শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
বাংলাদেশ
পরিবেশ

পুর্ব সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ৬০০ মালা ফাঁদ জব্দ

প্রতিনিধি
বাগেরহাট
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ২০: ৫১
logo

পুর্ব সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ৬০০ মালা ফাঁদ জব্দ

বাগেরহাট

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ২০: ৫১
Photo
ছবি: প্রতিনিধি

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে হরিণ শিকারের জন্য পেতে রাখা অন্তত ৬০০টি ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার ১৬টি নিষিদ্ধ চারো জব্দ করেছে বন বিভাগ।

সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের আওতাধীন কোকিলমণি টহল ফাঁড়ি এলাকার টিয়ারচর থেকে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করেন বনবিভাগ।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব জানান, দুবলা জেলেপল্লির সঙ্গে সংযুক্ত কোকিলমণি টহল ফাঁড়ির টিয়ারচর এলাকায় নৌকা ও পায়ে হেঁটে নিয়মিত টহল পরিচালনা করছিলেন বনরক্ষীরা। এ সময় বনের গভীরে হরিণ শিকারের জন্য পাতা অসংখ্য ফাঁদ দেখতে পান তাঁরা। পরে সেখান থেকে ৬০০টি ‘মালা’ (গোলাকৃতি ফাঁদ) জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে ১৬টি কাঁকড়া ধরার নিষিদ্ধ চারুও জব্দ করা হয়।

এর আগে চলতি জুন মাসেই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে একইভাবে অসংখ্য হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ করে বন বিভাগ।

২২

বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ‘মালা’ নামক এসব ফাঁদ সাধারণত তার বা নাইলনের দড়ি দিয়ে তৈরি হয়, যা বনের মাটিতে পেতে রাখা হয়। হরিণ চলাচলের সময় এসব ফাঁদে আটকে যায়, পরে শিকারিরা এসে হরিন ধরে নিয়ে যায়।

ডিএফও মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, ‘বন বিভাগের টহল দল নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দমন করাই আমাদের লক্ষ্য। হরিণ শিকার এবং কাঁকড়া ধরার নিষিদ্ধ পন্থা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’

তিনি আরও জানান, ‘আমাদের কঠোর নজরদারির ফলে অপরাধীরা ফাঁদ রেখে পালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের শনাক্তে গোপন নজরদারি চালানো হচ্ছে।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য এসব চোরাকারবারি কার্যকলাপ দ্রুত বন্ধ করা জরুরি। পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বননির্ভর জনগোষ্ঠীকে এসব অবৈধ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

বন বিভাগ জানিয়েছে, চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে হরিণ শিকারের জন্য পেতে রাখা অন্তত ৬০০টি ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার ১৬টি নিষিদ্ধ চারো জব্দ করেছে বন বিভাগ।

সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের আওতাধীন কোকিলমণি টহল ফাঁড়ি এলাকার টিয়ারচর থেকে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করেন বনবিভাগ।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রানা দেব জানান, দুবলা জেলেপল্লির সঙ্গে সংযুক্ত কোকিলমণি টহল ফাঁড়ির টিয়ারচর এলাকায় নৌকা ও পায়ে হেঁটে নিয়মিত টহল পরিচালনা করছিলেন বনরক্ষীরা। এ সময় বনের গভীরে হরিণ শিকারের জন্য পাতা অসংখ্য ফাঁদ দেখতে পান তাঁরা। পরে সেখান থেকে ৬০০টি ‘মালা’ (গোলাকৃতি ফাঁদ) জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে ১৬টি কাঁকড়া ধরার নিষিদ্ধ চারুও জব্দ করা হয়।

এর আগে চলতি জুন মাসেই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে একইভাবে অসংখ্য হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ করে বন বিভাগ।

২২

বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ‘মালা’ নামক এসব ফাঁদ সাধারণত তার বা নাইলনের দড়ি দিয়ে তৈরি হয়, যা বনের মাটিতে পেতে রাখা হয়। হরিণ চলাচলের সময় এসব ফাঁদে আটকে যায়, পরে শিকারিরা এসে হরিন ধরে নিয়ে যায়।

ডিএফও মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, ‘বন বিভাগের টহল দল নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দমন করাই আমাদের লক্ষ্য। হরিণ শিকার এবং কাঁকড়া ধরার নিষিদ্ধ পন্থা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’

তিনি আরও জানান, ‘আমাদের কঠোর নজরদারির ফলে অপরাধীরা ফাঁদ রেখে পালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের শনাক্তে গোপন নজরদারি চালানো হচ্ছে।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য এসব চোরাকারবারি কার্যকলাপ দ্রুত বন্ধ করা জরুরি। পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বননির্ভর জনগোষ্ঠীকে এসব অবৈধ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

বন বিভাগ জানিয়েছে, চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পরিবেশ নিয়ে আরও পড়ুন

‘নীলসাগরের’ সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু

‘নীলসাগরের’ সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু

নীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে

১৪ ঘণ্টা আগে
আদালতের নির্দেশ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় খোলা আকাশের নীচে ৩ পরিবার

আদালতের নির্দেশ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় খোলা আকাশের নীচে ৩ পরিবার

১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল

১৪ ঘণ্টা আগে
তাফসির মাহফিলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা

তাফসির মাহফিলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা

সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী হাইস্কুলে ২-৪ নভেম্বর তাফসির মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে

১৪ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে

ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে

ওই দুই শিশু পরিবারের অজান্তে খেলা করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর পাশে নবগঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়

১৪ ঘণ্টা আগে
‘নীলসাগরের’ সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু

‘নীলসাগরের’ সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু

নীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে

১৪ ঘণ্টা আগে
আদালতের নির্দেশ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় খোলা আকাশের নীচে ৩ পরিবার

আদালতের নির্দেশ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় খোলা আকাশের নীচে ৩ পরিবার

১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল

১৪ ঘণ্টা আগে
তাফসির মাহফিলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা

তাফসির মাহফিলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা

সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী হাইস্কুলে ২-৪ নভেম্বর তাফসির মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে

১৪ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে

ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে

ওই দুই শিশু পরিবারের অজান্তে খেলা করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর পাশে নবগঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়

১৪ ঘণ্টা আগে