মানিকগঞ্জ

তালিকায় দেখা যায়, পরিবহন কোম্পানি ও রুটভেদে সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৭ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। এই চাঁদা উত্তোলনের দায়িত্বে রয়েছেন মোট ১৬২ জন লাইনম্যান। তাঁদের মধ্যে ১৪৯ জন সরাসরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে টাকা পৌঁছে দেন এবং ১৩ জন টাকা দেন থানার মুন্সির কাছে।
ওই তালিকায় কোন পরিবহন বা রুটে, কে, কত টাকা চাঁদা দেন, কার মাধ্যমে দেন, তাঁদের মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তার কাছ থেকে এই তালিকা পেয়েছেন এই প্রতিবেদক।
পরিচয় গোপন রেখে তালিকাভুক্ত ১৬২ জন লাইনম্যানের মধ্যে অন্তত ৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা সবাই চাঁদা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁদের স্থানে অন্য ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করছেন। যেমন, আগে রোজিনা পরিবহন থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা চাঁদা পৌঁছে দিতেন শামীম নামের এক লাইনম্যান। বর্তমানে তাঁর স্থলে দায়িত্ব পালন করছেন রকি। সিএনজি রুটে মোতালেবের পরিবর্তে দায়িত্বে আছেন ফায়াজ। যাত্রীসেবা পরিবহনে আগে দায়িত্বে থাকা হারেজের জায়গায় এখন মোকসেদ দায়িত্ব পালন করছেন।
চাঁদা প্রদানের তালিকা অনুযায়ী, ৪৫টি পরিবহন কোম্পানি, ১০টি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি, সিএনজি ও লেগুনার ১০টি লাইন, পোশাকশিল্প ও কারখানার শ্রমিক পরিবহনে নিয়োজিত ১২টি কোম্পানি, ১৮টি ড্রাম ট্রাক কোম্পানি এবং কয়েকটি কুরিয়ার সার্ভিস ও ভাঙারি ব্যবসায়ী এই চাঁদা ব্যবস্থার আওতায় রয়েছে।
তালিকায় উল্লেখ রয়েছে, ওয়েলকাম, রাবেয়া রাখী, সাতক্ষীরা লাইন, স্টার লাইন ও সেবা গ্রীন লাইনের পক্ষ থেকে মাসে ৪ হাজার ৫০০ টাকা করে চাঁদা পৌঁছে দেন রকি নামের এক ব্যক্তি। তাঁর মোবাইল নম্বর ০১৭১ দিয়ে শুরু হয়ে ৩১৯ দিয়ে শেষ হয়েছে।
রোজিনা, গ্রীন বাংলা, লালন, ঠিকানা ও সৌদিয়া পরিবহনের মাসিক ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা পৌঁছে দেন শাহিন নামে এক লাইনম্যান। সৌদিয়া পরিবহন দেয় মাত্র এক হাজার টাকা। তাঁর মোবাইল নম্বর ০১৭১ দিয়ে শুরু হয়ে শেষ ৮১০ দিয়ে।
এছাড়া যাত্রীসেবা পরিবহন থেকে ১৫ হাজার টাকা, সেলফি পরিবহন থেকে ১০ হাজার টাকা, শুভযাত্রা থেকে ৮ হাজার টাকা, ভিলেজ লাইন থেকে ৫ হাজার টাকা, স্বপ্ন পরিবহন থেকে ২৫ হাজার টাকা, দর্শনা ডিলাক্স থেকে সর্বোচ্চ ২৭ হাজার টাকা, লেগুনা ও সিএনজি বিভিন্ন রুট থেকে ৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায়ের তথ্য রয়েছে তালিকায়।
বর্তমানে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দেওয়ান কওসিক আহম্মেদ। মাসিক চাঁদা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা আগে ছিল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে একেবারে বন্ধ হয়েছে, তা বলা যাবে না। একবারে তো সবাই সাধু হয়ে যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, থানায় যোগদানের ৫–৬ দিনের মাথায় মসজিদের সামনে এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, তিনি মুন্সির কাছে দুই হাজার টাকা দিয়েছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি বলেন, আগের ওসি সোহেল সরোয়ারকে নিয়মিত টাকা দিতেন। পরে মুন্সিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, টাকা আগের ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওসি দেওয়ান কওসিক আহম্মেদ দাবি করেন, বর্তমানে কোনো ‘মান্থলি সিস্টেম’ নেই। তাঁর ভাষায়, “মান্থলি থাকলে শুধু গোলড়া নয়, শিবালয়ের উথুলি ও সাভার হাইওয়ে থানাতেও থাকতো। তাই এখন আর এটা নেই।”
তবে কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি এই প্রতিবেদককে মাসিক ‘সম্মানি’ দেওয়ার প্রস্তাব দেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিককে মাসিক চাঁদা দেওয়ার একটি তালিকাও দেখান।

তালিকায় দেখা যায়, পরিবহন কোম্পানি ও রুটভেদে সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৭ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। এই চাঁদা উত্তোলনের দায়িত্বে রয়েছেন মোট ১৬২ জন লাইনম্যান। তাঁদের মধ্যে ১৪৯ জন সরাসরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে টাকা পৌঁছে দেন এবং ১৩ জন টাকা দেন থানার মুন্সির কাছে।
ওই তালিকায় কোন পরিবহন বা রুটে, কে, কত টাকা চাঁদা দেন, কার মাধ্যমে দেন, তাঁদের মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তার কাছ থেকে এই তালিকা পেয়েছেন এই প্রতিবেদক।
পরিচয় গোপন রেখে তালিকাভুক্ত ১৬২ জন লাইনম্যানের মধ্যে অন্তত ৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা সবাই চাঁদা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কেউ কেউ জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁদের স্থানে অন্য ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করছেন। যেমন, আগে রোজিনা পরিবহন থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা চাঁদা পৌঁছে দিতেন শামীম নামের এক লাইনম্যান। বর্তমানে তাঁর স্থলে দায়িত্ব পালন করছেন রকি। সিএনজি রুটে মোতালেবের পরিবর্তে দায়িত্বে আছেন ফায়াজ। যাত্রীসেবা পরিবহনে আগে দায়িত্বে থাকা হারেজের জায়গায় এখন মোকসেদ দায়িত্ব পালন করছেন।
চাঁদা প্রদানের তালিকা অনুযায়ী, ৪৫টি পরিবহন কোম্পানি, ১০টি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি, সিএনজি ও লেগুনার ১০টি লাইন, পোশাকশিল্প ও কারখানার শ্রমিক পরিবহনে নিয়োজিত ১২টি কোম্পানি, ১৮টি ড্রাম ট্রাক কোম্পানি এবং কয়েকটি কুরিয়ার সার্ভিস ও ভাঙারি ব্যবসায়ী এই চাঁদা ব্যবস্থার আওতায় রয়েছে।
তালিকায় উল্লেখ রয়েছে, ওয়েলকাম, রাবেয়া রাখী, সাতক্ষীরা লাইন, স্টার লাইন ও সেবা গ্রীন লাইনের পক্ষ থেকে মাসে ৪ হাজার ৫০০ টাকা করে চাঁদা পৌঁছে দেন রকি নামের এক ব্যক্তি। তাঁর মোবাইল নম্বর ০১৭১ দিয়ে শুরু হয়ে ৩১৯ দিয়ে শেষ হয়েছে।
রোজিনা, গ্রীন বাংলা, লালন, ঠিকানা ও সৌদিয়া পরিবহনের মাসিক ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা পৌঁছে দেন শাহিন নামে এক লাইনম্যান। সৌদিয়া পরিবহন দেয় মাত্র এক হাজার টাকা। তাঁর মোবাইল নম্বর ০১৭১ দিয়ে শুরু হয়ে শেষ ৮১০ দিয়ে।
এছাড়া যাত্রীসেবা পরিবহন থেকে ১৫ হাজার টাকা, সেলফি পরিবহন থেকে ১০ হাজার টাকা, শুভযাত্রা থেকে ৮ হাজার টাকা, ভিলেজ লাইন থেকে ৫ হাজার টাকা, স্বপ্ন পরিবহন থেকে ২৫ হাজার টাকা, দর্শনা ডিলাক্স থেকে সর্বোচ্চ ২৭ হাজার টাকা, লেগুনা ও সিএনজি বিভিন্ন রুট থেকে ৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায়ের তথ্য রয়েছে তালিকায়।
বর্তমানে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দেওয়ান কওসিক আহম্মেদ। মাসিক চাঁদা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা আগে ছিল। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। তবে একেবারে বন্ধ হয়েছে, তা বলা যাবে না। একবারে তো সবাই সাধু হয়ে যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, থানায় যোগদানের ৫–৬ দিনের মাথায় মসজিদের সামনে এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, তিনি মুন্সির কাছে দুই হাজার টাকা দিয়েছেন। বিষয়টি জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি বলেন, আগের ওসি সোহেল সরোয়ারকে নিয়মিত টাকা দিতেন। পরে মুন্সিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, টাকা আগের ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওসি দেওয়ান কওসিক আহম্মেদ দাবি করেন, বর্তমানে কোনো ‘মান্থলি সিস্টেম’ নেই। তাঁর ভাষায়, “মান্থলি থাকলে শুধু গোলড়া নয়, শিবালয়ের উথুলি ও সাভার হাইওয়ে থানাতেও থাকতো। তাই এখন আর এটা নেই।”
তবে কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি এই প্রতিবেদককে মাসিক ‘সম্মানি’ দেওয়ার প্রস্তাব দেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিককে মাসিক চাঁদা দেওয়ার একটি তালিকাও দেখান।

মানিকগঞ্জের বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) কার্যালয়ে বদলি–সংক্রান্ত দীর্ঘ বিরোধের কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। দুই মাস আগে বদলি হওয়া সার গুদামের উপসহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান এখনো কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও আরও দুই ব্যক্তির নামে সাইবার-সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি। অভিযোগ দায়ের করেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় নেতা আরিয়ান আহমেদ।
১২ ঘণ্টা আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি চাল সংগ্রহ ও বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের অস্বাভাবিক লেনদেনও প্রকাশ হয
১২ ঘণ্টা আগে
খুলনা ওয়াসার আলোচিত ফেস-২ প্রকল্পে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলামকে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হিসেবে রুটিন দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তবে একজন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
১২ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) কার্যালয়ে বদলি–সংক্রান্ত দীর্ঘ বিরোধের কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। দুই মাস আগে বদলি হওয়া সার গুদামের উপসহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান এখনো কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন।
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও আরও দুই ব্যক্তির নামে সাইবার-সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি। অভিযোগ দায়ের করেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় নেতা আরিয়ান আহমেদ।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি চাল সংগ্রহ ও বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের অস্বাভাবিক লেনদেনও প্রকাশ হয
খুলনা ওয়াসার আলোচিত ফেস-২ প্রকল্পে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলামকে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হিসেবে রুটিন দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তবে একজন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।