সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন, সদর থানার সাবেক ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ওসি মহিদুল ইসলাম, জজ আদালতের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেলসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে কোটি টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলাটি দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আল ফেরদাউস আলফা বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিলাস মন্ডলের আদালতে দায়ের করেন। মামলা নং-সিআর ১৭৪২/২৫ ধারায় ৪৪৮/৩৬৪/৩২৩/৩০৭সহ অন্যান্য ধারা অন্তর্ভুক্ত। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণী অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর বাঁকাল চেকপোস্টে বাদীর দেড় কোটি টাকার ভারতীয় সামুদ্রিক মাছ জব্দ করে বিজিবি। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও মাছ ছাড়ার জন্য সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ফোনে দেড় কোটি টাকা দাবি করেন।

পরবর্তীতে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন ও ডিবি পুলিশের ওসি মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০–১২ জন সাদা পোশাকধারী পুলিশ বাদীর বাড়িতে গিয়ে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। ১৫ লাখ টাকা দিলেও বাদী রক্ষা পাননি। পরে বাদী ও তার ভাইকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে পুলিশ নির্যাতন চালায়।

চাঁদা না দেওয়ায় মামলায় বাদীকে অজ্ঞাতনামা আসামী হিসেবে জেল হাজতে পাঠানো হয়। জব্দকৃত মাছের মূল্য দেড় কোটি টাকা হলেও, আসামীরা মাত্র ১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বিক্রি দেখিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া সাবেক পিপি আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে মো: রাসেলও বাদীর কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য করেন।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামীদের নির্যাতনে তিনি প্রায় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এবং আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। মামলার পরবর্তী ধার্য দিন নির্ধারিত হয়েছে ২০২৬ সালের ২০ এপ্রিল।