টানা ভারী বর্ষনে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস

বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন

প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ি
Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

টানা ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন।

শুক্রবার(৩০ মে) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শালবনসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে শুরু করে প্রশাসন। মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী,ফায়ার সার্ভিস,পুলিশ, যুব রেডক্রিসেন্ট কর্মীরা)

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা আবহাওয়া অধিদপ্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুবতি চাকমা জানান শুক্রবার খাগড়াছড়িতে ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে অব্যাহত বর্ষনের কারণে চেঙ্গী,ফেনী ও মাইনী নদীর পানি বাড়ছে। খাগড়াছড়ি পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গরু বাজারসহ নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।

2

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, । তিনি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী পরিবারদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, জেলার সকল প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্কুত রাখা হয়েছে। পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় জেলা প্রশাসন মাইকিং ও ব্যাপক প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।

খাগড়াছড়ির সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি টিম জেলা সদরের শালবন সবুজবাগ কলাবাগান কুমিল্লা টিলাসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে আহবান জানিয়েছেন। তিনি জানান খাগড়াছড়ি পৌর শহরে ৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছেখ

প্রসঙ্গত,খাগড়াছড়ি জেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৪ হাজার পরিবার। বর্ষা মৌসুম আসায় পাহাড়ে বসবাসকারী এ সব পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পরিবেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বস্তি এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছোবল, মাদক বিক্রয় ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁন্দলাই জোড়বাগান এলাকার যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়

১ দিন আগে

অভিযান চলাকালে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি ইটভাটার মালিক সাধন পাল ও সঞ্জয় পালকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৬ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়

১ দিন আগে

উপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং অফিসার ও ফোর্সদের সার্বিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট ইনচার্জবৃন্দকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন

১ দিন আগে

এসময় ই—ট্র্যাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে মামলার চালক বা গাড়ি মালিকের মোবাইলে বার্তা পৌঁছে যাবে। বিকাশ বা পস মেশিনের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়

১ দিন আগে