চার লেনে উন্নীত করার দাবি
বাগেরহাট
খুলনা মোংলা মহাসড়ক এখন মৃত্যুফাঁদের অপর নাম। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে নিরীহ মানুষের প্রাণ। খানাখন্দ, ভাঙাচোরা সড়ক, অপ্রশস্ত দুই লেন, আর নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন সব মিলিয়ে এ সড়কে সাধারণ মানুষের জীবন যেন হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত।
স্থানীয়রা বলছেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা থেকে প্রতিদিন এই মহাসড়ক ধরে চলাচল করছে শত শত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ভারী যানবাহন। এসব গাড়ির চাপে সড়কের পিচের সলিং উঠে গিয়ে জায়গায় জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় এসব গর্তে পানি জমে পুরো রাস্তা হয়ে ওঠে মরণফাঁদ। সন্ধ্যার পর এক লেনের অপ্রশস্ত সড়ক দিয়ে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়ায় ভারী যানবাহন। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়।
এই মহাসড়কের চেয়ারম্যানের মোড়, তেতুলিয়া ব্রিজ, দিগরাজ এলাকায় বেশকিছু অংশ ব্যাপকভাবে ভেঙ্গে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের।
এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে যাত্রী এবং চালকদের অভিযোগ, বহু বছর ধরে এ সড়কের উন্নয়নের দাবি জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ইপিজেডের একটি কারখানায় কাজের জন্য যেতে হয় গোনা ব্রিজ এলাকার মারফ হোসেনকে। তিনি বলেন, এ সড়কে প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হয়। সন্ধ্যার পর চলাচল মানেই আতঙ্ক।
অপর এক যাত্রী মরিয়ম সুলতানা জানান, খুব ভোরে উঠে তিনি মোংলা বন্দরের একটি ব্যাগের কারখানায় যান। কখনো না কখনো দুর্ঘটনার শিকার হবো—এ ভয় নিয়েই চলাচল করতে হয়, বলছিলেন তিনি।
চালকরাও বলছেন, সড়কের বর্তমান অবস্থা তাদের জন্য বড় ঝুঁকি। একজন ট্রাক চালক জানান, গর্ত এড়াতে গিয়ে অনেক সময় গাড়ি খাদে পড়ে যায়। রাস্তা যদি চার লেন করা হয় তাহলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমবে। বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে দ্রুত পৌঁছাতে হয়। কিন্তু রাস্তায় খানাখন্দ থাকায় ঝুঁকি নিয়েই গাড়ী চালাতে হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, যাত্রী ও চালকরা বলছেন, খুলনা–মোংলা মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কারণ এই সড়কই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক লাইফলাইন। সড়ক সংস্কার ও চার লেনের কাজ দ্রুত শুরু হলে যেমন দুর্ঘটনা কমবে, তেমনি নিরাপদ হবে যাত্রী চলাচল ও পণ্য পরিবহণ।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্য বলছে, গত ৭ মাসেই এই সড়কে অন্তত ৩০টি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ জন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অসংখ্য যানবাহন খাদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে প্রতিদিনই যাত্রীদের চলাচল করতে হয় এই মহাসড়কে।
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, অবৈধ ও নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়কের অপ্রশস্ততা ও ভাঙাচোরা অবস্থা।
কাটাখালী হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ জাফর আহমেদ বলেন, আমরা মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু সড়কের দুরবস্থা না কাটলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। এই মহাসড়ক থেকে চার লেনে উত্তীর্ণ করা গেলে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।
প্রতিনিয়তই সক্ষম থেকে সক্ষমতর হচ্ছে মোংলা বন্দর। তাই এখানে বেড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। প্রতিদিন হাজারো টন পণ্য এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করছে। অথচ এ সড়কই এখন মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম। খুলনা মোংলা মহাসড়ক সংস্কার ও উন্নয়নে কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিবে এমনটাই আশা করছেন সবাই।
খুলনা মোংলা মহাসড়ক এখন মৃত্যুফাঁদের অপর নাম। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে নিরীহ মানুষের প্রাণ। খানাখন্দ, ভাঙাচোরা সড়ক, অপ্রশস্ত দুই লেন, আর নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন সব মিলিয়ে এ সড়কে সাধারণ মানুষের জীবন যেন হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত।
স্থানীয়রা বলছেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা থেকে প্রতিদিন এই মহাসড়ক ধরে চলাচল করছে শত শত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ভারী যানবাহন। এসব গাড়ির চাপে সড়কের পিচের সলিং উঠে গিয়ে জায়গায় জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সময় এসব গর্তে পানি জমে পুরো রাস্তা হয়ে ওঠে মরণফাঁদ। সন্ধ্যার পর এক লেনের অপ্রশস্ত সড়ক দিয়ে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়ায় ভারী যানবাহন। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়।
এই মহাসড়কের চেয়ারম্যানের মোড়, তেতুলিয়া ব্রিজ, দিগরাজ এলাকায় বেশকিছু অংশ ব্যাপকভাবে ভেঙ্গে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের।
এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে যাত্রী এবং চালকদের অভিযোগ, বহু বছর ধরে এ সড়কের উন্নয়নের দাবি জানালেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ইপিজেডের একটি কারখানায় কাজের জন্য যেতে হয় গোনা ব্রিজ এলাকার মারফ হোসেনকে। তিনি বলেন, এ সড়কে প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হয়। সন্ধ্যার পর চলাচল মানেই আতঙ্ক।
অপর এক যাত্রী মরিয়ম সুলতানা জানান, খুব ভোরে উঠে তিনি মোংলা বন্দরের একটি ব্যাগের কারখানায় যান। কখনো না কখনো দুর্ঘটনার শিকার হবো—এ ভয় নিয়েই চলাচল করতে হয়, বলছিলেন তিনি।
চালকরাও বলছেন, সড়কের বর্তমান অবস্থা তাদের জন্য বড় ঝুঁকি। একজন ট্রাক চালক জানান, গর্ত এড়াতে গিয়ে অনেক সময় গাড়ি খাদে পড়ে যায়। রাস্তা যদি চার লেন করা হয় তাহলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমবে। বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে দ্রুত পৌঁছাতে হয়। কিন্তু রাস্তায় খানাখন্দ থাকায় ঝুঁকি নিয়েই গাড়ী চালাতে হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, যাত্রী ও চালকরা বলছেন, খুলনা–মোংলা মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কারণ এই সড়কই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক লাইফলাইন। সড়ক সংস্কার ও চার লেনের কাজ দ্রুত শুরু হলে যেমন দুর্ঘটনা কমবে, তেমনি নিরাপদ হবে যাত্রী চলাচল ও পণ্য পরিবহণ।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্য বলছে, গত ৭ মাসেই এই সড়কে অন্তত ৩০টি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ জন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অসংখ্য যানবাহন খাদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে প্রতিদিনই যাত্রীদের চলাচল করতে হয় এই মহাসড়কে।
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, অবৈধ ও নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়কের অপ্রশস্ততা ও ভাঙাচোরা অবস্থা।
কাটাখালী হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ জাফর আহমেদ বলেন, আমরা মহাসড়কে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। কিন্তু সড়কের দুরবস্থা না কাটলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। এই মহাসড়ক থেকে চার লেনে উত্তীর্ণ করা গেলে দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।
প্রতিনিয়তই সক্ষম থেকে সক্ষমতর হচ্ছে মোংলা বন্দর। তাই এখানে বেড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। প্রতিদিন হাজারো টন পণ্য এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করছে। অথচ এ সড়কই এখন মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম। খুলনা মোংলা মহাসড়ক সংস্কার ও উন্নয়নে কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিবে এমনটাই আশা করছেন সবাই।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য এবং সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
৩ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার মহালছড়ি উপজেলা সফর করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরে বাল্যবিয়ে নিরসনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিসহ অংশীজনদের মতামত নিয়ে তৈরি নির্দেশিকা ‘অ্যাডভোকেসি টুলকিট’ এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেভিসা প্রতারণার ফাঁদে পরে সাড়ে আঠারো লাখ টাকা খুঁইয়ে প্রতারকের বাড়িতে অনশন করেছেন এক সিঙ্গাপুর ফেরত প্রবাসী যুবক।
৪ ঘণ্টা আগেখুলনা মোংলা মহাসড়ক এখন মৃত্যুফাঁদের অপর নাম। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে নিরীহ মানুষের প্রাণ। খানাখন্দ, ভাঙাচোরা সড়ক, অপ্রশস্ত দুই লেন, আর নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন সব মিলিয়ে এ সড়কে সাধারণ মানুষের জীবন যেন হয়ে উঠেছে অনিশ্চিত।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য এবং সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার মহালছড়ি উপজেলা সফর করেছেন।
রংপুরে বাল্যবিয়ে নিরসনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিসহ অংশীজনদের মতামত নিয়ে তৈরি নির্দেশিকা ‘অ্যাডভোকেসি টুলকিট’ এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।