জেলে পল্লিতে বিরাজ করছে ক্ষোভ
অধিকাংশ জেলেরা পাচ্ছে না জেলে কার্ডের চাল
আবু মাহাজ


ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এবং বেড়ে ওঠার জন্য প্রতি বছর ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও ৩ অক্টোবর মধ্যরাত অর্থাৎ ৪ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে ভোলার মেঘনা নদীর চর ইলিশা থেকে মেঘনা, তেতুলিয়া নদীতে, বঙ্গোপসাগরে সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য কোস্টগার্ড সহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে সচেতন করা হয়েছে জেলেদেরকে।

এ নিষেধাজ্ঞার পর বেকার হয়ে পড়েছে ভোলার ২ লক্ষাধিক জেলে। তার মধ্যেও জেল-জরিমানার ভয়ে নদীতে নামছে না তারা। মেনে নিয়েছে নিষেধাজ্ঞার সকল শর্ত। বর্তমানে নৌকা মেরামত ও জাল বুনে অবসর সময় পার করছেন তারা। কিন্তু পেটে তাদের রয়েছে অনেক ক্ষুধার জ্বালা। অন্যদিকে সমিতি, এনজিওর কিস্তি ও দাদনের টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে ভোলার জেলেরা। তার মাঝেও সরকারি প্রণোদনার ২৫ কেজি করে চাল পাবার শেষ ভরসা ছিলো জেলেদের মনে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ২৫ কেজি চাল জোটেনি অধিকাংশ নিবন্ধিত কার্ডধারী জেলেদের ভাগ্যে। জেলেরা জানায়, জেলেদের চাল বিতরণ মানে, হরি লুটের মহা উৎসব। একটি প্রভাবশালী চক্র আত্মসাতে ব্যস্ত রয়েছে এ সরকারি চালগুলো। এতে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত কার্ডধারী জেলেরা। এর প্রতিবাদে ভুক্তভোগী জেলেরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার সুফল মেলেনি তাদের ভাগ্যে।

ভোলার খাল মাছ ঘাটের জেলে মোহাম্মদ মিরাজ জানান,
সর্বপ্রথম হলো আমাদেরকে যে ২২ দিনের অভিযান দিয়েছে এটা এখন দেওয়া উচিত হয়নি। যেটা আমরা মনে করি যে আরো একমাস পরে অভিযান দিলে মাছের পেটে ডিমও আসতো মাছগুলো ডিম ছাড়তে পারতো। মৌসুমের সময় আমরা এই মাছগুলো ঠিকঠাকমতো ধরতে পারতাম। আমরা অভিযান মেনে উপরে জাল নৌকা ঠিক করার কাজে ব্যস্ত থাকি। কিন্তু আমরা যে জেলে কার্ডে চাল গুলো ঠিকঠাকমতো পাই না, এর কারণ হলো উপরে যে ক্ষমতাসীন দলের নেতা - কর্মীরা আছে। এগুলো তারা আত্মসাৎ করে নিয়ে যায়। আমরা গেলে ভোগান্তিতে পড়ি। আমাদের সংসার খুবই কষ্ট চলে যেটা বলে প্রকাশ করতে পারবো না।
দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চাল নিতে আসা জেলেরা চাল না পেয়ে মানববন্ধন করেন। এসময়, কবির, মোসলেউদ্দিনসহ একাধিক জেলেরা অভিযোগ করে বলেন,
গতকালকে চালের জন্য আমরা আসছি। আসার পর আমাদের চাল দেয়নি। সাদা টোকেন করে তারা টোকেনআলাগোরে চাউল দিয়েছে। আমরা যত জেলে কার্ড নিয়ে আসছি তাদেরকে চাঁদ দেইনি। বলছে যে আগে টোকেন আলাগোরে চাল দিমু, তারপরে জেলে কার্ডেরআলাগোরে পাইলে দিমু, না পাইলে নাই। এজন্য আমরা কালকে চলে গেছি আজকা আরাব আইসা এখানে মানববন্ধন করতে আছি আমাদের জেলে কার্ডে চাল পাওয়ার জন্য।
জেলার অধিকাংশ মাছ ঘাট ঘুরে ছেলেদের কাছ থেকে জানা যায়,
জেলে কার্ড রেখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাদা টোকেন এর মাধ্যমে চাউল বিতরণ করছে। এতে করে প্রকৃত ছেলেরা বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের অধিকার চাউল থেকে। কিন্তু আমরা কার্ডের চাউল পাইনা।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান,
মা ইলিশ সংরক্ষণ ২০২৫ উপলক্ষ্যে ভোলা জেলায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৩৮ জন জেলে জন্য ৩ হাজার ৫শত ৮৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ চাল আমরা জেলেদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েগেছে। অল্প কিছু চাল বিতরণ বাকি আছে এটা কালকের মধ্যে হয়ে যাবে। আমরা আশা করি অভিযানের মধ্যে জেলার তাদের চাল পেয়ে যাবে। আর এই অভিযান উপলক্ষ্যে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট হচ্ছে। আমরা আশা করি এই অভিযানটিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করি তাহরে অভিযানটি সফলভাবে সম্পূর্ণ হবে।

উল্লেখ্য, ভোলা জেলায় মোট জেলেদের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষাধিকে চেয়েও বেশি। তারমধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলেদের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার। তার মধ্য থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১শত ৪৮ জন জেলের জন্য বরাদ্দ এসেছে, ৩ হাজার ৫শত ৮৫ মেট্রিক টন ভিজিএফ এর চাল। তবে অধিকাংশ জেলেদের মধ্যে এ বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।


ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এবং বেড়ে ওঠার জন্য প্রতি বছর ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও ৩ অক্টোবর মধ্যরাত অর্থাৎ ৪ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে ভোলার মেঘনা নদীর চর ইলিশা থেকে মেঘনা, তেতুলিয়া নদীতে, বঙ্গোপসাগরে সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য কোস্টগার্ড সহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে সচেতন করা হয়েছে জেলেদেরকে।

এ নিষেধাজ্ঞার পর বেকার হয়ে পড়েছে ভোলার ২ লক্ষাধিক জেলে। তার মধ্যেও জেল-জরিমানার ভয়ে নদীতে নামছে না তারা। মেনে নিয়েছে নিষেধাজ্ঞার সকল শর্ত। বর্তমানে নৌকা মেরামত ও জাল বুনে অবসর সময় পার করছেন তারা। কিন্তু পেটে তাদের রয়েছে অনেক ক্ষুধার জ্বালা। অন্যদিকে সমিতি, এনজিওর কিস্তি ও দাদনের টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে ভোলার জেলেরা। তার মাঝেও সরকারি প্রণোদনার ২৫ কেজি করে চাল পাবার শেষ ভরসা ছিলো জেলেদের মনে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ২৫ কেজি চাল জোটেনি অধিকাংশ নিবন্ধিত কার্ডধারী জেলেদের ভাগ্যে। জেলেরা জানায়, জেলেদের চাল বিতরণ মানে, হরি লুটের মহা উৎসব। একটি প্রভাবশালী চক্র আত্মসাতে ব্যস্ত রয়েছে এ সরকারি চালগুলো। এতে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত কার্ডধারী জেলেরা। এর প্রতিবাদে ভুক্তভোগী জেলেরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার সুফল মেলেনি তাদের ভাগ্যে।

ভোলার খাল মাছ ঘাটের জেলে মোহাম্মদ মিরাজ জানান,
সর্বপ্রথম হলো আমাদেরকে যে ২২ দিনের অভিযান দিয়েছে এটা এখন দেওয়া উচিত হয়নি। যেটা আমরা মনে করি যে আরো একমাস পরে অভিযান দিলে মাছের পেটে ডিমও আসতো মাছগুলো ডিম ছাড়তে পারতো। মৌসুমের সময় আমরা এই মাছগুলো ঠিকঠাকমতো ধরতে পারতাম। আমরা অভিযান মেনে উপরে জাল নৌকা ঠিক করার কাজে ব্যস্ত থাকি। কিন্তু আমরা যে জেলে কার্ডে চাল গুলো ঠিকঠাকমতো পাই না, এর কারণ হলো উপরে যে ক্ষমতাসীন দলের নেতা - কর্মীরা আছে। এগুলো তারা আত্মসাৎ করে নিয়ে যায়। আমরা গেলে ভোগান্তিতে পড়ি। আমাদের সংসার খুবই কষ্ট চলে যেটা বলে প্রকাশ করতে পারবো না।
দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চাল নিতে আসা জেলেরা চাল না পেয়ে মানববন্ধন করেন। এসময়, কবির, মোসলেউদ্দিনসহ একাধিক জেলেরা অভিযোগ করে বলেন,
গতকালকে চালের জন্য আমরা আসছি। আসার পর আমাদের চাল দেয়নি। সাদা টোকেন করে তারা টোকেনআলাগোরে চাউল দিয়েছে। আমরা যত জেলে কার্ড নিয়ে আসছি তাদেরকে চাঁদ দেইনি। বলছে যে আগে টোকেন আলাগোরে চাল দিমু, তারপরে জেলে কার্ডেরআলাগোরে পাইলে দিমু, না পাইলে নাই। এজন্য আমরা কালকে চলে গেছি আজকা আরাব আইসা এখানে মানববন্ধন করতে আছি আমাদের জেলে কার্ডে চাল পাওয়ার জন্য।
জেলার অধিকাংশ মাছ ঘাট ঘুরে ছেলেদের কাছ থেকে জানা যায়,
জেলে কার্ড রেখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাদা টোকেন এর মাধ্যমে চাউল বিতরণ করছে। এতে করে প্রকৃত ছেলেরা বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের অধিকার চাউল থেকে। কিন্তু আমরা কার্ডের চাউল পাইনা।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান,
মা ইলিশ সংরক্ষণ ২০২৫ উপলক্ষ্যে ভোলা জেলায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৩৮ জন জেলে জন্য ৩ হাজার ৫শত ৮৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ চাল আমরা জেলেদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েগেছে। অল্প কিছু চাল বিতরণ বাকি আছে এটা কালকের মধ্যে হয়ে যাবে। আমরা আশা করি অভিযানের মধ্যে জেলার তাদের চাল পেয়ে যাবে। আর এই অভিযান উপলক্ষ্যে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট হচ্ছে। আমরা আশা করি এই অভিযানটিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করি তাহরে অভিযানটি সফলভাবে সম্পূর্ণ হবে।

উল্লেখ্য, ভোলা জেলায় মোট জেলেদের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষাধিকে চেয়েও বেশি। তারমধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলেদের সংখ্যা ১ লাখ ৬৮ হাজার। তার মধ্য থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১শত ৪৮ জন জেলের জন্য বরাদ্দ এসেছে, ৩ হাজার ৫শত ৮৫ মেট্রিক টন ভিজিএফ এর চাল। তবে অধিকাংশ জেলেদের মধ্যে এ বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।


নীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে
১৩ ঘণ্টা আগে
১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল
১৪ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী হাইস্কুলে ২-৪ নভেম্বর তাফসির মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে
১৪ ঘণ্টা আগে
ওই দুই শিশু পরিবারের অজান্তে খেলা করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর পাশে নবগঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়
১৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে
১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল
সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী হাইস্কুলে ২-৪ নভেম্বর তাফসির মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে
ওই দুই শিশু পরিবারের অজান্তে খেলা করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর পাশে নবগঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়