খাগড়াছড়ির গুইমারার রামসু বাজার ও জেলা সদরের স্বনির্ভর বাজারে সহিংসতায় নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে মাঝে মানবিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(৬ নভেম্বর) দুপুরে জেলার গুইমারা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে রামসু বাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় এ চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা ও পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল।

গুইমারায় নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা, আহত ১৩ পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত ৯৭ পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এর আগে, ঘটনার পরপরই নিহত প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।

একই দিন বিকালে, জেলা সদরের স্বনির্ভর এলাকায় সহিংসতায় আহত ৭ জন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ২৮ পরিবারের মধ্যে সমপরিমাণ মানবিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়। ঘটনাস্থলে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন এবং সেনাবাহিনী আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায়।

এদিকে, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের মানববিক সহায়তা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আরো এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানা গেছে। যা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।

উল্লেখ, খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থীকে কথিত ধর্ষণের ঘটনায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে গুইমারায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন নিহত এবং একজন মেজরসহ অন্তত ১৩ জন আহত হন। সন্ত্রাসীরা বাড়ি, ঘর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ চালায়। এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে স্বনির্ভর বাজার ও মহাজন পাড়া এলাকায় একই গ্রুপ ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছে।