তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য
সুখেন্দু এদবর
পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও বরগুনার তালতলীতে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য। পরিবেশ দূষণ এবং জীববৈচিত্র, বনাঞ্চল ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি নিয়ে শঙ্কিত উপকূলের বাসিন্দারা।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, কয়লা থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, বিষাক্ত সালফার, সীসা ও ভারী ধাতু নির্গমনের ফলে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তৈরি হয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবেশের ক্ষতি না করেই নির্মাণ করা হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র।
শুরুতে এ প্রকল্পকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের আশা জাগলেও বর্তমানে সেটি রূপ নিয়েছে এক ভয়ঙ্কর আতঙ্কে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর থেকেই ধূলিকণার সাথে বিষাক্ত উপাদান মিশে ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য পায়রা ও বিষখালী নদীতে গিয়ে মিশছে, ফলে পানির গুণগত মান মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে। শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের অধ্যাপক মীর আলী বলেন, কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে নির্গত অ্যালুমিনিয়াম, মিথেন, সালফার-ডাই-অক্সাইডসহ ভারী ধাতু নদী ও সাগরের পানিকে দূষিত করছে। এর ফলে ইলিশসহ মূল্যবান জলজ সম্পদ হুমকির মুখে।
ওয়াটারর্স কিপার বাংলাদেশ এর আমতলী ও তালতলী উপজেলার সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের পর থেকে এই অঞ্চলের নদ-নদীতে আগের তুলনায় অনেক কম পরিমান মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে অনেক জেলেই পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছে। এই এলাকার পরিবেশ উপর বিরূপ প্রভাব ইতোমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে।
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরাম এর সমন্বয়কারী শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, কলাপাড়ায় মেগা প্রকল্পের কারণে ইলিশ প্রজননসহ প্রাণ-প্রকৃতিরও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রাখাইনদের ২৩৯ বছরের পুরোনো ছয়ানীপাড়া পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নুরুল আমিন বলেন, কয়লা থেকে যে সালফার নি:সরণ হবে সেটি পরিবেশের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর হবে। বিশেষ করে দ্বিতীয় সুন্দরবন খ্যাত টেংরাগিরি বনের জীববৈচিত্র ও বন ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট গোলাম কিবরিয়া বলেন, যন্ত্রপাতি না থাকায় পানির প্যারামিটার টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছেনা। আশা করি শিগ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।
এবিষয়ে আলাপকালে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, পানির গুণগত মান পরীক্ষার যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকায় ল্যাবটি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যন্ত্রপাতিগুলো চলে আসলে অচিরেই আমরা ল্যাবটি চালু করে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন পয়েন্টের পানি এনে গুণগত মান পরীক্ষা শুরু করব।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও বরগুনার তালতলীতে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য। পরিবেশ দূষণ এবং জীববৈচিত্র, বনাঞ্চল ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি নিয়ে শঙ্কিত উপকূলের বাসিন্দারা।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, কয়লা থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, বিষাক্ত সালফার, সীসা ও ভারী ধাতু নির্গমনের ফলে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তৈরি হয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবেশের ক্ষতি না করেই নির্মাণ করা হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র।
শুরুতে এ প্রকল্পকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের আশা জাগলেও বর্তমানে সেটি রূপ নিয়েছে এক ভয়ঙ্কর আতঙ্কে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর থেকেই ধূলিকণার সাথে বিষাক্ত উপাদান মিশে ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্য পায়রা ও বিষখালী নদীতে গিয়ে মিশছে, ফলে পানির গুণগত মান মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে। শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের অধ্যাপক মীর আলী বলেন, কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে নির্গত অ্যালুমিনিয়াম, মিথেন, সালফার-ডাই-অক্সাইডসহ ভারী ধাতু নদী ও সাগরের পানিকে দূষিত করছে। এর ফলে ইলিশসহ মূল্যবান জলজ সম্পদ হুমকির মুখে।
ওয়াটারর্স কিপার বাংলাদেশ এর আমতলী ও তালতলী উপজেলার সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের পর থেকে এই অঞ্চলের নদ-নদীতে আগের তুলনায় অনেক কম পরিমান মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে অনেক জেলেই পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছে। এই এলাকার পরিবেশ উপর বিরূপ প্রভাব ইতোমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে।
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরাম এর সমন্বয়কারী শুভংকর চক্রবর্তী বলেন, কলাপাড়ায় মেগা প্রকল্পের কারণে ইলিশ প্রজননসহ প্রাণ-প্রকৃতিরও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রাখাইনদের ২৩৯ বছরের পুরোনো ছয়ানীপাড়া পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নুরুল আমিন বলেন, কয়লা থেকে যে সালফার নি:সরণ হবে সেটি পরিবেশের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর হবে। বিশেষ করে দ্বিতীয় সুন্দরবন খ্যাত টেংরাগিরি বনের জীববৈচিত্র ও বন ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট গোলাম কিবরিয়া বলেন, যন্ত্রপাতি না থাকায় পানির প্যারামিটার টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছেনা। আশা করি শিগ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।
এবিষয়ে আলাপকালে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, পানির গুণগত মান পরীক্ষার যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকায় ল্যাবটি দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যন্ত্রপাতিগুলো চলে আসলে অচিরেই আমরা ল্যাবটি চালু করে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন পয়েন্টের পানি এনে গুণগত মান পরীক্ষা শুরু করব।
বস্তি এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছোবল, মাদক বিক্রয় ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁন্দলাই জোড়বাগান এলাকার যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়
১ দিন আগেঅভিযান চলাকালে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি ইটভাটার মালিক সাধন পাল ও সঞ্জয় পালকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৬ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়
১ দিন আগেউপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং অফিসার ও ফোর্সদের সার্বিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট ইনচার্জবৃন্দকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন
১ দিন আগেএসময় ই—ট্র্যাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে মামলার চালক বা গাড়ি মালিকের মোবাইলে বার্তা পৌঁছে যাবে। বিকাশ বা পস মেশিনের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়
১ দিন আগেবস্তি এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছোবল, মাদক বিক্রয় ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁন্দলাই জোড়বাগান এলাকার যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়
অভিযান চলাকালে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি ইটভাটার মালিক সাধন পাল ও সঞ্জয় পালকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৬ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়
উপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং অফিসার ও ফোর্সদের সার্বিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট ইনচার্জবৃন্দকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন
এসময় ই—ট্র্যাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে মামলার চালক বা গাড়ি মালিকের মোবাইলে বার্তা পৌঁছে যাবে। বিকাশ বা পস মেশিনের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়