চাঙ্গা গদখালী ফুলের বাজার, বাড়তে শুরু করেছে দাম

মৌসুমে দেড়শ কোটি টাকার বিক্রি

প্রতিনিধি
যশোর
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

ফেব্রুয়ারিতে বসন্ত, বিশ্ব ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালীতে জমে উঠেছে ফুলের বাজার। দিবসগুলো সামনে রেখে বাড়তে শুরু করেছে ফুলের দাম।

আজ বৃহস্পতিবার বাজারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলিকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনিগন্ধা, জিপসি ও কামিনী পাতা। ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনে ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারিতেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ফুল বিক্রি হওয়ায় খুশি চাষিরা।

জানা যায়, ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালীর ফুল চাষিরা মূলত বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস, ইংরেজি নববর্ষ, বসন্ত, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে সারা বছরের বেচাকেনা করে থাকেন। মৌসুমের শেষ উৎসবের বেচাকেনা আজ বৃহস্পতিবার শেষ করছেন তারা। গত তিনদিন ধরে ফুলের ঊর্ধ্বমুখী দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। তাদের দাবি দুই সপ্তাহ আগে যে গ্লাডিওলাস পানির দামে বিক্রি করছিলেন তা এখন ৮ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ৩০০ টাকা মূল্যের প্রতিহাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকা দামে, জিপসি ও কামিনি পাতা প্রতিমুঠো ২০ টাকা, জারবেরা ৭-৮ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২-৩ টাকা। তবে দাম নিম্নমুখী থাকায় হাসি নেই গোলাপ চাষিদের মুখে। চাষিদের দাবি তারপরও সারা বছরের হিসেবে বেশ লাভেই আছেন তারা।

ফুল চাষি আব্দুস সামাদ জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি বাজার ভালো যাওয়ায় আমরা খুশি। আজ গাঁদা ফুল প্রতিহাজারে সর্বোচ্চ ১৩০০ টাকায় বিক্রি করেছি। গত তিনদিন ধরে গাঁদা, গ্লাডিওলাসের দাম ভালো যাচ্ছে।

শুকুর আলী নামে অপর এক চাষি বলেন, ‘আমি ৮ কাঠা জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করেছি। উৎপাদন খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ৬০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছি। এ ছাড়া এক বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ ছিলো। এ বছর কাঙ্খিত দাম না পেলেও খরচ উঠে লাভে আছি।’

এ দিকে গদখালী ফুল চাষি ও‌ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারির বাজারে চাহিদামত দাম পেয়েছেন ফুল চাষিরা। গত তিনদিন ধরেই বাজার চড়া। আশানুরূপ দাম পাওয়ায় চাষিরা খুশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উৎসব কেন্দ্রিক ফুল ব্যবসার মৌসুম শেষ হচ্ছে। গত ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত পুরো মৌসুমে অন্তত দেড়শ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছেন চাষিরা। তবে এটা গত মৌসুমের তুলনায় কম। তারপরও চাষিরা লাভেই থাকবেন বলে আশা করছি।’

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, যশোরের প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১৩ ধরণের ফুলের চাষ হয়। এ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক লোক জড়িত।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

উদ্যোক্তা নিয়ে আরও পড়ুন

কোনো আমদানিকারক বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য ছাড় না করলে, তিন গুণ জরিমানা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বলেন, ‘পর্যাপ্ত পরিমাণ নিত্যপণ্য আমদানি করা হয়েছে। সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।’

২ দিন আগে

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি নেই। সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম আছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আগামী দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

৩ দিন আগে

ঢাকার যাত্রাবাড়ী, শনির আখাড়া, কাপ্তান বাজার, শান্তি নগর, কারওয়ান বাজার ও মহাখালী কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা যায়, আমদানি করা সাদা চিনি ১২০ টাকা ও লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজিতে। আখের গুড় ১৪০ টাকা ও মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে।

৫ দিন আগে

নাব্য সংকটে প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে সরাসরি পণ্যবাহী বড় জাহাজ ভিড়তে পাড়ছে না। ফলে ছোট ছোট লাইটার জাহাজে পণ্য আনতে হচ্ছে বন্দরে।

৮ দিন আগে