হার্ভার্ডের প্রতি বিদ্বেষ:
নিখাদ খবর ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রশাসনের কথার ব্যত্যয় ঘটলে ও সরকারের কথা না শুনলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে আর কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না।
ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এক হুঁশিয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এমনটাই জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) জানিয়েছে, নির্দিষ্ট ভিসাধারীদের কার্যকলাপ সংক্রান্ত তথ্য না দিলে হার্ভার্ড বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অধিকার হারাবে।
বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ডিএইচএস সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোএম বলেন, তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি চিঠি পাঠিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের ‘অবৈধ ও সহিংস কার্যকলাপ’ সম্পর্কিত রেকর্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যদি হার্ভার্ড নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করতে না পারে যে তারা তাদের রিপোর্টিং বাধ্যবাধকতা পূরণ করছে, তাহলে তারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার বিশেষ সুবিধা হারাবে।
এই পদক্ষেপের পাশাপাশি, ডিএইচএস হার্ভার্ডকে দেওয়া দুইটি অনুদান বাতিল করার ঘোষণাও দিয়েছে। অনুদানগুলোর মোট পরিমাণ ছিল ২৭ লাখ ডলারেরও বেশি।
হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে ট্রাম্প-প্রশাসনের পদক্ষেপ
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেওয়ার ফলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ট্রাম্প প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভিসা সংক্রান্ত তথ্য না দেওয়া হলে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সক্ষমতা হারাবে হার্ভার্ড—এমন হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এর আগে বুধবার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের সচিব ক্রিস্টি নোয়েম ঘোষণা দেন, হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত ২৭ লাখ ডলারের দুইটি অনুদান বাতিল করা হয়েছে।
নোয়েম জানিয়েছেন, তিনি হার্ভার্ডকে চিঠি দিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে হার্ভার্ডের কয়েকজন বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ওই শিক্ষার্থীরা 'অবৈধ ও সহিংস কার্যক্রমের' সঙ্গে জড়িত।
নোয়েম এক বিবৃতিতে জানান, হার্ভার্ড যদি প্রশাসনের চাহিদা মতো সম্পূর্ণ তথ্য জমা না দিতে পারে, তাহলে তারা বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সক্ষমতা হারাবে।
হার্ভার্ডের মুখপাত্র জানান, বিশ্ববিদ্যালয় নোয়েমের 'অনুদান বাতিল ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা যাচাই-বাছাই' সংক্রান্ত চিঠির বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছে।
মুখপাত্র জানান, এ সপ্তাহের শুরুতে হার্ভার্ডের দেওয়া বিবৃতিতেই তারা স্থির থাকতে চান। সেখানে বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়টি 'নিজেদের স্বাধীনতা আত্মসমর্পণ করবে না বা সাংবিধানিক অধিকার ত্যাগ করবে না'।
তবে তারা আইন মেনে চলার কথাও জানিয়েছে।
ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ
গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে । ছবি: এএফপি
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী হামাস হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ ব্যক্তিকে হত্যা ও ২৫০ ব্যক্তিকে অপহরণ করে। এই ঘটনার পর গাজায় ইসরায়েল প্রতিহিংসামূলক ও নির্বিচার হামলা শুরু করে, যা আজও চলছে।
ইসরায়েলের এসব হামলার প্রতিবাদে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলি বিরোধী ও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দানা বেঁধে ওঠে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগেই এসব আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে।
তা সত্ত্বেও, ট্রাম্প প্রশাসন ক্যাম্পাসের এসব বিক্ষোভ-সূত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে চলেছে, যার মধ্যে আছে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান বন্ধসহ আরও কঠোর ব্যবস্থা। এই ধারার সর্বশেষ উদাহরণ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী বন্ধের হুমকি।
ট্রাম্প ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির প্রতি হুমকি হিসেবে দেখেন। তিনি তাদেরকে ইহুদিবিদ্বেষী ও হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে চিত্রায়িত করেছেন একাধিকবার।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ন্যায্য আন্দোলন ও গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক কার্যক্রমের প্রতিবাদকে ভুল করে উগ্রবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষ হিসেবে প্রচার করছে। ইহুদিদের কয়েকটি সংগঠনও এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছে।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর এমন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। হার্ভার্ডসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন, যারা শুধু শিক্ষা খাতেই নয়, অর্থনীতির ওপরও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
ট্রাম্প প্রশাসন বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ও অনেকের ভিসা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে।
নোয়েম দাবি করেন, হার্ভার্ডে 'আমেরিকা-বিরোধী ও হামাসপন্থি চিন্তাধারার' অস্তিত্ব রয়েছে।
এর আগে হার্ভার্ড জানিয়েছে, তারা ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ ও অন্য যেকোনো ধরনের উগ্রতা দূর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও প্রতিবাদ জানানোর অধিকার লঙ্ঘন হয়, এমন কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে জানিয়েছে।
তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রশাসনের এই হুমকি শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এক ধরনের চাপ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির মতে, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে কারণ তারা ফিলিস্তিন সংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আর এই ধরনের প্রশ্ন তোলার অধিকার যে কারোরই রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রশাসনের কথার ব্যত্যয় ঘটলে ও সরকারের কথা না শুনলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে আর কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না।
ফলে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এক হুঁশিয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এমনটাই জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) জানিয়েছে, নির্দিষ্ট ভিসাধারীদের কার্যকলাপ সংক্রান্ত তথ্য না দিলে হার্ভার্ড বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার অধিকার হারাবে।
বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ডিএইচএস সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোএম বলেন, তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি চিঠি পাঠিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের ‘অবৈধ ও সহিংস কার্যকলাপ’ সম্পর্কিত রেকর্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যদি হার্ভার্ড নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করতে না পারে যে তারা তাদের রিপোর্টিং বাধ্যবাধকতা পূরণ করছে, তাহলে তারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার বিশেষ সুবিধা হারাবে।
এই পদক্ষেপের পাশাপাশি, ডিএইচএস হার্ভার্ডকে দেওয়া দুইটি অনুদান বাতিল করার ঘোষণাও দিয়েছে। অনুদানগুলোর মোট পরিমাণ ছিল ২৭ লাখ ডলারেরও বেশি।
হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে ট্রাম্প-প্রশাসনের পদক্ষেপ
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেওয়ার ফলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ট্রাম্প প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভিসা সংক্রান্ত তথ্য না দেওয়া হলে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সক্ষমতা হারাবে হার্ভার্ড—এমন হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এর আগে বুধবার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের সচিব ক্রিস্টি নোয়েম ঘোষণা দেন, হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত ২৭ লাখ ডলারের দুইটি অনুদান বাতিল করা হয়েছে।
নোয়েম জানিয়েছেন, তিনি হার্ভার্ডকে চিঠি দিয়ে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে হার্ভার্ডের কয়েকজন বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ওই শিক্ষার্থীরা 'অবৈধ ও সহিংস কার্যক্রমের' সঙ্গে জড়িত।
নোয়েম এক বিবৃতিতে জানান, হার্ভার্ড যদি প্রশাসনের চাহিদা মতো সম্পূর্ণ তথ্য জমা না দিতে পারে, তাহলে তারা বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সক্ষমতা হারাবে।
হার্ভার্ডের মুখপাত্র জানান, বিশ্ববিদ্যালয় নোয়েমের 'অনুদান বাতিল ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা যাচাই-বাছাই' সংক্রান্ত চিঠির বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছে।
মুখপাত্র জানান, এ সপ্তাহের শুরুতে হার্ভার্ডের দেওয়া বিবৃতিতেই তারা স্থির থাকতে চান। সেখানে বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়টি 'নিজেদের স্বাধীনতা আত্মসমর্পণ করবে না বা সাংবিধানিক অধিকার ত্যাগ করবে না'।
তবে তারা আইন মেনে চলার কথাও জানিয়েছে।
ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ
গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে । ছবি: এএফপি
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী হামাস হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ ব্যক্তিকে হত্যা ও ২৫০ ব্যক্তিকে অপহরণ করে। এই ঘটনার পর গাজায় ইসরায়েল প্রতিহিংসামূলক ও নির্বিচার হামলা শুরু করে, যা আজও চলছে।
ইসরায়েলের এসব হামলার প্রতিবাদে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলি বিরোধী ও ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দানা বেঁধে ওঠে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগেই এসব আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে।
তা সত্ত্বেও, ট্রাম্প প্রশাসন ক্যাম্পাসের এসব বিক্ষোভ-সূত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে চলেছে, যার মধ্যে আছে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান বন্ধসহ আরও কঠোর ব্যবস্থা। এই ধারার সর্বশেষ উদাহরণ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী বন্ধের হুমকি।
ট্রাম্প ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির প্রতি হুমকি হিসেবে দেখেন। তিনি তাদেরকে ইহুদিবিদ্বেষী ও হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে চিত্রায়িত করেছেন একাধিকবার।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ন্যায্য আন্দোলন ও গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক কার্যক্রমের প্রতিবাদকে ভুল করে উগ্রবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষ হিসেবে প্রচার করছে। ইহুদিদের কয়েকটি সংগঠনও এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছে।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর এমন সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। হার্ভার্ডসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন, যারা শুধু শিক্ষা খাতেই নয়, অর্থনীতির ওপরও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
ট্রাম্প প্রশাসন বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েকজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ও অনেকের ভিসা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে।
নোয়েম দাবি করেন, হার্ভার্ডে 'আমেরিকা-বিরোধী ও হামাসপন্থি চিন্তাধারার' অস্তিত্ব রয়েছে।
এর আগে হার্ভার্ড জানিয়েছে, তারা ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ ও অন্য যেকোনো ধরনের উগ্রতা দূর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও প্রতিবাদ জানানোর অধিকার লঙ্ঘন হয়, এমন কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে জানিয়েছে।
তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রশাসনের এই হুমকি শিক্ষার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এক ধরনের চাপ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা।
বিশ্ববিদ্যালয়টির মতে, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে কারণ তারা ফিলিস্তিন সংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলনে প্রশাসনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আর এই ধরনের প্রশ্ন তোলার অধিকার যে কারোরই রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ ঘিরে যখন অস্থিতিশীল বিশ্ব বাজার আর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে অস্বস্তিতে রয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা, এমন সময়ে সুখবরের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষ্যমতে, চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক কমাতে চান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি লোহিত সাগরে লাগাতার হুথি যোদ্ধাদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে ইসরায়েলের দোসর দেশগুলোর বাণিজ্যিক জাহাজ। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এসব বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইরানের মদতপুষ্ট হুথি গোষ্ঠী।
৯ ঘণ্টা আগেশনিবার ভোরে দিল্লির মুস্তাফাবাদে একটি চারতলা ভবন ধসে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় উদ্ধার করা হয় ১৪ জনকে।
১১ ঘণ্টা আগেআফ্রিকার কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাওয়ার সময় ইঞ্জিনচালিত একটি কাঠের নৌকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে সেটি উল্টে গেলে এতে প্রাণ হারান অন্তত ১৪৮ জন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কঙ্গো নদীতে।
১১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ ঘিরে যখন অস্থিতিশীল বিশ্ব বাজার আর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে অস্বস্তিতে রয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা, এমন সময়ে সুখবরের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষ্যমতে, চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক কমাতে চান তিনি।
সম্প্রতি লোহিত সাগরে লাগাতার হুথি যোদ্ধাদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে ইসরায়েলের দোসর দেশগুলোর বাণিজ্যিক জাহাজ। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এসব বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইরানের মদতপুষ্ট হুথি গোষ্ঠী।
শনিবার ভোরে দিল্লির মুস্তাফাবাদে একটি চারতলা ভবন ধসে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এসময় উদ্ধার করা হয় ১৪ জনকে।
আফ্রিকার কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাওয়ার সময় ইঞ্জিনচালিত একটি কাঠের নৌকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে সেটি উল্টে গেলে এতে প্রাণ হারান অন্তত ১৪৮ জন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের কঙ্গো নদীতে।