায়াতও সাময়িক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে কথা বলা ও সমাপ্ত ঘোষণার তৌফিক দিয়েছেন। এ সময় জামায়াত আমিরকে দুই পাশ থেকে ধরে ছিলেন দুজন নেতা।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর পদ্ধতি) নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী এই সমাবেশের আয়োজন করেছে। সারা দেশ থেকে দলটির নেতা–কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। বেলা দুইটায় আয়োজনের মূল পর্ব শুরু হয়। আমিরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শেষ হয়।
জামায়াত সূত্র জানা গেছে, সমাবেশস্থল থেকে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বেলা ২টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তবে সকাল ১০টার পর থেকেই বক্তব্য রাখেন জেলা ও ঢাকা মহানগর পর্যায়ের নেতারা। এর ফাঁকে ফাঁকে চলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ-আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং ১ কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
জামায়াত ছাড়াও সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এতে অংশ নেন। এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। উদ্যানে প্রবেশের সময় রাস্তার দুপাশে নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে স্লোগান দেন। আপ্লুত আমির হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তাকে হাসিমুখে দেখা গেছে।
গোপালগঞ্জের ঘটনা নিয়ে ফখরুল বলেন, “কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন যে, গোপালগঞ্জে আপনার আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শক্তিরা যা করেছিল, আমরা মনে করি যে, গণতন্ত্র উত্তরণের আমাদের যে প্রক্রিয়া চলছে, জুলাই-অগাস্টে কর্মসূচি চালানোর মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শক্তিকে পরাজিত করা হয়েছে সেট
১৫ মিনিট আগেপরে আলেয়া বেগম সভাপতি, মরয়ম বেগম সাধারণ সম্পাদক ও আকলিমা বেগমকে সাংগঠনিক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা মহিলাদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। লক্ষ্মীছড়িতে সম্মেলনের মাধ্যমে মহিলা দলের কমিটি ঘোষণা এটাই প্রথম।
১ দিন আগেদোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ফেনী জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান
১ দিন আগেডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসায় দেশের সকল চিকিৎসককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে মানবতার পাশে দাঁড়ানোর তাওফিক দিন এবং কবুল করুন। আমিন
১ দিন আগেগোপালগঞ্জের ঘটনা নিয়ে ফখরুল বলেন, “কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন যে, গোপালগঞ্জে আপনার আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শক্তিরা যা করেছিল, আমরা মনে করি যে, গণতন্ত্র উত্তরণের আমাদের যে প্রক্রিয়া চলছে, জুলাই-অগাস্টে কর্মসূচি চালানোর মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শক্তিকে পরাজিত করা হয়েছে সেট
পরে আলেয়া বেগম সভাপতি, মরয়ম বেগম সাধারণ সম্পাদক ও আকলিমা বেগমকে সাংগঠনিক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা মহিলাদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। লক্ষ্মীছড়িতে সম্মেলনের মাধ্যমে মহিলা দলের কমিটি ঘোষণা এটাই প্রথম।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ফেনী জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসায় দেশের সকল চিকিৎসককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে মানবতার পাশে দাঁড়ানোর তাওফিক দিন এবং কবুল করুন। আমিন