ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কিছু অঞ্চলে ধানের জমিতে হঠাৎ করে মাজরা পোকার আক্রমণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। রবি মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হওয়ার কথা থাকলেও উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের লামাপাড়া, টাঙ্গুয়া ও সাতপাই গ্রামের চিত্র ভিন্ন।
এই তিনটি গ্রামের শতাধিক কৃষকের প্রায় ৩ থেকে ৪ হেক্টর জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণে ধানের শীষ মরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। ফলন হাতে পাওয়ার মুহূর্তে এসে এমন ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
টাঙ্গুয়া গ্রামের কৃষক মোঃ কাজিম উদ্দিন জানান, “৪০ শতক জমিতে ধান চাষ করছি। ফলনও ভালোই হইছিল। কিন্তু ধান পাকতে শুরু করার পর দেখি অনেক শীষ সাদা হইয়া যাইতেছে। বাজার থেইকা বিষ এনে ছিটাইছি, কিন্তু কোনো লাভ হইতেছে না।”
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার জানান, “১৩০ শতক জমিতে ধান লাগাইছি। ধান যখন পাকার পথে, তখনই দেখি শীষ মরা শুরু হইছে। খুব চিন্তায় আছি।”
সাতপাই গ্রামের কৃষক মাতাব উদ্দিন বলেন, “৭০ শতক জমিতে ধান আছে। পরাগায়নের শুরুতেই অনেক শীষ শুকাইয়া সাদা হইয়া যাইতেছে।”
তবে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিষয়টি এখনও অজানা গৌরীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকিকুন্নাহার বলেন, “আমি কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। কিন্তু কেউ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।”
এ দাবি নাকচ করে লামাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, “কৃষি অফিসের লোকজনকে এলাকায় পাওয়া যায় না। ফোন দিলেও ধরেন না। আমার ১৬০ শতক জমির মধ্যে প্রায় ৩০ ভাগ ধানে পোকা ধরছে।”
জুলফিকার আলী নামের আরেক কৃষক জানান, “আমার ১২০ শতক জমির ধান এখন থোড় অবস্থায়। ধীরে ধীরে শীষগুলো সাদা হয়ে যাচ্ছে। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে সব ধানই নষ্ট হইয়া যাইবে।”
গৌরীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, “মাজরা পোকা ধানের শীষ মেরে ফেলে বলে শীষ সাদা হয়ে যায়। সময়মতো জানানো হলে এবং সঠিক নিয়মে কীটনাশক ব্যবহার করলে ক্ষতি অনেকটা কমিয়ে আনা যেত।”
তিনি আরও জানান, এ বছর উপজেলায় ২০ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৬ হাজার ৬৪৬ মেট্রিক টন।
তবে মাঠপর্যায়ে তদারকির ঘাটতি এবং কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অভাবকেই দায়ী করছেন কৃষকেরা। তাদের মতে, শুধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা নয়, মাঠে কৃষকের পাশে থাকাটাই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কিছু অঞ্চলে ধানের জমিতে হঠাৎ করে মাজরা পোকার আক্রমণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। রবি মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হওয়ার কথা থাকলেও উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের লামাপাড়া, টাঙ্গুয়া ও সাতপাই গ্রামের চিত্র ভিন্ন।
এই তিনটি গ্রামের শতাধিক কৃষকের প্রায় ৩ থেকে ৪ হেক্টর জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণে ধানের শীষ মরে সাদা হয়ে যাচ্ছে। ফলন হাতে পাওয়ার মুহূর্তে এসে এমন ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
টাঙ্গুয়া গ্রামের কৃষক মোঃ কাজিম উদ্দিন জানান, “৪০ শতক জমিতে ধান চাষ করছি। ফলনও ভালোই হইছিল। কিন্তু ধান পাকতে শুরু করার পর দেখি অনেক শীষ সাদা হইয়া যাইতেছে। বাজার থেইকা বিষ এনে ছিটাইছি, কিন্তু কোনো লাভ হইতেছে না।”
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার জানান, “১৩০ শতক জমিতে ধান লাগাইছি। ধান যখন পাকার পথে, তখনই দেখি শীষ মরা শুরু হইছে। খুব চিন্তায় আছি।”
সাতপাই গ্রামের কৃষক মাতাব উদ্দিন বলেন, “৭০ শতক জমিতে ধান আছে। পরাগায়নের শুরুতেই অনেক শীষ শুকাইয়া সাদা হইয়া যাইতেছে।”
তবে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিষয়টি এখনও অজানা গৌরীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকিকুন্নাহার বলেন, “আমি কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। কিন্তু কেউ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।”
এ দাবি নাকচ করে লামাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, “কৃষি অফিসের লোকজনকে এলাকায় পাওয়া যায় না। ফোন দিলেও ধরেন না। আমার ১৬০ শতক জমির মধ্যে প্রায় ৩০ ভাগ ধানে পোকা ধরছে।”
জুলফিকার আলী নামের আরেক কৃষক জানান, “আমার ১২০ শতক জমির ধান এখন থোড় অবস্থায়। ধীরে ধীরে শীষগুলো সাদা হয়ে যাচ্ছে। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে সব ধানই নষ্ট হইয়া যাইবে।”
গৌরীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, “মাজরা পোকা ধানের শীষ মেরে ফেলে বলে শীষ সাদা হয়ে যায়। সময়মতো জানানো হলে এবং সঠিক নিয়মে কীটনাশক ব্যবহার করলে ক্ষতি অনেকটা কমিয়ে আনা যেত।”
তিনি আরও জানান, এ বছর উপজেলায় ২০ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৬ হাজার ৬৪৬ মেট্রিক টন।
তবে মাঠপর্যায়ে তদারকির ঘাটতি এবং কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অভাবকেই দায়ী করছেন কৃষকেরা। তাদের মতে, শুধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা নয়, মাঠে কৃষকের পাশে থাকাটাই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে(বেরোবি)শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক পরিচ্ছন্ন রাজনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বেরোবি শাখা সদস্য ফরম বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছেন।
৯ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বাগেরহাট জেলা সদরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে শহর রক্ষা বাধ মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সের পাশে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগেজেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনায় আমরা নতুন উদ্যোমে এই গণশুনানি কার্যক্রম শুরু করি। মানুষজন নানা সমস্যা ও অভাব অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসে। আমরা তাদের সাধ্য মতো সমাধান দেয়ার চেষ্টা করি।
৯ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলায় শরিফুল গাজী (৩৮) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার পরে অভিযুক্ত যুবক রাজু গাজী গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। রোববার (২০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে খেশরা ইউনিয়নের শাহাপুর মাদ্রাসার সামনে ঘটনাটি ঘটে।
১০ ঘণ্টা আগেরংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে(বেরোবি)শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক পরিচ্ছন্ন রাজনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বেরোবি শাখা সদস্য ফরম বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছেন।
দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বাগেরহাট জেলা সদরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। রোববার (২০ জুলাই) দুপুরে শহর রক্ষা বাধ মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সের পাশে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক সাবেত আলী বলেন, মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনায় আমরা নতুন উদ্যোমে এই গণশুনানি কার্যক্রম শুরু করি। মানুষজন নানা সমস্যা ও অভাব অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসে। আমরা তাদের সাধ্য মতো সমাধান দেয়ার চেষ্টা করি।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় শরিফুল গাজী (৩৮) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার পরে অভিযুক্ত যুবক রাজু গাজী গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। রোববার (২০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে খেশরা ইউনিয়নের শাহাপুর মাদ্রাসার সামনে ঘটনাটি ঘটে।