বাগেরহাট

লোককথার গুপ্ত ইতিহাস
স্থানীয় প্রবীণদের দাবি, কয়েকশো বছর আগে একদল ডাকাত নিরাপত্তার স্বার্থে ও গোপন পূজা-অর্চনার উদ্দেশ্যে পাতালঘরের মতো কাঠামোর মধ্যে জোড়া শিবমন্দিরটি তৈরি করে। মন্দিরের ভেতরে তখন বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি ছিল, আর পূজায় ব্যবহৃত হতো নানা মূল্যবান কষ্টিপাথরের উপকরণ। পরবর্তীতে তারা মন্দিরটি বিধুভূষণ চক্রবর্তী নামে এক ঠাকুর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে দীর্ঘদিন তাঁরা পূজা-অর্চনা চালিয়ে যান। দেশভাগের আগে পরিবারটি ভারতে চলে গেলে মন্দিরটি অযত্নে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে অন্ধকার সুড়ঙ্গের রহস্য
মন্দিরে প্রবেশের প্রধান ফটকের দুই পাশে দেখা যায় দুটি বড়ো শিবমন্দির, যেখানে আজও পূজা-অর্চনা হয়। একটু ভেতরে এগোতেই চোখে পড়ে উঁচু টিলার ওপর থাকা একটি চূড়ার মতো অংশ। সেখানেই রয়েছে রহস্যময় সুড়ঙ্গ, যা অন্ধকারে মিলিয়ে গেছে কয়েক ফুট নিচে। স্থানীয়দের মতে, ওই সুড়ঙ্গের নিচে রয়েছে আরও ২–৩টি কক্ষ, যেগুলোতে পুরোনো প্রত্নসম্পদ লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হয়।

গুপ্তধনের লোভে অসাধু চক্রের তৎপরতা
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, একটি কুচক্রী মহল নিয়মিত রাতে এই সুড়ঙ্গের মাটি সরিয়ে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। স্থানীয় যুবকেরা জানান, সুড়ঙ্গের ভেতরে তারা ত্রিশূল, কোদাল, বালতি, সাবলের মতো যন্ত্রপাতি পেয়েছেন, যেগুলো মাটি কাটার কাজেই ব্যবহৃত হয়। তাদের ধারণা, গুপ্তধন পাওয়ার আশায় চক্রটি বারবার মন্দিরের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ বিনষ্টে এলাকাবাসীর ক্ষোভ
গ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার তেমন কোনো সরকারি সংস্কার হয়নি। তিন বছর আগে একবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ হওয়ায় মন্দিরে ভক্তদের আগমন বাড়লেও এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। এখন কুচক্রী মহলের দুঃসাহসী কর্মকাণ্ডে মন্দিরের প্রত্ন মূল্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংস্কার ও সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি
স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায় অবিলম্বে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ, সুড়ঙ্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এবং চক্রটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তাদের ভাষ্য, শতাব্দী প্রাচীন এই পাতাল জোড়া শিবমন্দির শুধু ধর্মীয় প্রতীক নয়, এটি বাগেরহাটের ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখনই ব্যবস্থা না নিলে হারিয়ে যাবে অমূল্য ইতিহাস।

লোককথার গুপ্ত ইতিহাস
স্থানীয় প্রবীণদের দাবি, কয়েকশো বছর আগে একদল ডাকাত নিরাপত্তার স্বার্থে ও গোপন পূজা-অর্চনার উদ্দেশ্যে পাতালঘরের মতো কাঠামোর মধ্যে জোড়া শিবমন্দিরটি তৈরি করে। মন্দিরের ভেতরে তখন বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি ছিল, আর পূজায় ব্যবহৃত হতো নানা মূল্যবান কষ্টিপাথরের উপকরণ। পরবর্তীতে তারা মন্দিরটি বিধুভূষণ চক্রবর্তী নামে এক ঠাকুর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে দীর্ঘদিন তাঁরা পূজা-অর্চনা চালিয়ে যান। দেশভাগের আগে পরিবারটি ভারতে চলে গেলে মন্দিরটি অযত্নে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে অন্ধকার সুড়ঙ্গের রহস্য
মন্দিরে প্রবেশের প্রধান ফটকের দুই পাশে দেখা যায় দুটি বড়ো শিবমন্দির, যেখানে আজও পূজা-অর্চনা হয়। একটু ভেতরে এগোতেই চোখে পড়ে উঁচু টিলার ওপর থাকা একটি চূড়ার মতো অংশ। সেখানেই রয়েছে রহস্যময় সুড়ঙ্গ, যা অন্ধকারে মিলিয়ে গেছে কয়েক ফুট নিচে। স্থানীয়দের মতে, ওই সুড়ঙ্গের নিচে রয়েছে আরও ২–৩টি কক্ষ, যেগুলোতে পুরোনো প্রত্নসম্পদ লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হয়।

গুপ্তধনের লোভে অসাধু চক্রের তৎপরতা
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, একটি কুচক্রী মহল নিয়মিত রাতে এই সুড়ঙ্গের মাটি সরিয়ে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। স্থানীয় যুবকেরা জানান, সুড়ঙ্গের ভেতরে তারা ত্রিশূল, কোদাল, বালতি, সাবলের মতো যন্ত্রপাতি পেয়েছেন, যেগুলো মাটি কাটার কাজেই ব্যবহৃত হয়। তাদের ধারণা, গুপ্তধন পাওয়ার আশায় চক্রটি বারবার মন্দিরের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ বিনষ্টে এলাকাবাসীর ক্ষোভ
গ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার তেমন কোনো সরকারি সংস্কার হয়নি। তিন বছর আগে একবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ হওয়ায় মন্দিরে ভক্তদের আগমন বাড়লেও এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি। এখন কুচক্রী মহলের দুঃসাহসী কর্মকাণ্ডে মন্দিরের প্রত্ন মূল্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংস্কার ও সুরক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি
স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায় অবিলম্বে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ, সুড়ঙ্গের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এবং চক্রটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তাদের ভাষ্য, শতাব্দী প্রাচীন এই পাতাল জোড়া শিবমন্দির শুধু ধর্মীয় প্রতীক নয়, এটি বাগেরহাটের ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখনই ব্যবস্থা না নিলে হারিয়ে যাবে অমূল্য ইতিহাস।

বাগেরহাটে গণপ্রকৌশল দিবস ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
বাগেরহাটে নারী ও যুবদের নির্বাচনী অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব বিকাশে “সুশীল সাপোর্টিং দ্যা ইউনিটি এ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি অব সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনস (সিএসও'স) টু আপহোল্ড হিউম্যান রাইটস, ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি, এ্যান্ড রুলস অব ল ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক নাগরিক সমাজ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের বরুন্ডীর পাশে ছোট গ্রাম সল্পনন্দপুরে কৃষকেরা হাতে নিয়েছেন ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ—‘বরুন্ডী ধান গবেষণা প্লট’। কয়েক শ মানুষের এই গ্রামেই রাসায়নিক সার-কীটনাশকমুক্ত পদ্ধতিতে ৮২ জাতের আমন ধান রোপণ করে চলছে স্থানীয়ভাবে উপযোগী জাত শনাক্তের চেষ্টা
১ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতি নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে স্থানীয়দের উদ্যোগে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় শৈলদাহ বাজার নদীতীরে ‘চিতলমারী পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাটে গণপ্রকৌশল দিবস ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাগেরহাটে নারী ও যুবদের নির্বাচনী অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব বিকাশে “সুশীল সাপোর্টিং দ্যা ইউনিটি এ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি অব সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনস (সিএসও'স) টু আপহোল্ড হিউম্যান রাইটস, ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি, এ্যান্ড রুলস অব ল ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক নাগরিক সমাজ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের বরুন্ডীর পাশে ছোট গ্রাম সল্পনন্দপুরে কৃষকেরা হাতে নিয়েছেন ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ—‘বরুন্ডী ধান গবেষণা প্লট’। কয়েক শ মানুষের এই গ্রামেই রাসায়নিক সার-কীটনাশকমুক্ত পদ্ধতিতে ৮২ জাতের আমন ধান রোপণ করে চলছে স্থানীয়ভাবে উপযোগী জাত শনাক্তের চেষ্টা
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতি নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে স্থানীয়দের উদ্যোগে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় শৈলদাহ বাজার নদীতীরে ‘চিতলমারী পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে