টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের কুইজবাড়ী গ্রামে বসতভিটার সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে এক পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় পরিবারটি এলাকায় থাকতে পারছে না এবং বর্তমানে কালিহাতী উপজেলার চিনামুড়া এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর বিকেলে অভিযুক্ত জাহিদ, শহিদ ও তাদের পিতা হামেদ আলীসহ ৩–৪ জন বাদীর মা অনামিকা বেগমকে বাড়ির উঠানে টেনে-হেঁচড়ে মারধর করে। জাহিদের সজোরে লাথিতে অনামিকা বেগমের পূর্বের সিজারিয়ান অপারেশনের সেলাই ছিঁড়ে গুরুতর রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় তার শ্লীলতাহানিরও ঘটনা ঘটে। আহতদের স্বামী জাহিদুর রহমানও মারধরের শিকার হন, তার ডান চোখে আঘাত লেগে চোখ নষ্ট হওয়ার চেষ্টা করা হয়।

হামলার একপর্যায়ে অভিযুক্ত জাহিদ বাড়িতে ঢুকে নগদ ৮০ হাজার টাকা লুট করে, আর শহিদ তার স্ত্রীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন এবং গ্রাম্য শালিসে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন এবং থানার ওসি রুহুল আমীন জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাদী পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তার অভাবে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।