বাগেরহাট

পূর্ব সুন্দরবনের দুবলারচরের আলোরকোলে সাগরের প্রথম জোয়ারে স্নান সম্পন্নের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব। এবারের উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ১৪ হাজার পুণ্যার্থী অংশ নেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে সূর্যোদয়ের আগ মুহূর্তে সাগরের জোয়ারের পানিতে পুণ্যস্নান করে নিজেদের মনোবাসনা পূরণের প্রার্থনা করেন তারা। পুণ্যস্নানের মাধ্যমে রাধাকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি ও পবিত্রতার প্রতীকী প্রকাশ ঘটে এই আচার অনুষ্ঠানে।
এর আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ রাস উৎসবের সূচনা হয়। তিনদিন ধরে দুবলারচর পরিণত হয় এক ধর্মীয় মিলনমেলায়। লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকায় চড়ে হাজারো তীর্থযাত্রী ভিড় করেন সাগরকূলের এই চরে। সন্ধ্যায় চলে পূজা-অর্চনা ও ভক্তি গান; আর মঙ্গলবার ছিল পূন্যস্নান পূজা ও মানত পরিশোধের দিন।
উৎসবকে ঘিরে সুন্দরবনে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উৎসবস্থল ও আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করে রাখেন। দস্যু ও বন্যপ্রাণী শিকারি দমনেও নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান সময় নিউজকে জানান, “রাস পূর্ণিমা উৎসব উপলক্ষ্যে কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন বাহিনী যৌথভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করেছে। দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে আগমন ও প্রত্যাবর্তন করতে পারেন, সে জন্য কন্ট্রোল পয়েন্ট ও চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের মুখের হাসিই প্রমাণ করে তারা কতটা নিরাপদ ও আনন্দমুখর পরিবেশে উৎসব পালন করেছেন।”
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “চলতি বছর প্রায় ১৪ হাজার তীর্থযাত্রী রাস পূজায় অংশ নিয়েছেন। বুধবার ভোরে সাগরের প্রথম জোয়ারে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সকল আচার-অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।”
উনিশ শতকের শুরুর দিকে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুসারী সাধু হরিভজন প্রথম দুবলার আলোরকোলে রাস পূর্ণিমার পূজা শুরু করেন। তিনি তাঁর ভক্তদের নিয়ে সাগরে পুণ্যস্নান করতেন। পরে ধীরে ধীরে এই ধর্মীয় পূজাই লোকসমাগমের মাধ্যমে এক বৃহৎ রাসমেলায় পরিণত হয়। তবে ২০১৭ সাল থেকে বন বিভাগের সিদ্ধান্তে মেলার আয়োজন বন্ধ রয়েছে। এদিন স্নান শেষে ভক্তরা লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকায় করে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।

পূর্ব সুন্দরবনের দুবলারচরের আলোরকোলে সাগরের প্রথম জোয়ারে স্নান সম্পন্নের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব। এবারের উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ১৪ হাজার পুণ্যার্থী অংশ নেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে সূর্যোদয়ের আগ মুহূর্তে সাগরের জোয়ারের পানিতে পুণ্যস্নান করে নিজেদের মনোবাসনা পূরণের প্রার্থনা করেন তারা। পুণ্যস্নানের মাধ্যমে রাধাকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি ও পবিত্রতার প্রতীকী প্রকাশ ঘটে এই আচার অনুষ্ঠানে।
এর আগে সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ রাস উৎসবের সূচনা হয়। তিনদিন ধরে দুবলারচর পরিণত হয় এক ধর্মীয় মিলনমেলায়। লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকায় চড়ে হাজারো তীর্থযাত্রী ভিড় করেন সাগরকূলের এই চরে। সন্ধ্যায় চলে পূজা-অর্চনা ও ভক্তি গান; আর মঙ্গলবার ছিল পূন্যস্নান পূজা ও মানত পরিশোধের দিন।
উৎসবকে ঘিরে সুন্দরবনে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উৎসবস্থল ও আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করে রাখেন। দস্যু ও বন্যপ্রাণী শিকারি দমনেও নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান সময় নিউজকে জানান, “রাস পূর্ণিমা উৎসব উপলক্ষ্যে কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন বাহিনী যৌথভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করেছে। দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে আগমন ও প্রত্যাবর্তন করতে পারেন, সে জন্য কন্ট্রোল পয়েন্ট ও চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের মুখের হাসিই প্রমাণ করে তারা কতটা নিরাপদ ও আনন্দমুখর পরিবেশে উৎসব পালন করেছেন।”
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “চলতি বছর প্রায় ১৪ হাজার তীর্থযাত্রী রাস পূজায় অংশ নিয়েছেন। বুধবার ভোরে সাগরের প্রথম জোয়ারে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সকল আচার-অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।”
উনিশ শতকের শুরুর দিকে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুসারী সাধু হরিভজন প্রথম দুবলার আলোরকোলে রাস পূর্ণিমার পূজা শুরু করেন। তিনি তাঁর ভক্তদের নিয়ে সাগরে পুণ্যস্নান করতেন। পরে ধীরে ধীরে এই ধর্মীয় পূজাই লোকসমাগমের মাধ্যমে এক বৃহৎ রাসমেলায় পরিণত হয়। তবে ২০১৭ সাল থেকে বন বিভাগের সিদ্ধান্তে মেলার আয়োজন বন্ধ রয়েছে। এদিন স্নান শেষে ভক্তরা লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকায় করে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।

গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকায় ইয়াসিন এন্টারপ্রাইজ নামক ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১৬ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে বিষপান করেছেন ভাইবোন। এ ঘটনায় বোনের মৃত্যু হয়েছে। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ধুলিহর (সানাপাড়া) এলাকার মোঃ ইমদাদুল ইসলাম (২৭), রহমত (৪৩) ও মোঃ আশিকুজ্জামান (২৫)।
১ দিন আগে
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাটকে শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদি-এর নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি শৈশব ও কৈশোরের অমলিন স্মৃতিগুলো এই এলাকার নদীর তীর ও ঘাটের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। বরিশাল বিআইডব্লিউটি-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১ দিন আগেগাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকায় ইয়াসিন এন্টারপ্রাইজ নামক ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে বিষপান করেছেন ভাইবোন। এ ঘটনায় বোনের মৃত্যু হয়েছে। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ধুলিহর (সানাপাড়া) এলাকার মোঃ ইমদাদুল ইসলাম (২৭), রহমত (৪৩) ও মোঃ আশিকুজ্জামান (২৫)।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার লঞ্চঘাটকে শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদি-এর নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি শৈশব ও কৈশোরের অমলিন স্মৃতিগুলো এই এলাকার নদীর তীর ও ঘাটের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। বরিশাল বিআইডব্লিউটি-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।