শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
বাংলাদেশ
পরিবেশ

ঝুঁকিতে বসতবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বরিশালের মুলাদিতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন

প্রতিনিধি
বরিশাল
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫, ১৩: ৪৭
logo

বরিশালের মুলাদিতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন

বরিশাল

প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫, ১৩: ৪৭
Photo
ছবি: প্রতিনিধি

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় কোনো বালু মহাল না থাকলেও ব্যবসায়ীরা অবৈধ উপায়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীভাঙন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিক নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে আলীমাবাদ গ্রামের মনির হোসেন বরিশাল জেলা প্রশাসক ও মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। এমনকি ইজারানা থাকার পরও প্রশাসনকে ম্যনেজ করেই অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে নদী থেকে বালু উত্তেলন করছে বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীরা। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের নদী সংলগ্ন এলকার হাজার হাজার মানুষ নদী ভাঙ্গনের চরম ঝুঁকির মুখে পরেছেন। এ ছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছেবিস্তীর্ণ কৃষিজমি, রাস্তাঘাট,বাড়ীঘর ও একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেখা যায়, প্রকাশ্য দিবালোকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন একেবারেই নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।

জানা যায়, নির্ধারিত মাসোহারার বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে দেখা যায়- কাজিরচর, মুলাদীসদর, নাজিরপুর, চরকালেখান, বাটামারাসফিপুর, গাছুয়া ও মুলাদী পৌরসভার গাঁ ঘেঁষে- আড়িয়াল, জয়ন্তী, নয়াভাংগুলিনদী গুলোর বিভিন্ন পাড়ে ছোট-বড় অনেক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। দিনের বেলা বেশিরভাগ ড্রেজার বন্ধ থাকলেও রাতের অন্ধকারে শুরু হয় তাদের অবৈধ বালু উত্তোলন। ড্রেজার মেশিন দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু তোলায় নদীগুলোর তলদেশ গভীর হয়ে উঠার পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে এসব অঞ্চলে প্রবল ভাঙ্গন দেখা দেয়। ইতিমধ্যে সফিপুর ইউনিয়নের চর মালিয়াগ্রামের বেপারী হাটসহ আশেপাশের কয়েকশত ঘরবাড়ী, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীনহয়ে গেছে। মুলাদী উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নেই এ ধরনের চিত্র রয়েছে। এ বিষয়ে মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা খলিলুর রহমান, সিরাজুলইসলাম, রাহিমাসহ একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন,সফিপুরজয়ন্তী, আড়িয়ালখান ও নয়াভাংগুলি নদীতে বালু উত্তোলন করায় ওই এলাকানদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিষয় উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের সাথে আঁতাত করেই প্রভাবশালীরা রাতের আঁধারে এসব নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। কোন কোন সময় লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও নেওয়া হয়না কার্যকর ব্যবস্থা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একধিক ব্যাক্তি জানান, পৌর যুবদল সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শাওন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক রোকন মোল্লা, মুলাদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ রাঢ়ী, ছবিপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা কুট্টি শরীফ ও মুলাদীরচর কালেখা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুখানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আমিনুল খান, ইউনিয়ন বিএনপিরসহ-সভাপতি বাচ্চুখান, চরকালেখা ইউনিয়নের ৭ নংওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারী আতাহার দেওয়ান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস খান, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য লালন খান, যুবদল নেতা অপু হালদার, ফালান সিকদার, কাজি জাফর ইকবাল, তামিম মল্লিকসহ একাধিক ব্যাক্তি অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। তবে অধিকাংশ ড্রেজারই বিভিন্ন স্থান থেকে ভাড়া করে নিয়ে এসেছেন এসব বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসব নেতাদের দাপটে এলাকার কেউই এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পান না।

গত ৫ই আগষ্ট পরবর্তীতে এ সকল অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের প্রভাব কয়েকগুন বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতাকমির্রাই বালু তুলতে শুরু করেন।

এ বিষয়ে চর খালেকা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরু খান বালু উত্তোলনেরকথা অস্বীকার করে বলেন,আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা, ৫ আগস্টের পর আমার এলাকায় কোন ড্রেজার চলেনা। এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচছাসেবক দল আহবায়ক রোকরনুজ্জামান রোকন মোল্লা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দু -চারটি ড্রেজার চলছে।

তিনি বলেন, আমার কোন ড্রেজার নেই। আমি মুলত ভেকুর ব্যবসা করি। অনেকে ব্যাক্তি আক্রোশে আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলছেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আলো খান বলেন, এখন পালিয়েই থাকতে পারিনা যেখানে সেখানে কীভাবে ড্রেজার চালাব। তবে স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা আলো খান এলাকায় অনেক প্রভাবশালী। নিজে ড্রেজার না চালিয়ে অন্যদের দিয়েই ড্রেজার চালাচ্ছেন। এদিকে মুলাদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ রাঢ়ী নিজের ড্রেজার দিয়েই নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। তবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার নিজস্ব ড্রেজার রয়েছে ঠিকই, তবে আমি নদী থেকে বালু উত্তোলন করছিনা। জাহাজ থেকে বালু আনলোড করছি মাত্র।

পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলনের বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আলমকেএকধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভক রেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজামউদ্দিন বলেন, মুলাদী উপজেলার কোন বালুমহল নেই। বালু উত্তোলনের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তেলনের অপরাধে আমরা গত বৃহস্পতিবার নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজারসহ ৫ জনকে আটক করে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তারা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় কোনো বালু মহাল না থাকলেও ব্যবসায়ীরা অবৈধ উপায়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীভাঙন বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিক নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে আলীমাবাদ গ্রামের মনির হোসেন বরিশাল জেলা প্রশাসক ও মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। এমনকি ইজারানা থাকার পরও প্রশাসনকে ম্যনেজ করেই অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে নদী থেকে বালু উত্তেলন করছে বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীরা। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের নদী সংলগ্ন এলকার হাজার হাজার মানুষ নদী ভাঙ্গনের চরম ঝুঁকির মুখে পরেছেন। এ ছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছেবিস্তীর্ণ কৃষিজমি, রাস্তাঘাট,বাড়ীঘর ও একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেখা যায়, প্রকাশ্য দিবালোকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন একেবারেই নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।

জানা যায়, নির্ধারিত মাসোহারার বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে দেখা যায়- কাজিরচর, মুলাদীসদর, নাজিরপুর, চরকালেখান, বাটামারাসফিপুর, গাছুয়া ও মুলাদী পৌরসভার গাঁ ঘেঁষে- আড়িয়াল, জয়ন্তী, নয়াভাংগুলিনদী গুলোর বিভিন্ন পাড়ে ছোট-বড় অনেক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। দিনের বেলা বেশিরভাগ ড্রেজার বন্ধ থাকলেও রাতের অন্ধকারে শুরু হয় তাদের অবৈধ বালু উত্তোলন। ড্রেজার মেশিন দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু তোলায় নদীগুলোর তলদেশ গভীর হয়ে উঠার পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে এসব অঞ্চলে প্রবল ভাঙ্গন দেখা দেয়। ইতিমধ্যে সফিপুর ইউনিয়নের চর মালিয়াগ্রামের বেপারী হাটসহ আশেপাশের কয়েকশত ঘরবাড়ী, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীনহয়ে গেছে। মুলাদী উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নেই এ ধরনের চিত্র রয়েছে। এ বিষয়ে মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা খলিলুর রহমান, সিরাজুলইসলাম, রাহিমাসহ একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন,সফিপুরজয়ন্তী, আড়িয়ালখান ও নয়াভাংগুলি নদীতে বালু উত্তোলন করায় ওই এলাকানদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিষয় উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের সাথে আঁতাত করেই প্রভাবশালীরা রাতের আঁধারে এসব নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন। কোন কোন সময় লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও নেওয়া হয়না কার্যকর ব্যবস্থা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একধিক ব্যাক্তি জানান, পৌর যুবদল সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শাওন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক রোকন মোল্লা, মুলাদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ রাঢ়ী, ছবিপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা কুট্টি শরীফ ও মুলাদীরচর কালেখা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুখানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আমিনুল খান, ইউনিয়ন বিএনপিরসহ-সভাপতি বাচ্চুখান, চরকালেখা ইউনিয়নের ৭ নংওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারী আতাহার দেওয়ান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস খান, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য লালন খান, যুবদল নেতা অপু হালদার, ফালান সিকদার, কাজি জাফর ইকবাল, তামিম মল্লিকসহ একাধিক ব্যাক্তি অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। তবে অধিকাংশ ড্রেজারই বিভিন্ন স্থান থেকে ভাড়া করে নিয়ে এসেছেন এসব বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসব নেতাদের দাপটে এলাকার কেউই এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পান না।

গত ৫ই আগষ্ট পরবর্তীতে এ সকল অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের প্রভাব কয়েকগুন বেড়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি ও এর অংগসংগঠনের নেতাকমির্রাই বালু তুলতে শুরু করেন।

এ বিষয়ে চর খালেকা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরু খান বালু উত্তোলনেরকথা অস্বীকার করে বলেন,আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা, ৫ আগস্টের পর আমার এলাকায় কোন ড্রেজার চলেনা। এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচছাসেবক দল আহবায়ক রোকরনুজ্জামান রোকন মোল্লা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দু -চারটি ড্রেজার চলছে।

তিনি বলেন, আমার কোন ড্রেজার নেই। আমি মুলত ভেকুর ব্যবসা করি। অনেকে ব্যাক্তি আক্রোশে আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলছেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আলো খান বলেন, এখন পালিয়েই থাকতে পারিনা যেখানে সেখানে কীভাবে ড্রেজার চালাব। তবে স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা আলো খান এলাকায় অনেক প্রভাবশালী। নিজে ড্রেজার না চালিয়ে অন্যদের দিয়েই ড্রেজার চালাচ্ছেন। এদিকে মুলাদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ রাঢ়ী নিজের ড্রেজার দিয়েই নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। তবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার নিজস্ব ড্রেজার রয়েছে ঠিকই, তবে আমি নদী থেকে বালু উত্তোলন করছিনা। জাহাজ থেকে বালু আনলোড করছি মাত্র।

পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলনের বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আলমকেএকধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভক রেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজামউদ্দিন বলেন, মুলাদী উপজেলার কোন বালুমহল নেই। বালু উত্তোলনের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তেলনের অপরাধে আমরা গত বৃহস্পতিবার নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজারসহ ৫ জনকে আটক করে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তারা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

বিষয়:

বরিশাল
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পরিবেশ নিয়ে আরও পড়ুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বস্তি এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছোবল, মাদক বিক্রয় ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁন্দলাই জোড়বাগান এলাকার যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়

২ দিন আগে
সাতক্ষীরায় পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটায় বিজিবির টাস্কফোর্স অভিযান

সাতক্ষীরায় পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটায় বিজিবির টাস্কফোর্স অভিযান

অভিযান চলাকালে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি ইটভাটার মালিক সাধন পাল ও সঞ্জয় পালকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৬ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়

২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণীয় সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণীয় সভা

উপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং অফিসার ও ফোর্সদের সার্বিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট ইনচার্জবৃন্দকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন

২ দিন আগে
জনসচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় ট্র্যাফিক বিভাগের  লিফলেট বিতরণ

জনসচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় ট্র্যাফিক বিভাগের লিফলেট বিতরণ

এসময় ই—ট্র্যাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে মামলার চালক বা গাড়ি মালিকের মোবাইলে বার্তা পৌঁছে যাবে। বিকাশ বা পস মেশিনের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়

২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বস্তি এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছোবল, মাদক বিক্রয় ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁন্দলাই জোড়বাগান এলাকার যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়

২ দিন আগে
সাতক্ষীরায় পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটায় বিজিবির টাস্কফোর্স অভিযান

সাতক্ষীরায় পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটায় বিজিবির টাস্কফোর্স অভিযান

অভিযান চলাকালে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি ইটভাটার মালিক সাধন পাল ও সঞ্জয় পালকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৬ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়

২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণীয় সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণীয় সভা

উপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং অফিসার ও ফোর্সদের সার্বিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট ইনচার্জবৃন্দকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন

২ দিন আগে
জনসচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় ট্র্যাফিক বিভাগের  লিফলেট বিতরণ

জনসচেতনতার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় ট্র্যাফিক বিভাগের লিফলেট বিতরণ

এসময় ই—ট্র্যাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে মামলার চালক বা গাড়ি মালিকের মোবাইলে বার্তা পৌঁছে যাবে। বিকাশ বা পস মেশিনের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়

২ দিন আগে