আবু মাহাজ,ভোলা
সরকারি অর্থায়নে নির্মিত ভোলার আটটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এখন বিদ্যুৎ বিলের কারণে সংকটে পড়েছে। জেলার সাতটি উপজেলায় চালু হওয়া সাতটি মসজিদে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ প্রায় ২২ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারায় এসব মসজিদের পরিচালনায় দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়।
জেলা মডেল মসজিদটি এখনো উদ্বোধন হয়নি। আর মনপুরা উপজেলার মসজিদে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগই হয়নি, ফলে সেটি চালু করা যায়নি।
সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ভোলায় নির্মিত হবে ৮টি মডেল মসজিদ।এরই মধ্যে ৭উপজেলায় ৭টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন হয়েছে। এই মসজিদগুলোতে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নারী ও পুরুষের পৃথক নামাজ ও ওজুখানা, কুরআন হেফজখানা, লাইব্রেরি, অতিথিশালা, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বিদেশি পর্যটকদের থাকার জায়গা, এবং ইমাম-মুয়াজ্জিন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন।
তবে এতসব সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এসব মসজিদ এখন বিপাকে পড়েছে বিদ্যুৎ বিলের কারণে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এসব মসজিদের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, গরমের সময় ৮টি দুই টনের এসি, ৪০টি ফ্যান, শতাধিক এলইডি বাল্ব, পানির মোটর, ঝাড়বাতিসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহারের কারণে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেড়ে যায়। প্রতি মাসেই একেকটি মসজিদের গড় বিদ্যুৎ বিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার বেশি আসে।
ভোলা সদর মসজিদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকার বেশি বিল আসে। গরমকালে সেটা আরও বেড়ে যায়। অথচ এই বিল মেটানোর জন্য নির্ভর করতে হয় দানবাক্সে জমা পড়া টাকার ওপর। কিন্তু এই মসজিদগুলোতে লোকসমাগম কম, ফলে দানও কম হয়।
তিনি আরও জানান, মসজিদগুলোতে ‘বাণিজ্যিক’ বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকায় ইউনিটপ্রতি খরচ আরও বেশি পড়ে।
ভোলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এম. মাকসুদুর রহমান বলেন, সরকার প্রথম মাসে প্রতিটি মসজিদের জন্য ১০০ ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছিল। এরপর আর কোনো অর্থ বরাদ্দ পাইনি। বর্তমানে ৬টি চালু মসজিদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় ২২ লাখ টাকা। আমরা জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সমস্যার সমাধান খুঁজছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রকল্প হলেও জনগণের মধ্যে ‘সরকারি মসজিদ’ বলে ধারণা তৈরি হওয়ায় তারা এখানে দান করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
ভোলার সচেতন মহলের মতে, বেশিরভাগ মডেল মসজিদ জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় তৈরি হওয়ায় সেখানে নামাজ পড়তে আসেন খুব কম মানুষ। ফলে মসজিদের নিয়মিত ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, কেন এমন এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্থাপন করা হলো এতসব আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন মসজিদ, যেখানে তার ব্যবহারই হচ্ছে না।
বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ- দুই পক্ষই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। ফাউন্ডেশন বলছে, সরকার বিদ্যুৎ বিলের জন্য আলাদা বরাদ্দ না দিলে চলা সম্ভব নয়। আর বিদ্যুৎ বিভাগ বারবার তাগাদা দিয়েও বিল পাচ্ছে না। এতে দেখা দিতে পারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঝুঁকিও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারকে এই প্রকল্পগুলোর জন্য একটি স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল গঠন করতে হবে, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য জরুরি খরচ মেটানো যাবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন জনসচেতনতা বাড়ানো, যাতে মানুষ বুঝতে পারে- মসজিদ সরকারি হোক বা বেসরকারি, তার রক্ষণাবেক্ষণে সমাজেরই অংশগ্রহণ প্রয়োজন।#
সরকারি অর্থায়নে নির্মিত ভোলার আটটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এখন বিদ্যুৎ বিলের কারণে সংকটে পড়েছে। জেলার সাতটি উপজেলায় চালু হওয়া সাতটি মসজিদে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ প্রায় ২২ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারায় এসব মসজিদের পরিচালনায় দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়।
জেলা মডেল মসজিদটি এখনো উদ্বোধন হয়নি। আর মনপুরা উপজেলার মসজিদে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগই হয়নি, ফলে সেটি চালু করা যায়নি।
সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ভোলায় নির্মিত হবে ৮টি মডেল মসজিদ।এরই মধ্যে ৭উপজেলায় ৭টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন হয়েছে। এই মসজিদগুলোতে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নারী ও পুরুষের পৃথক নামাজ ও ওজুখানা, কুরআন হেফজখানা, লাইব্রেরি, অতিথিশালা, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বিদেশি পর্যটকদের থাকার জায়গা, এবং ইমাম-মুয়াজ্জিন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন।
তবে এতসব সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এসব মসজিদ এখন বিপাকে পড়েছে বিদ্যুৎ বিলের কারণে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এসব মসজিদের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন, গরমের সময় ৮টি দুই টনের এসি, ৪০টি ফ্যান, শতাধিক এলইডি বাল্ব, পানির মোটর, ঝাড়বাতিসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহারের কারণে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেড়ে যায়। প্রতি মাসেই একেকটি মসজিদের গড় বিদ্যুৎ বিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার বেশি আসে।
ভোলা সদর মসজিদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকার বেশি বিল আসে। গরমকালে সেটা আরও বেড়ে যায়। অথচ এই বিল মেটানোর জন্য নির্ভর করতে হয় দানবাক্সে জমা পড়া টাকার ওপর। কিন্তু এই মসজিদগুলোতে লোকসমাগম কম, ফলে দানও কম হয়।
তিনি আরও জানান, মসজিদগুলোতে ‘বাণিজ্যিক’ বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকায় ইউনিটপ্রতি খরচ আরও বেশি পড়ে।
ভোলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এম. মাকসুদুর রহমান বলেন, সরকার প্রথম মাসে প্রতিটি মসজিদের জন্য ১০০ ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছিল। এরপর আর কোনো অর্থ বরাদ্দ পাইনি। বর্তমানে ৬টি চালু মসজিদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় ২২ লাখ টাকা। আমরা জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সমস্যার সমাধান খুঁজছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রকল্প হলেও জনগণের মধ্যে ‘সরকারি মসজিদ’ বলে ধারণা তৈরি হওয়ায় তারা এখানে দান করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
ভোলার সচেতন মহলের মতে, বেশিরভাগ মডেল মসজিদ জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় তৈরি হওয়ায় সেখানে নামাজ পড়তে আসেন খুব কম মানুষ। ফলে মসজিদের নিয়মিত ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, কেন এমন এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্থাপন করা হলো এতসব আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন মসজিদ, যেখানে তার ব্যবহারই হচ্ছে না।
বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ- দুই পক্ষই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রয়েছে। ফাউন্ডেশন বলছে, সরকার বিদ্যুৎ বিলের জন্য আলাদা বরাদ্দ না দিলে চলা সম্ভব নয়। আর বিদ্যুৎ বিভাগ বারবার তাগাদা দিয়েও বিল পাচ্ছে না। এতে দেখা দিতে পারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঝুঁকিও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারকে এই প্রকল্পগুলোর জন্য একটি স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল গঠন করতে হবে, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য জরুরি খরচ মেটানো যাবে। একই সঙ্গে প্রয়োজন জনসচেতনতা বাড়ানো, যাতে মানুষ বুঝতে পারে- মসজিদ সরকারি হোক বা বেসরকারি, তার রক্ষণাবেক্ষণে সমাজেরই অংশগ্রহণ প্রয়োজন।#
ত্যাগের মহিমায় ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে পবিত্র ঈদ উল আযহা পালিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৭ টায় খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত। একই স্থানে সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত।
৬ দিন আগেযথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আযহা'র জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭জুন)সকাল আটটায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
৭ দিন আগেকিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৮ তম জামাত আদায় করেন লাখো মুসল্লি। শনিবার (৭ জুন) সকাল ৯টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
৭ দিন আগেমালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের হাং তুহা মসজিদ আল বুখারাতে সকাল ৮:১৫ মিনিটে ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে এখানে প্রবাসী বাংলাদেশি ঈদের নামাজ আদায় করেন।
৭ দিন আগেত্যাগের মহিমায় ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে পবিত্র ঈদ উল আযহা পালিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৭ টায় খাগড়াছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদুল আযহার প্রধান জামাত। একই স্থানে সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত।
যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আযহা'র জেলার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭জুন)সকাল আটটায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৮ তম জামাত আদায় করেন লাখো মুসল্লি। শনিবার (৭ জুন) সকাল ৯টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের হাং তুহা মসজিদ আল বুখারাতে সকাল ৮:১৫ মিনিটে ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে এখানে প্রবাসী বাংলাদেশি ঈদের নামাজ আদায় করেন।