হাতের কবজি কেটে টিকটক বানানো আনোয়ারসহ দুজন গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি
নিখাদ খবর ডেস্ক
Thumbnail image
র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারের ব্রিফিং

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আলোচিত সন্ত্রাসী ‘কবজিকাটা গ্রুপ’র প্রধান শুটার আনোয়ারকে (৩৬) দুই সহযোগীসহ কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২। তারা হলো মো. ইমন (২০) ও মো. ফরিদ (২৭)। র‍্যাব তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র সামুরাই একটি, দুটি ছুরি, গাঁজা ৮ কেজি, একটি প্রাইভেটকার ও একটি হাতঘড়ি উদ্ধার করেছে। গ্রেপ্তার আনোয়ারের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র মামলা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার জানায়, জীবিকার সন্ধানে বাগেরহাট জেলা থেকে ঢাকায় তার বাবার কাছে চলে আসে। প্রথম পর্যায়ে আনোয়ার অপরাধ জগতে ছিনতাই ও বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি শুরু করলেও এক বছর ধরে সে মানুষের কবজি কেটে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেকে কবজিকাটা গ্রুপের প্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।

তার এ ভিডিও টিকটক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। পরে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে এলে বাহিনীর অন্যতম সদস্য ভাগ্নে বিল্লালসহ আরও অনেকে গ্রেপ্তার হলে আনোয়ার নিজের আগের লেবাস পরিবর্তন করে আত্মগোপনে থেকে গ্রুপের নামে দুর্ধর্ষ বাহিনী গড়ে তোলে।

মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান, নবীনগর হাউজিং, চন্দ্রিমা হাউজিং ও আদাবরের শ্যামলী হাউজিং, শেখেরটেক, নবোদয় হাউজিং এলাকায় হত্যা, অস্ত্র-গুলি, মাদক কেনাবেচা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে কবজিকাটা আনোয়ার গ্রুপ বাহিনী। এলাকার কিশোরদের মাদক, অস্ত্র ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে নিজস্ব দলের ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মে তাদের ব্যবহার করে অপরাধ জগৎ থেকে উপার্জিত টাকার মাধ্যমে সে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়ে ওঠে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, অত্যন্ত সুকৌশলে বারবার সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। গ্রুপ সদস্যরা রাস্তায় সিসি ক্যামেরা থাকলে সেগুলো ভাঙচুর ও নজর রাখে, রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের আদলে যানজট নিয়ন্ত্রণের নাটক সাজিয়ে রাস্তা ব্লক করে। এরপর তারা ফিল্মি স্টাইলে ভুক্তভোগীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে হাতের কবজি কেটে সবার সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক মাসে গ্রেপ্তার আনোয়ারের হাতেই ৭/৮ জন হামলার শিকার হয়েছেন। কেউ হারিয়েছেন পা, কেউ হাত আবার কেউ পঙ্গু হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন। তার ভয়ে মামলাও করেন না অনেকে। আবার কেউ মামলা করলে তাকে নানা ভয়ভীতি দেখায় গ্রুপের সদস্যরা। আনোয়ারের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে প্রথম আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সংঘটিত সংঘর্ষে আদাবর থানায় মামলা দায়ের হয়।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

গ্রেফতার নিয়ে আরও পড়ুন

অসদাচারণ ও দুর্নীতির অভিযোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা,অসদাচারণ ও দুর্নীতির তদন্ত আগামী শুরু ৩০ জুলাই শুরু হচ্ছে। খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউজে তার বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়

১ ঘণ্টা আগে

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন।

১ দিন আগে

ডাকাতরা নগদ ৮ লাখ টাকা, সোনার গয়না ও বাড়ির মূল্যবান জিনিস লুঠ করে। বুধবার রাত ২টায় কিশোরগঞ্জ সদর ইউপির মুশা বটতলা গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মুরগী ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিকীর বাড়িতে এ ডাকাতি হয়।

১ দিন আগে

২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর শিবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে নিজ বাসায় ঢুকে গুলি করে পালিয়ে যায় আসামি মহসিন মিয়া এবং আরও দুজন। গুরুতর আহত অবস্থায় হারুনুর রশিদকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন থাকার ৯৪ দিন পর ওই বছরের ৩১ মে মারা যান এই রাজনীতিক

১ দিন আগে