খুলনা ওয়াসার আলোচিত ফেস-২ প্রকল্পে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলামকে প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হিসেবে রুটিন দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তবে একজন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর খুলনা ওয়াসার ফেস-২ প্রকল্পের জন্য ২,৫৯৮ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ৯ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ পিইঞ্জের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রকল্পের দায়িত্ব নেন অতিরিক্ত কর্মকর্তা। এরপর ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ কামরুজ্জামানকে খুলনা ওয়াসার এমডি হিসেবে পদায়ন করা হয়।

মঙ্গলবার যোগদানের পর নতুন এমডি প্রকল্প পরিচালকের তালিকা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। প্রেরিত চারজনের মধ্যে মোঃ রেজাউল ইসলাম বিশেষভাবে বিতর্কিত। তিনি পূর্বে কোনো বৃহৎ প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না এবং মূলত অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স কাজে নিয়োজিত ছিলেন। যদিও প্রকল্পের জন্য বিধি অনুযায়ী কমপক্ষে ৪র্থ গ্রেডের প্রকৌশলী থাকা আবশ্যক, সেখানে ৬ষ্ঠ গ্রেডের কর্মকর্তা রুটিন দায়িত্বে নিয়োগ পেয়েছেন।

ওয়াসা সূত্রে আরও জানা যায়, তালিকা প্রেরণ প্রক্রিয়ায় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তদবির চালিয়েছেন। এতে নতুন এমডির অফিসে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুমোদন মেলে। এ বিষয়টি প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও বাস্তবায়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে বিতর্কিত ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেওয়ায় প্রকল্পের নির্ধারিত সময়সীমায় বাস্তবায়ন ও মানগত কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।