সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক কৃষকের আঙিনায় জন্মেছে এক আশ্চর্য লম্বা বেগুন গাছ, যা এখন সারা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণত একটি বেগুন গাছের উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুটের বেশি হয় না, কিন্তু এই গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুটেরও বেশি। আশ্চর্যের বিষয়, এত লম্বা হওয়া সত্ত্বেও গাছটি ফলেও ভরপুর। বর্তমানে গাছটিতে একসঙ্গে ২৫টিরও বেশি বেগুন ঝুলছে, যা দেখে যে কেউ বিস্মিত হয়।
তালা উপজেলার মাঝিয়াড়া গ্রামের মো: জয়নুদ্দীন সরদার নামের এক কৃষক তার বাড়ির আঙিনায় গত ১০ মাস আগে বেগুনের কিছু চারা রোপণ করেন। অন্যান্য গাছের মতোই এই গাছটির যত্ন নেওয়া হলেও একসময় তিনি দেখেন গাছটি অস্বাভাবিকভাবে লম্বা হচ্ছে। প্রতিদিন পানি দেওয়া, জৈব সার ব্যবহার, এবং কীটনাশকমুক্ত পরিচর্যার ফলে গাছটি দিনে দিনে আরও শক্ত ও উঁচু হয়ে ওঠে।
কৃষক মো: জয়নুদ্দীন সরদার বলেন,
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম গাছটা হয়তো শুকিয়ে যাবে, কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর দেখি গাছটা লম্বা হচ্ছে, আর তাতে ফলও ধরছে। এখন প্রতিদিন অনেক মানুষ এসে গাছটা দেখতে চায়।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা : হাজিরা খাতুন জানান, বেগুন গাছটি প্রাকৃতিক মাটি, আবহাওয়া ও সঠিক জৈব সার ব্যবহারের কারণে এমনভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি বলেন, এটি একটি বিরল উদাহরণ। আমরা গাছটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে চাই। যদি এটি কোনো বিশেষ জাতের পরিবর্তিত রূপ হয়, তবে ভবিষ্যতে এই জাতটি কৃষকদের জন্য উপকারী হতে পারে।
লম্বা বেগুন গাছটি এখন স্থানীয় মানুষের কাছে এক রকমের অলৌকিক গাছ। প্রতিদিন আশপাশের গ্রাম থেকে অনেক মানুষ গাছটি দেখতে আসেন এবং ছবি তোলেন। কেউ কেউ আবার এর ডাল চেয়ে নিয়ে বাড়িতে লাগানোর চেষ্টা করছেন। এলাকার শিশুদের কাছেও এটি বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
তালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীয় বাসিন্দা এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, আমার এতদিনের জীবনে এত লম্বা বেগুন গাছ কখনও দেখিনি। এটা সত্যিই আশ্চর্যের।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের ব্যতিক্রমী বেগুন গাছ যদি বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা ও সংরক্ষণ করা যায়, তবে এর জাত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে। এতে কৃষকরা একদিকে বেশি ফলন পাবেন, অন্যদিকে জমির ব্যবহারও হবে কার্যকরভাবে।
এই লম্বা বেগুন গাছ শুধু এক কৃষকের গর্ব নয়, বরং পুরো এলাকার গর্ব হয়ে উঠেছে। এটি প্রমাণ করে, যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে চাষ করলে প্রকৃতি আমাদের অবাক করে দিতে পারে। সাতক্ষীরার তালার এই ঘটনা এখন সারা জেলাজুড়েই আলোচনায়, আর মানুষ বলছে - "এ যেন প্রকৃতির এক ছোট্ট বিস্ময়!"
এদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. শিমুল মন্ডল ও সহকারী বৈজ্ঞানিক মৃণাল কান্তির নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী গাছটি পরিদর্শন করেন। তারা মালিক কৃষক জয়নদ্দীন সরদারের কাছ থেকে দুটি বেগুন সংগ্রহ করে বীজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
পরিদর্শনের সময় বিজ্ঞানীরা স্থানীয় কৃষককে চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ সহায়তাও প্রদান করেন। কৃষি কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, গবেষণার ইতিবাচক ফলাফল বাংলাদেশের কৃষিতে টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী বেগুন উৎপাদনের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক কৃষকের আঙিনায় জন্মেছে এক আশ্চর্য লম্বা বেগুন গাছ, যা এখন সারা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণত একটি বেগুন গাছের উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুটের বেশি হয় না, কিন্তু এই গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুটেরও বেশি। আশ্চর্যের বিষয়, এত লম্বা হওয়া সত্ত্বেও গাছটি ফলেও ভরপুর। বর্তমানে গাছটিতে একসঙ্গে ২৫টিরও বেশি বেগুন ঝুলছে, যা দেখে যে কেউ বিস্মিত হয়।
তালা উপজেলার মাঝিয়াড়া গ্রামের মো: জয়নুদ্দীন সরদার নামের এক কৃষক তার বাড়ির আঙিনায় গত ১০ মাস আগে বেগুনের কিছু চারা রোপণ করেন। অন্যান্য গাছের মতোই এই গাছটির যত্ন নেওয়া হলেও একসময় তিনি দেখেন গাছটি অস্বাভাবিকভাবে লম্বা হচ্ছে। প্রতিদিন পানি দেওয়া, জৈব সার ব্যবহার, এবং কীটনাশকমুক্ত পরিচর্যার ফলে গাছটি দিনে দিনে আরও শক্ত ও উঁচু হয়ে ওঠে।
কৃষক মো: জয়নুদ্দীন সরদার বলেন,
আমি প্রথমে ভেবেছিলাম গাছটা হয়তো শুকিয়ে যাবে, কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর দেখি গাছটা লম্বা হচ্ছে, আর তাতে ফলও ধরছে। এখন প্রতিদিন অনেক মানুষ এসে গাছটা দেখতে চায়।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা : হাজিরা খাতুন জানান, বেগুন গাছটি প্রাকৃতিক মাটি, আবহাওয়া ও সঠিক জৈব সার ব্যবহারের কারণে এমনভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি বলেন, এটি একটি বিরল উদাহরণ। আমরা গাছটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে চাই। যদি এটি কোনো বিশেষ জাতের পরিবর্তিত রূপ হয়, তবে ভবিষ্যতে এই জাতটি কৃষকদের জন্য উপকারী হতে পারে।
লম্বা বেগুন গাছটি এখন স্থানীয় মানুষের কাছে এক রকমের অলৌকিক গাছ। প্রতিদিন আশপাশের গ্রাম থেকে অনেক মানুষ গাছটি দেখতে আসেন এবং ছবি তোলেন। কেউ কেউ আবার এর ডাল চেয়ে নিয়ে বাড়িতে লাগানোর চেষ্টা করছেন। এলাকার শিশুদের কাছেও এটি বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
তালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্থানীয় বাসিন্দা এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, আমার এতদিনের জীবনে এত লম্বা বেগুন গাছ কখনও দেখিনি। এটা সত্যিই আশ্চর্যের।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের ব্যতিক্রমী বেগুন গাছ যদি বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা ও সংরক্ষণ করা যায়, তবে এর জাত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে। এতে কৃষকরা একদিকে বেশি ফলন পাবেন, অন্যদিকে জমির ব্যবহারও হবে কার্যকরভাবে।
এই লম্বা বেগুন গাছ শুধু এক কৃষকের গর্ব নয়, বরং পুরো এলাকার গর্ব হয়ে উঠেছে। এটি প্রমাণ করে, যত্ন ও ভালোবাসা দিয়ে চাষ করলে প্রকৃতি আমাদের অবাক করে দিতে পারে। সাতক্ষীরার তালার এই ঘটনা এখন সারা জেলাজুড়েই আলোচনায়, আর মানুষ বলছে - "এ যেন প্রকৃতির এক ছোট্ট বিস্ময়!"
এদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. শিমুল মন্ডল ও সহকারী বৈজ্ঞানিক মৃণাল কান্তির নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী গাছটি পরিদর্শন করেন। তারা মালিক কৃষক জয়নদ্দীন সরদারের কাছ থেকে দুটি বেগুন সংগ্রহ করে বীজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
পরিদর্শনের সময় বিজ্ঞানীরা স্থানীয় কৃষককে চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ সহায়তাও প্রদান করেন। কৃষি কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, গবেষণার ইতিবাচক ফলাফল বাংলাদেশের কৃষিতে টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী বেগুন উৎপাদনের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।


জামালপুরের মাদারগঞ্জে চরভাটিয়ান গ্রামে ঝিনাই নদীতে নিখোঁজ ৫ শিশুর মধ্যে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
৩ ঘণ্টা আগে
নীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে
১ দিন আগে
১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল
১ দিন আগে
সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী হাইস্কুলে ২-৪ নভেম্বর তাফসির মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে
১ দিন আগেজামালপুরের মাদারগঞ্জে চরভাটিয়ান গ্রামে ঝিনাই নদীতে নিখোঁজ ৫ শিশুর মধ্যে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এক কৃষকের আঙিনায় জন্মেছে এক আশ্চর্য লম্বা বেগুন গাছ, যা এখন সারা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সাধারণত একটি বেগুন গাছের উচ্চতা এক থেকে দেড় ফুটের বেশি হয় না, কিন্তু এই গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুটেরও বেশি। আশ্চর্যের বিষয়, এত লম্বা হওয়া সত্ত্বেও গাছটি ফলেও ভরপুর।
নীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে
১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল