নিখাদ খবর ডেস্ক
আজ ২৭ মার্চ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এই রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই রাত ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান। ইসলামের পরিভাষায় ‘লাইলাতুল কদর’ বা ‘শবেকদর’।
এই রাতকে কেন্দ্র করে পবিত্র কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও আছে। ‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।
এ রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আমি কোরআনকে নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। লাইলাতুল কদর সম্বন্ধে তুমি কি জানো? লাইলাতুল কদর এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)।
শবেকদর উম্মতে মুহাম্মদির জন্য বিশেষ এক নেয়ামত। মহান আল্লাহ এ নেয়ামত অন্য কোনো নবীর উম্মতকে দেননি। পূর্ববর্তী নবীগণের উম্মত কয়েকশ বছর জীবন লাভ করে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারত। কিন্তু উম্মতে মুহাম্মদির জীবন খুবই কম। আমাদের গড় আয়ু ৬০-৭০ বছর। তাই আল্লাহতায়ালা আমাদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে শবেকদর দিয়েছেন এবং এক রাতের ইবাদতের ফজিলত এক হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে বেশি করে দিয়েছেন। এ রাতে লাওহে মাহফুজে মহান আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সেই সিদ্ধান্তবলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফেরেশতারা রহমত, বরকত ও কল্যাণ নিয়ে রাতেই পৃথিবীতে অবতরণ করেন। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এ রাতে ফেরেশতাগণ ও জিব্রাইল (আ.) অবতরণ করেন প্রত্যেক কাজের জন্য তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময়, এই রাত ফজরের উদয় পর্যন্ত।’ (সুরা কদর: ৪-৫)।
কোরআনে শবেকদরকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলা হলেও তা কোন রাত, নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে এর বর্ণনা রয়েছে হাদিসে। হাদিসের ভাষ্যমতে, লাইলাতুল কদর হলো রমজান মাসের শেষ দশকে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা শবেকদর তালাশ করবে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে।’ (বুখারি : ২০৫৬)। তার মানে, রমজানের শেষ দশকের বিজোড় (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজান) রাতগুলোর যে কোনোটি শবে কদর হবে। অবশ্য এ রাতগুলোর মধ্যে ২৭ রমজান (আজ ২৬ রমজান দিবাগত রাত) শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর সপক্ষে হাদিসও বর্ণিত হয়েছে।
তাবেয়ি জির ইবনে হুবাইশ (রহ.) বলেন, ‘একদিন উবাই ইবনে কাবকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার ভাই আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, যে ব্যক্তি সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করবে, সে শবেকদর লাভ করবে। উবাই বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন! তিনি এই কথার দ্বারা বোঝাচ্ছেন, মানুষ যেন এর ওপর ভরসা করে চেষ্টাহীন বসে না থাকে। অন্যথায় তিনি নিশ্চয়ই জানেন যে তা রমজানে এবং রমজান মাসের শেষ দশ রাতেই এবং তা ২৭ তারিখের রাতেই। অতঃপর উবাই দৃঢ়ভাবে শপথ করে বললেন, তা নিশ্চয়ই ২৭ তারিখের রাতেই। জির ইবনে হুবাইশ বলেন, আমি বললাম, হে আবু মুনজির! আপনি কোন সূত্রে তা বলেন? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের যে আলামত-নিদর্শন বলেছেন সেই সূত্রে। তিনি বলেছেন, কদরের রাতের পর সকালে সূর্য উদয় হবে, কিন্তু এর কিরণ থাকবে না। (মুসলিম: ২৮৩৪)।
অধিক পুণ্যময় এ রাতে বেশি বেশি নফল আমল করা চাই। নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ইস্তিগফার ইত্যাদি আমলে নিজেকে মশগুল রাখা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাস রেখে ও সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে কিয়াম করবে, তার পেছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)। কেউ যদি পুণ্য অর্জনের এমন বড় সুযোগ পেয়ে অমনোযোগী থাকে, তাহলে তার মতো হতভাগা আর কে হতে পারে? আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! বলুন, যদি আমি বুঝতে পারি লাইলাতুল কদর কোন রাতে, তবে তখন আমি কী বলব? তিনি বললেন, তুমি বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি’, অর্থ আল্লাহ তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাস। অতএব আমাকে ক্ষমা করো। (ইবনে মাজা: ৩৯৮২)।
আজ ২৭ মার্চ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এই রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই রাত ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান। ইসলামের পরিভাষায় ‘লাইলাতুল কদর’ বা ‘শবেকদর’।
এই রাতকে কেন্দ্র করে পবিত্র কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও আছে। ‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।
এ রাতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আমি কোরআনকে নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। লাইলাতুল কদর সম্বন্ধে তুমি কি জানো? লাইলাতুল কদর এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)।
শবেকদর উম্মতে মুহাম্মদির জন্য বিশেষ এক নেয়ামত। মহান আল্লাহ এ নেয়ামত অন্য কোনো নবীর উম্মতকে দেননি। পূর্ববর্তী নবীগণের উম্মত কয়েকশ বছর জীবন লাভ করে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারত। কিন্তু উম্মতে মুহাম্মদির জীবন খুবই কম। আমাদের গড় আয়ু ৬০-৭০ বছর। তাই আল্লাহতায়ালা আমাদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে শবেকদর দিয়েছেন এবং এক রাতের ইবাদতের ফজিলত এক হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে বেশি করে দিয়েছেন। এ রাতে লাওহে মাহফুজে মহান আল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সেই সিদ্ধান্তবলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফেরেশতারা রহমত, বরকত ও কল্যাণ নিয়ে রাতেই পৃথিবীতে অবতরণ করেন। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এ রাতে ফেরেশতাগণ ও জিব্রাইল (আ.) অবতরণ করেন প্রত্যেক কাজের জন্য তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময়, এই রাত ফজরের উদয় পর্যন্ত।’ (সুরা কদর: ৪-৫)।
কোরআনে শবেকদরকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলা হলেও তা কোন রাত, নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে এর বর্ণনা রয়েছে হাদিসে। হাদিসের ভাষ্যমতে, লাইলাতুল কদর হলো রমজান মাসের শেষ দশকে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা শবেকদর তালাশ করবে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে।’ (বুখারি : ২০৫৬)। তার মানে, রমজানের শেষ দশকের বিজোড় (২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজান) রাতগুলোর যে কোনোটি শবে কদর হবে। অবশ্য এ রাতগুলোর মধ্যে ২৭ রমজান (আজ ২৬ রমজান দিবাগত রাত) শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর সপক্ষে হাদিসও বর্ণিত হয়েছে।
তাবেয়ি জির ইবনে হুবাইশ (রহ.) বলেন, ‘একদিন উবাই ইবনে কাবকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার ভাই আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, যে ব্যক্তি সারা বছর রাত জেগে ইবাদত করবে, সে শবেকদর লাভ করবে। উবাই বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন! তিনি এই কথার দ্বারা বোঝাচ্ছেন, মানুষ যেন এর ওপর ভরসা করে চেষ্টাহীন বসে না থাকে। অন্যথায় তিনি নিশ্চয়ই জানেন যে তা রমজানে এবং রমজান মাসের শেষ দশ রাতেই এবং তা ২৭ তারিখের রাতেই। অতঃপর উবাই দৃঢ়ভাবে শপথ করে বললেন, তা নিশ্চয়ই ২৭ তারিখের রাতেই। জির ইবনে হুবাইশ বলেন, আমি বললাম, হে আবু মুনজির! আপনি কোন সূত্রে তা বলেন? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের যে আলামত-নিদর্শন বলেছেন সেই সূত্রে। তিনি বলেছেন, কদরের রাতের পর সকালে সূর্য উদয় হবে, কিন্তু এর কিরণ থাকবে না। (মুসলিম: ২৮৩৪)।
অধিক পুণ্যময় এ রাতে বেশি বেশি নফল আমল করা চাই। নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ইস্তিগফার ইত্যাদি আমলে নিজেকে মশগুল রাখা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশ্বাস রেখে ও সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে কিয়াম করবে, তার পেছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)। কেউ যদি পুণ্য অর্জনের এমন বড় সুযোগ পেয়ে অমনোযোগী থাকে, তাহলে তার মতো হতভাগা আর কে হতে পারে? আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! বলুন, যদি আমি বুঝতে পারি লাইলাতুল কদর কোন রাতে, তবে তখন আমি কী বলব? তিনি বললেন, তুমি বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি’, অর্থ আল্লাহ তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাস। অতএব আমাকে ক্ষমা করো। (ইবনে মাজা: ৩৯৮২)।
ত্যাগের মহিমায় ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে পবিত্র ঈদ উল আযহা পালিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৭ টায় খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত। একই স্থানে সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত।
৭ দিন আগেযথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আযহা'র জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭জুন)সকাল আটটায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
৭ দিন আগেকিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৮ তম জামাত আদায় করেন লাখো মুসল্লি। শনিবার (৭ জুন) সকাল ৯টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
৭ দিন আগেমালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের হাং তুহা মসজিদ আল বুখারাতে সকাল ৮:১৫ মিনিটে ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে এখানে প্রবাসী বাংলাদেশি ঈদের নামাজ আদায় করেন।
৭ দিন আগেত্যাগের মহিমায় ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে পবিত্র ঈদ উল আযহা পালিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৭ টায় খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত। একই স্থানে সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত।
যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আযহা'র জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭জুন)সকাল আটটায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৮ তম জামাত আদায় করেন লাখো মুসল্লি। শনিবার (৭ জুন) সকাল ৯টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের হাং তুহা মসজিদ আল বুখারাতে সকাল ৮:১৫ মিনিটে ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে এখানে প্রবাসী বাংলাদেশি ঈদের নামাজ আদায় করেন।