পঞ্চগড়ে চুরির ঘটনায় জনতার হাতে আটক হওয়া তরুণই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রিফাত বিন সাজ্জাদ (২৩)। তার বাড়ি জেলার বোদা উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকায়। সে ওই এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে। গত শনিবার (৮ মার্চ) রাতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটোয়ারী থানা পুলিশ তাকে আটক করে। গত ১৪ জানুয়ারি রেললাইনে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে সেই নারীর মৃত্যু ট্রেনে কাটা পড়ে হয়েছে বলে ধারণা করা হলেও তদন্তে রিফাত বিন সাজ্জাদ সেই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বলে বেরিয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে রিফাত আদালতে ধর্ষণের পর হত্যার কথা নিজেই স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, ওই নারীকে সাজ্জাদ ধর্ষণের পরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মেরে ফেলে। পরে কাঁচি দিয়ে তার স্তন ও যৌনাঙ্গ কেটে রেললাইনে ফেলে রাখে। ধর্ষণের ঘটনাটি ট্রেনে কাটা পড়ে হত্যা বানিয়ে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল সাজ্জাদ। পুরো ঘটনাটি নিজের মুঠোফোনে ধারণও করে সে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) এসএম শফিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশের কর্মকর্তাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৮ মার্চ শনিবার রাতে আটোয়ারী উপজেলার কিসমত এলাকায় একটি বাড়িতে ইজিবাইক চুরি করতে যায় সাজ্জাদ। সেখানে গ্রামবাসী তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।