পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭লক্ষ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা

Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সে ৪ মাস ১২ দিনে গনণা করে ৯ কোটি ১৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমান স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা। আগে এসব অর্থ জেলার অন্যান্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার উন্নয়নসহ গরীব মেধাবী ছাত্রদের জন্য ব্যয় করা হলেও, এবার পাগলা মসজিদকে আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লেক্স বানানোর কাজে এসব টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

মসজিদের লোহার দানবাক্স যেন টাকার খনি। বাক্স খুলতেই শুধু টাকা আর টাকা। এসব টাকা বস্তায় ভরে নেয়া হয় ঐ মসজিদেরই দোতলায়।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ৪ মাস ১২ দিন পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটসহ মসজিদ কমিটির ৩৪ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ কর্মী, গণনা কাজে ২৪৫ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। সব মিলিয়ে ৪শ'জন গণনার কাজে অংশ নেন।

শনিবার ১২ এপ্রিল সকাল ৭ টায় মসজিদের ১০টি দানবাক্স ১টি ট্রাংক খুলে বের করা হয় ২৮বস্তা টাকা। দিনভর গননা শেষে টাকার পরিমান দাঁড়ায় ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা ও প্রচুর পরিমান স্বর্ণাঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রা।

এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৩০ নভেম্বর এ মসজিদের দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। পরে টাকা গণনা করে সর্বোচ্চ ৮ কোটি ২১লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ মসজিদে সঠিক নিয়তে মানত করলে রোগ-বালাই দূর হওয়াসহ বিভিন্ন মনোবাসনা পূর্ণ হয়।

এমন বিশ্বাস থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সকল ধর্মের মানুষ প্রতিনিয়ত মানতের নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, বৈদেশিক মুদ্রা, গরু,ছাগল, হাস, মুরগীসহ বিভিন্ন সামগ্রী দান করে থাকেন। নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছাড়া দানের বিভিন্ন সামগ্রী প্রতিদিন নিলামে বিক্রি করে রূপালী ব্যাংকে থাকা মসজিদের একাউন্টে জমা করা হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে এই মসজিদটি ওয়াকফের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। ব্যাংকে রাখা টাকার লাভের অংশ দরিদ্রজটিল রুগীদের চিকিৎসাখাতে ব্যায় করা হয়।

দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এ পাগলা মসজিদকে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ করার কাজ হবে বলে জানালেন পাগলা মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।

জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় আড়াইশ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদ এলাকা জেলা শহরের হারুয়ায় থামেন। তাকে ঘিরে সেখানে অনেক ভক্তকুল সমবেত হন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি ৩ একর ৮৮ শতাংশ জমির উপর গড়ে ওঠে। পরে কালক্রমে এটি পরিচিতি পায় পাগলা মসজিদ নামে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

ইসলাম নিয়ে আরও পড়ুন

ত্যাগের মহিমায় ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে পবিত্র ঈদ উল আযহা পালিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৭ টায় খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত। একই স্থানে সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত।

৭ দিন আগে

যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আযহা'র জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭জুন)সকাল আটটায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

৭ দিন আগে

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৮ তম জামাত আদায় করেন লাখো মুসল্লি। শনিবার (৭ জুন) সকাল ৯টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

৭ দিন আগে

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের হাং তুহা মসজিদ আল বুখারাতে সকাল ৮:১৫ মিনিটে ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে এখানে প্রবাসী বাংলাদেশি ঈদের নামাজ আদায় করেন।

৭ দিন আগে