বাড়ি হারিয়ে অসহায় কাশ্মীরিদের আর্তনাদ

প্রতিনিধি
নিখাদ বিশ্ব
Thumbnail image

সম্প্রতি পেহেলগামে হামলার পর থেকেই ভারত শাসিত কাশ্মীরে সৈন্যরা বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন। পেহেলগাম হামলা বা স্বাধীনতাকামী হিসেবে যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের পারিবারিক বাড়ি এ ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এমনকি সন্দেহভাজনদের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে এমন বাড়িও ভেঙে ফেলছে ভারতীয় সেনারা।

পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)-এর সদস্য। যা পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি)-র একটি শাখা। পাকিস্তান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

পেহেলগামে ২৬ জন হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ধরতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করে। কর্তৃপক্ষ তিনজন সন্দেহভাজনের স্কেচসহ ওয়ান্টেড পোস্টার প্রকাশ করেছে। তারা হলেন- আদিল হুসেন থোকার সন্দেহভাজন কাশ্মীরি বিদ্রোহী এবং দুই পাকিস্তানি নাগরিক আলি ভাই ও হাশিম মুসা। সেনারা আরেক সন্দেহভাজন বিদ্রোহী আশিফ শেখেরও খোঁজ করছে।

হামলার পর দুই সন্দেহভাজন বিদ্রোহীর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। শেখের বোন ইয়াসমিনা বলেছেন, ২৪ এপ্রিল রাতে কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলের ত্রাল এলাকায় তাদের বাড়ির চারপাশে সৈন্যরা ঘেরাও করে। একজন সৈনিক আমাদের বাড়ির কাদামাটির দেয়াল টপকে ওঠে। কিছুক্ষণ পর ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘরটি ধসে পড়ে। ভেতরে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়।

ভারতীয় সেনারা প্রায় সবকটি বাড়ি এভাবে আকষ্মিক অভিযানে গুঁড়িয়ে দেয়। বাসিন্দাদের ঘর থেকে কোনো মালামাল বের করার সুযোগ তারা দেয়নি। বর্তমানেও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলছে। সন্দেহভাজনদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে সেনারা। এ ছাড়া একই কায়দায় যখন ইচ্ছে তখন, যার বাড়ি ইচ্ছে তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে সেনারা। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে আইইডি ও বোলডোজার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

ভারত নিয়ে আরও পড়ুন