ভোলা
ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী ও সচিব নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতি করে আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে অর্থ আত্মসাৎকারী প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা অনাস্থা প্রকাশ করে তাদের স্বাক্ষরিত অনাস্থা কপি ভোলা জেলা প্রশাসক, দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশপত্র দাখিল করেছেন বিক্ষুব্ধ ইউপি সদস্যরা। তবে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিবাজ প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি বলে তারা জানান। জানা গেছে, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহাল তবিয়তে আছেন এই দুর্নীতিবাজরা।
এ ব্যাপারে উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগ ও ভিডিও বক্তব্য সূত্রে জানা গেছে, মিলন চৌধুরী প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউনিয়ন পরিষদ মাসিক সভা করেননি। তিনি গোপনে কিছু সদস্যকে ভয় দেখিয়ে নোটিশবই ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেন। মাসিক সভা সঠিক নিয়মে না করায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না এবং সাধারণ জনগণও ইউনিয়নের কোনো তথ্য জানতে পারছে না।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ প্রদান করা হলেও এ টাকায় ৫টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কোনো কাজ না করে ইউপি তহবিল থেকে এ টাকা উত্তোলন করে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে যান। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, দৌলতখান শাখায় টাকা উত্তোলনের তথ্য জানতে চাইলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট না দিয়ে বলেন, টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, কিন্তু ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেওয়া যাবে না।
চলতি বছর টিআর নগদ অর্থ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কাবিটা ১৮ লাখ ৫০ হাজার, কাবিখা ১২ হাজার মেট্রিকটন চাল/গম এবং ইউপি উন্নয়ন খাতে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইউপি সভা না করে প্যানেল চেয়ারম্যান সচিবকে নিয়ে ইচ্ছামতো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে প্যানেল চেয়ারম্যান নিজ কাজে ব্যয় করেন। সচিবের কাছে হিসাব জানতে চাইলে ইউপি সদস্যদের হিসাব দিচ্ছেন না।
মিলন চৌধুরী প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে আদায়কৃত টাকা ইউপি তহবিলে জমা না করে নিজের ইচ্ছামতো ব্যয় করেন। ইউপি হিসাবের বাইরে ভুয়া নম্বর দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে টাকা আত্মসাৎ করছেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে অনুমান ২৪ লাখ টাকার ওপরে ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে। ওই টাকার কিছু অংশ ইউনিয়ন তহবিলে জমা করা হয়েছে। জমাকৃত টাকার বেশিরভাগ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং ভিজিডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
বিগত দিনগুলোতে প্যানেল চেয়ারম্যান ভিজিডি ও জেলেদের বিজিএফের চাল উত্তোলন করে কিছু চাল জেলে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন, অবশিষ্ট চাল বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী ও সচিব নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী ও সচিব নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতি করে আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে অর্থ আত্মসাৎকারী প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা অনাস্থা প্রকাশ করে তাদের স্বাক্ষরিত অনাস্থা কপি ভোলা জেলা প্রশাসক, দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশপত্র দাখিল করেছেন বিক্ষুব্ধ ইউপি সদস্যরা। তবে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিবাজ প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব নিয়াজ মোর্শেদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি বলে তারা জানান। জানা গেছে, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহাল তবিয়তে আছেন এই দুর্নীতিবাজরা।
এ ব্যাপারে উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগ ও ভিডিও বক্তব্য সূত্রে জানা গেছে, মিলন চৌধুরী প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউনিয়ন পরিষদ মাসিক সভা করেননি। তিনি গোপনে কিছু সদস্যকে ভয় দেখিয়ে নোটিশবই ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেন। মাসিক সভা সঠিক নিয়মে না করায় উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না এবং সাধারণ জনগণও ইউনিয়নের কোনো তথ্য জানতে পারছে না।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ প্রদান করা হলেও এ টাকায় ৫টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কোনো কাজ না করে ইউপি তহবিল থেকে এ টাকা উত্তোলন করে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়ে যান। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, দৌলতখান শাখায় টাকা উত্তোলনের তথ্য জানতে চাইলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট না দিয়ে বলেন, টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, কিন্তু ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেওয়া যাবে না।
চলতি বছর টিআর নগদ অর্থ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কাবিটা ১৮ লাখ ৫০ হাজার, কাবিখা ১২ হাজার মেট্রিকটন চাল/গম এবং ইউপি উন্নয়ন খাতে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইউপি সভা না করে প্যানেল চেয়ারম্যান সচিবকে নিয়ে ইচ্ছামতো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে প্যানেল চেয়ারম্যান নিজ কাজে ব্যয় করেন। সচিবের কাছে হিসাব জানতে চাইলে ইউপি সদস্যদের হিসাব দিচ্ছেন না।
মিলন চৌধুরী প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে আদায়কৃত টাকা ইউপি তহবিলে জমা না করে নিজের ইচ্ছামতো ব্যয় করেন। ইউপি হিসাবের বাইরে ভুয়া নম্বর দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে টাকা আত্মসাৎ করছেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে অনুমান ২৪ লাখ টাকার ওপরে ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে। ওই টাকার কিছু অংশ ইউনিয়ন তহবিলে জমা করা হয়েছে। জমাকৃত টাকার বেশিরভাগ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং ভিজিডি কার্ড দেওয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
বিগত দিনগুলোতে প্যানেল চেয়ারম্যান ভিজিডি ও জেলেদের বিজিএফের চাল উত্তোলন করে কিছু চাল জেলে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন, অবশিষ্ট চাল বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী ও সচিব নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার সাভারে সরকারি খাস জমি উদ্ধারের নোটিশ দিতে গিয়ে ভূমিদস্যুদের হামলার শিকার হয়েছেন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক কর্মকর্তাকে সাভার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ দিন আগেসাতক্ষীরায় ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির দায়ে দুই ভূমি অফিস কর্মকর্তাকে (নায়েব) চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তরা হলেন মুকিত আলী ও সিয়াব উদ্দিন ।
২ দিন আগেচাহিদামতো টাকা দিতে না পারলেই বন্দী স্থানান্তর হচ্ছে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে। এই প্রক্রিয়ায় গত একমাসে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই অবৈধ লেনদেনের সাথে জেলসুপার থেকে শুরু করে কারারক্ষীরা পর্যন্ত যুক্ত আছে বলে জানা গেছে।
৩ দিন আগেরাজধানীর তুরাগ থানার দলিপাড়া এলাকা থেকে মোবাইল ফোন হারিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া (৪৬) নামের এক প্রকৌশলী। ঘটনার পর তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও এখন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
৩ দিন আগেবুধবার সাভারে সরকারি খাস জমি উদ্ধারের নোটিশ দিতে গিয়ে ভূমিদস্যুদের হামলার শিকার হয়েছেন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক কর্মকর্তাকে সাভার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরায় ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির দায়ে দুই ভূমি অফিস কর্মকর্তাকে (নায়েব) চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তরা হলেন মুকিত আলী ও সিয়াব উদ্দিন ।
চাহিদামতো টাকা দিতে না পারলেই বন্দী স্থানান্তর হচ্ছে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে। এই প্রক্রিয়ায় গত একমাসে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই অবৈধ লেনদেনের সাথে জেলসুপার থেকে শুরু করে কারারক্ষীরা পর্যন্ত যুক্ত আছে বলে জানা গেছে।
রাজধানীর তুরাগ থানার দলিপাড়া এলাকা থেকে মোবাইল ফোন হারিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া (৪৬) নামের এক প্রকৌশলী। ঘটনার পর তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও এখন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।