কিশোরগঞ্জের নিকলী দামপাড়া ইউনিয়নের কৃষক মো. কামরুল হাসান চলতি বোরো মৌসুমে ১২ একর জমিতে চাষ করছেন।

সম্প্রতি তিনি স্থানীয় বিসিআইসি ডিলারের কাছে পাঁচ বস্তা সারের জন্য যান, কিন্তু পেয়েছেন মাত্র দুই বস্তা। ডিলাররা জানান, এবার তাদের বরাদ্দ কম এসেছে।

জেলার অন্যান্য এলাকায়ও সারের অভাব দেখা দিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, এবার জেলায় চাহিদার অর্ধেকই বরাদ্দ হয়েছে। এর ফলে বোরো ও ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানিয়েছেন, সার না পেলে ফসলের উৎপাদন কমে যেতে পারে।

নিকলী ও শিংপুর ইউনিয়নের চাষিরা জানান, সার সরবরাহের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার শিংপুরে নয়, বরং ৪০ কিলোমিটার দূরের ভৈরব থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত। এতে সরবরাহে বিলম্ব ও চোরাই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ডিলার থাকলে সমস্যা সহজে সমাধান হতো।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাদিকুর রহমান জানান, নভেম্বরের মধ্যে হাওর এলাকায় বোরো বীজতলা তৈরি শুরু হবে এবং ভুট্টার আবাদও শুরু হয়েছে। সারের সংকট শিগগিরই দূর হবে। এ বছর জেলায় হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের বোরো বীজতলা আবাদ হবে ৭,৮৪৩ হেক্টর এবং মোট বোরো জমি হবে ১,৬৮,২৬০ হেক্টর। ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১,২০,৫০৯ টন।

তিনি আরও জানান, জেলায় অন্তত ৩০ জন ডিলার নিজের উপজেলার বাইরে দায়িত্ব পালন করছেন। কৃষি মন্ত্রণালয় ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা-২০২৫’ প্রণয়ন করছে, যা ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত হলে স্থানীয় ডিলারের বাইরে অন্য এলাকায় দায়িত্ব দেওয়ার সুযোগ বন্ধ হবে।