মালিক গ্রেফতার
পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় নিরাময় নার্সিং হোম নামের একটি ক্লিনিকে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করা হচ্ছিল। এতে রোগীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি আর্থিকভাবে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় ও গরিব মানুষেরা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্লিনিকটির মালিক উজ্জ্বল সরকারকে সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বোদা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ইনজামামুল আমিন প্রীমনের নেতৃত্বে বোদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফুয়াদ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে একটি অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে উজ্জ্বল সরকারকে ক্লিনিক থেকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় মামলার অন্যতম আসামি ভুয়া চিকিৎসক অভি সরকার পালিয়ে যান।
পরে এঘটনায় বোদা উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বিপ্লব কুমার বোদা থানায় নিরাময় নার্সিং হোমের মালিক উজ্জ্বল ও ভুয়া চিকিৎসক অভিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ উজ্জ্বলকে এই মামলায় গ্রেফেতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ জুলাই বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের আমতলা কাজীপাড়া এলাকার জামাল হোসেনের স্ত্রী কোহিনূর বেগম পেটের টিউমারজনিত সমস্যায় নিরাময় নার্সিং হোমে ভর্তি হন। সেখানে অভি সরকার নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তার অপারেশন করেন। কিন্তু অপারেশনের পর বাড়িতে গিয়ে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। পরিচিতদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিবার জানতে পারেন যে, যিনি অপারেশন করেছেন তিনি প্রকৃত ডাক্তার নন।
পরবর্তীতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে নিরাময় নার্সিং হোমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ক্লিনিক মালিক উজ্জ্বল সরকার স্বীকার করেন, অভি সরকার ডাক্তার না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
এছাড়া, ২৭ জুলাই আরেক গর্ভবতী নারী একই ক্লিনিকে ভর্তি হন। তার সিজার প্রয়োজন হলেও সময়মতো চিকিৎসা না দিয়ে কালক্ষেপণ করা হয়। পরে তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে অপারেশনের বিলম্বে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নিরাময় নার্সিং হোমে এর আগেও ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তবুও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বারবার ঘটছে। স্থানীয়দের দাবি, এ ধরনের প্রতারণামূলক চিকিৎসাসেবা বন্ধে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণার অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে ক্লিনিকের মালিক উজ্জ্বলকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে তোলার পরে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামি ভুয়া চিকিৎসক অভিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, বুধবার দুপুরে নিরাময় নার্সিং হোমের মালিক উজ্জ্বলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পঞ্চগড় সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সহ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে কর্মরত ওয়ার্ড বয়, আয়া সহ সংশ্লিষ্টরা। পরে তারা পঞ্চগড় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় মহাসড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। পরে জেলা তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর যান।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় নিরাময় নার্সিং হোম নামের একটি ক্লিনিকে ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করা হচ্ছিল। এতে রোগীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি আর্থিকভাবে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় ও গরিব মানুষেরা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্লিনিকটির মালিক উজ্জ্বল সরকারকে সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বোদা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ইনজামামুল আমিন প্রীমনের নেতৃত্বে বোদা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং বোদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফুয়াদ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে একটি অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে উজ্জ্বল সরকারকে ক্লিনিক থেকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় মামলার অন্যতম আসামি ভুয়া চিকিৎসক অভি সরকার পালিয়ে যান।
পরে এঘটনায় বোদা উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বিপ্লব কুমার বোদা থানায় নিরাময় নার্সিং হোমের মালিক উজ্জ্বল ও ভুয়া চিকিৎসক অভিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ উজ্জ্বলকে এই মামলায় গ্রেফেতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ জুলাই বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের আমতলা কাজীপাড়া এলাকার জামাল হোসেনের স্ত্রী কোহিনূর বেগম পেটের টিউমারজনিত সমস্যায় নিরাময় নার্সিং হোমে ভর্তি হন। সেখানে অভি সরকার নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে তার অপারেশন করেন। কিন্তু অপারেশনের পর বাড়িতে গিয়ে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। পরিচিতদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিবার জানতে পারেন যে, যিনি অপারেশন করেছেন তিনি প্রকৃত ডাক্তার নন।
পরবর্তীতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে নিরাময় নার্সিং হোমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ক্লিনিক মালিক উজ্জ্বল সরকার স্বীকার করেন, অভি সরকার ডাক্তার না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
এছাড়া, ২৭ জুলাই আরেক গর্ভবতী নারী একই ক্লিনিকে ভর্তি হন। তার সিজার প্রয়োজন হলেও সময়মতো চিকিৎসা না দিয়ে কালক্ষেপণ করা হয়। পরে তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে অপারেশনের বিলম্বে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নিরাময় নার্সিং হোমে এর আগেও ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তবুও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বারবার ঘটছে। স্থানীয়দের দাবি, এ ধরনের প্রতারণামূলক চিকিৎসাসেবা বন্ধে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণার অভিযোগে সেনাবাহিনীর অভিযানে ক্লিনিকের মালিক উজ্জ্বলকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে তোলার পরে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামি ভুয়া চিকিৎসক অভিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, বুধবার দুপুরে নিরাময় নার্সিং হোমের মালিক উজ্জ্বলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পঞ্চগড় সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সহ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে কর্মরত ওয়ার্ড বয়, আয়া সহ সংশ্লিষ্টরা। পরে তারা পঞ্চগড় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় মহাসড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেন। পরে জেলা তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর যান।

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কারনে সীমান্তে মাদক চোরাচালান ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। এতে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে
৪ ঘণ্টা আগে
মূলত এডিট করা আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে দিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করায় এ মামলা করেন তিনি
৬ ঘণ্টা আগে
এরপর থেকে মাংস ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে আগত নিম্নমানের মাংস শহরে যেন ঢুকতে না পারে সেজন্য তারা গোপনে বিভিন্ন জায়গায় পাহারা দিতে থাকে। এরই ফলে এই নিম্নমানের খাওয়ার অনুপযোগী দুর্গন্ধযুক্ত, মাংসের কালার নষ্ট খাসি ও ধাড়ী ছাগলের ৩০ কেজি মাংস তারা জব্দ করে
১ দিন আগে
চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও ৫৭ মামলার আসামি মোহাম্মদ রুহুল আমিন(৫৫), প্রায় পাঁচ বছর ধরে দুবাইতে পলাতক ছিলেন। গ্রেফতার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরছিলেন। তবে সেখান থেকেই তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।
১ দিন আগেমাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কারনে সীমান্তে মাদক চোরাচালান ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। এতে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে
মূলত এডিট করা আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে দিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করায় এ মামলা করেন তিনি
এরপর থেকে মাংস ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে আগত নিম্নমানের মাংস শহরে যেন ঢুকতে না পারে সেজন্য তারা গোপনে বিভিন্ন জায়গায় পাহারা দিতে থাকে। এরই ফলে এই নিম্নমানের খাওয়ার অনুপযোগী দুর্গন্ধযুক্ত, মাংসের কালার নষ্ট খাসি ও ধাড়ী ছাগলের ৩০ কেজি মাংস তারা জব্দ করে
চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও ৫৭ মামলার আসামি মোহাম্মদ রুহুল আমিন(৫৫), প্রায় পাঁচ বছর ধরে দুবাইতে পলাতক ছিলেন। গ্রেফতার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরছিলেন। তবে সেখান থেকেই তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।