দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবিতে মালয়েশিয়া হাইকমিশনে প্রবাসীদের অবস্থান কর্মসূচি

প্রতিনিধি
মেহেদী হাসান, মালয়েশিয়া
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৫, ১২: ৩২
Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

১৫ লাখ মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের তথ্য পাচার, হয়রানি, নির্যাতন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় শেখ পরিবারের প্রতিষ্ঠান এক্সপ্যাট সার্ভিস কুয়ালালামপুরের (এসকেএল) কার্যক্রম বন্ধ এবং এটি রক্ষার অপচেষ্টায় লিপ্ত হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর এবং পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের অপসারণ দাবিতে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের অভ্যন্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ প্রবাসীরা। এ সময় প্রবাসীরা বলেন, তারা কোনোভাবেই শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান, ১৫ লাখ প্রবাসীর তথ্য পাচারকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নিতে রাজি নন।

চুক্তির প্রায় সব শর্ত ভঙ্গ করে সরকারের কোটি টাকা আত্মসাৎসহ প্রবাসীদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য গোপন করে আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইএসকেএল টিকিয়ে রাখতে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর ও পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনসহ যারা কাজ করছেন, তাদের প্রত্যাহার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

WhatsApp Image 2025-03-05 at 12.11.18_fa2a49ef

এ সময় তারা বলেন, এই ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর বৈষম্যবিরোধীয আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং সাধারণ প্রবাসীরা যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি হয়রানি করার চেষ্টা করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিগত সময়ে পাসপোর্ট সিন্ডিকেট, কলিং ভিসা সিন্ডিকেট এবং আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে শামীম আহসান-খাস্তগীর গংয়ের নানা অনিয়মের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।

এ সময় বক্তব্য দেন সাধারণ প্রবাসীদের পক্ষ থেকে মোকাম্মেল হোসেন, আমির হোসেন, সানাউল্লাহ আরিফিন মাসুদ, রিজওয়ান হাসান, খান তরিকুলসহ অনেকে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে যে অবৈধভাবে রিট তৈরি করে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইএসকেএল -কে বৈধতা দিয়েছে, সেটি অনতিবিলম্বে বাতিল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। কোনোভাবেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেশি-বিদেশি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অত্যন্ত সংবেদনশীল ই-পাসপোর্টের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। এমনকি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সার্ভার ইএসকেএলের অফিসে তাদের দখলে রাখা যাবে না।

তারা বলেন, সাত দিনের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে সাধারণ প্রবাসীরা পরবর্তীতে হাইকমিশনে গিয়ে আমরণ অনশন ঘোষণা করবেন এবং যা যা করা দরকার, সেটা করা হবে। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, রেমিট্যান্স সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা হবে যতক্ষণ পর্যন্ত এটার সঠিক সমাধান না হয়। খুব শিগগির তারা সংবাদ সম্মেলন করে আরও বিস্তারিত ঘোষণা দেবেন, এই বলে তারা অবস্থান কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

এশিয়া নিয়ে আরও পড়ুন