খুলনা
নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শৈত্য প্রবাহ, অনাবৃষ্টি ও দাবদাহের ধাক্কা সামাল দিতে হচ্ছে বোরো ক্ষেতকে। এবার প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় হচ্ছে ৩০ টাকা ৪ পয়সা। গত বছর উৎপাদনে খরচ ছিল ২৮ টাকা ৯০ পয়সা। সবচেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে কৃষি শ্রমিকের মজুরিতে।
বীজতলা ও রোপণের সময় জনপ্রতি কৃষি শ্রমিকের মজুরি ছিল ৬০০ টাকা। এখন ধান কাতার সময় সেই মজুরি দৈনিক জনপ্রতি ৭০০-৮০০ টাকা। তাপমাত্রা বাড়লে অথবা বৃষ্টি হলে জনপ্রতি মজুরি আরো দু’শ টাকা বাড়বে। ১৫ দিন পরে অধিক ধান আবাদের এলাকা ডুমুরিয়া, তেরখাদা ও পাইকগাছায় কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে।
নভেম্বরে বীজতলার শুরুতে এবং ডিসেম্বর-মধ্য জানুয়ারিতে রোপণের সময় শৈত্য প্রবাহে বড়ধরনের ক্ষতি হয় এ আবাদে। শৈত্য প্রবাহের কারণে অনেক স্থানে ব্লাস্ট নামক রোগ দেখা দেয়। কৃষি সম্প্রসারণের পরামর্শে এ অঞ্চলের কৃষক ব্লাস্ট প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।
এ মৌসুমে মহানগরীসহ ৯ উপজেলায় ৬৫ হাজার ৫৩৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। অধিক লাভের আশায় এ অঞ্চলের কৃষকেরা সিংহ ভাগ জমিতে হাইব্রিড বীজের চাষাবাদ করে। সবচেয়ে আবাদ হয়েছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। এখানে বোরো আবাদের পরিধি ২১ হাজার ৫৫৮ হেক্টর। এছাড়া তেরখাদা উপজেলায় ৮ হাজার ৯৪৯ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। এ মৌসুমে জেলায় ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৯৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। গেল মৌসুমে ৬৪ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয় এ জেলায়। এ তথ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
তেরখাদার আজগড়া, কালিনগর, ছাগলাদহ, নিশিপুর, কোলা, ইছামতি, নয়বারাসাত, কয়রার আমাদি, বেদকাশিতে লবণাক্ত এলাকায় ব্রি-১০৫, বিনা-২৫, হীরা-১, ২, ১৯, এসএল ৮, ময়না, ব্রি ধান- ৮৮ জাতের ধানের চাষ হয়েছে। দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটার একাংশে ৬৫ শতাংশ জমিতে লবণ সহনশীল হাইব্রিড জাতের আবাদ হয়।
সূত্রমতে, বীজ, ইউরিয়া, ডিএপি, এমওপি, জিপসাম, দস্তা, জৈব সার, কীটনাশক, জমির ভাড়া এবং কৃষি শ্রমিক, বীজতলা থেকে ধান কাটা পর্যন্ত একর প্রতি এ মৌসুমে উৎপাদন খরচ হয় ৯০ হাজার ৯৫৭ টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এ তথ্যের সাথে আবাদি কৃষক দ্বিমত পোষণ করেছেন।
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, বীজ, সার ও কৃষি শ্রমিকের মূল্য বাড়ার কারণে এবারের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। জেলায় ৬ শতাংশ জমির বোরো কাটা হয়েছে। আগাম আবাদ করা উপজেলাগুলো হচ্ছে পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া ও তেরখাদা। তিনি বলেন, সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রতিদিন জনপ্রতি রোপণের সময় মজুরি ছিল ৬০০ টাকা। দাবদাহের কারণে কৃষি শ্রমিকের মজুরি বাড়তে পারে।
তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিউলী মজুমদার জানান, হাড়িখালি, আজুগড়া, মধুপুর, সাচিয়াদহ ও ছাগলাদহে উৎপাদন আশানুরূপ হবে। সেচ সংকট হয়নি। দু’এক জায়গায় পোকার আক্রমণ হলেও কৃষক তা সহজেই দমন করেছে। কৃষি মজুরি বাড়ার কারণে এবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া এলাকার কৃষক হানিফ মোড়ল ৫ একর জমিতে বোরোর আবাদ করেছেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, বিঘা প্রতি উৎপাদন হবে ১৫ হাজার টাকা। রোপণের সময় জনপ্রতি প্রতিদিনের কৃষি মজুরি ছিল ৬০০ টাকা। আগামী শুক্রবার থেকে তার আবাদকৃত জমিতে ধান কাটা শুরু হবে। তার ধারণা, ধান কাতার সময় কৃষি শ্রমিকের জনপ্রতি মজুরি ৮০০ টাকা হতে পারে। বিঘা প্রতি ৩০ মণ ধান হলে উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ দাম পাবেন বলে তিনি আশাবাদী। এ গ্রামের চাষি মনিরুজ্জামান কাজী এবং মকবুল ইসলাম শেখ উদ্বিগ্ন, বৃষ্টি কিংবা তাপমাত্রা বাড়লে কৃষি শ্রমিকের মজুরি বাড়তে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশানুরূপ ফলন হবে বলে তারা আশাবাদী।
গেল বছর বোরো কাতার শুরুতেই বটিয়াঘাটার কৈয়া, বটিয়াঘাটা সদর ও দাকোপের চালনা বাজারে নতুন ধান ১ হাজার মণ দরে বিক্রি হয়। ২০২২ সালের করোনার ধাক্কা সামাল দেওয়ার পর এই প্রথম কৃষক লাভের মুখ দেখে। আমন মৌসুমে অক্টোবরে অতিবৃষ্টির কারণে ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও রূপসার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।#
নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শৈত্য প্রবাহ, অনাবৃষ্টি ও দাবদাহের ধাক্কা সামাল দিতে হচ্ছে বোরো ক্ষেতকে। এবার প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় হচ্ছে ৩০ টাকা ৪ পয়সা। গত বছর উৎপাদনে খরচ ছিল ২৮ টাকা ৯০ পয়সা। সবচেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে কৃষি শ্রমিকের মজুরিতে।
বীজতলা ও রোপণের সময় জনপ্রতি কৃষি শ্রমিকের মজুরি ছিল ৬০০ টাকা। এখন ধান কাতার সময় সেই মজুরি দৈনিক জনপ্রতি ৭০০-৮০০ টাকা। তাপমাত্রা বাড়লে অথবা বৃষ্টি হলে জনপ্রতি মজুরি আরো দু’শ টাকা বাড়বে। ১৫ দিন পরে অধিক ধান আবাদের এলাকা ডুমুরিয়া, তেরখাদা ও পাইকগাছায় কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে।
নভেম্বরে বীজতলার শুরুতে এবং ডিসেম্বর-মধ্য জানুয়ারিতে রোপণের সময় শৈত্য প্রবাহে বড়ধরনের ক্ষতি হয় এ আবাদে। শৈত্য প্রবাহের কারণে অনেক স্থানে ব্লাস্ট নামক রোগ দেখা দেয়। কৃষি সম্প্রসারণের পরামর্শে এ অঞ্চলের কৃষক ব্লাস্ট প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।
এ মৌসুমে মহানগরীসহ ৯ উপজেলায় ৬৫ হাজার ৫৩৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। অধিক লাভের আশায় এ অঞ্চলের কৃষকেরা সিংহ ভাগ জমিতে হাইব্রিড বীজের চাষাবাদ করে। সবচেয়ে আবাদ হয়েছে ডুমুরিয়া উপজেলায়। এখানে বোরো আবাদের পরিধি ২১ হাজার ৫৫৮ হেক্টর। এছাড়া তেরখাদা উপজেলায় ৮ হাজার ৯৪৯ ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। এ মৌসুমে জেলায় ৩ লাখ ৮ হাজার ৯৯৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। গেল মৌসুমে ৬৪ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয় এ জেলায়। এ তথ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের।
তেরখাদার আজগড়া, কালিনগর, ছাগলাদহ, নিশিপুর, কোলা, ইছামতি, নয়বারাসাত, কয়রার আমাদি, বেদকাশিতে লবণাক্ত এলাকায় ব্রি-১০৫, বিনা-২৫, হীরা-১, ২, ১৯, এসএল ৮, ময়না, ব্রি ধান- ৮৮ জাতের ধানের চাষ হয়েছে। দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটার একাংশে ৬৫ শতাংশ জমিতে লবণ সহনশীল হাইব্রিড জাতের আবাদ হয়।
সূত্রমতে, বীজ, ইউরিয়া, ডিএপি, এমওপি, জিপসাম, দস্তা, জৈব সার, কীটনাশক, জমির ভাড়া এবং কৃষি শ্রমিক, বীজতলা থেকে ধান কাটা পর্যন্ত একর প্রতি এ মৌসুমে উৎপাদন খরচ হয় ৯০ হাজার ৯৫৭ টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এ তথ্যের সাথে আবাদি কৃষক দ্বিমত পোষণ করেছেন।
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, বীজ, সার ও কৃষি শ্রমিকের মূল্য বাড়ার কারণে এবারের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। জেলায় ৬ শতাংশ জমির বোরো কাটা হয়েছে। আগাম আবাদ করা উপজেলাগুলো হচ্ছে পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া ও তেরখাদা। তিনি বলেন, সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রতিদিন জনপ্রতি রোপণের সময় মজুরি ছিল ৬০০ টাকা। দাবদাহের কারণে কৃষি শ্রমিকের মজুরি বাড়তে পারে।
তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিউলী মজুমদার জানান, হাড়িখালি, আজুগড়া, মধুপুর, সাচিয়াদহ ও ছাগলাদহে উৎপাদন আশানুরূপ হবে। সেচ সংকট হয়নি। দু’এক জায়গায় পোকার আক্রমণ হলেও কৃষক তা সহজেই দমন করেছে। কৃষি মজুরি বাড়ার কারণে এবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া এলাকার কৃষক হানিফ মোড়ল ৫ একর জমিতে বোরোর আবাদ করেছেন। তার দেওয়া তথ্য মতে, বিঘা প্রতি উৎপাদন হবে ১৫ হাজার টাকা। রোপণের সময় জনপ্রতি প্রতিদিনের কৃষি মজুরি ছিল ৬০০ টাকা। আগামী শুক্রবার থেকে তার আবাদকৃত জমিতে ধান কাটা শুরু হবে। তার ধারণা, ধান কাতার সময় কৃষি শ্রমিকের জনপ্রতি মজুরি ৮০০ টাকা হতে পারে। বিঘা প্রতি ৩০ মণ ধান হলে উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ দাম পাবেন বলে তিনি আশাবাদী। এ গ্রামের চাষি মনিরুজ্জামান কাজী এবং মকবুল ইসলাম শেখ উদ্বিগ্ন, বৃষ্টি কিংবা তাপমাত্রা বাড়লে কৃষি শ্রমিকের মজুরি বাড়তে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশানুরূপ ফলন হবে বলে তারা আশাবাদী।
গেল বছর বোরো কাতার শুরুতেই বটিয়াঘাটার কৈয়া, বটিয়াঘাটা সদর ও দাকোপের চালনা বাজারে নতুন ধান ১ হাজার মণ দরে বিক্রি হয়। ২০২২ সালের করোনার ধাক্কা সামাল দেওয়ার পর এই প্রথম কৃষক লাভের মুখ দেখে। আমন মৌসুমে অক্টোবরে অতিবৃষ্টির কারণে ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও রূপসার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।#
দেশের বৃহৎ আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা কম খরচে পণ্য পরিবহন, দ্রুত পণ্য ছাড় ব্যবস্থাসহ আর্থিক সাশ্রয় সুবিধা পাওয়ায় ভোমরা বন্দরকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে
২ দিন আগেভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ১ হাজার ২৭৩ টাকা থেকে ৩ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২ দিন আগেনীলফামারীতে হু হু করে ভোগ্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারণ দিশেহারা হয়ে পরেছে। ব্যবসায়ীরা এই মুল্যবৃদ্ধিকে অপর্যাপ্ত সরবরাহের কারণ বলে অজুহাত তুলছেন।
২ দিন আগেপ্রতি টন পেঁয়াজ ৩০৫ ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে প্রায় ৩৮ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ৫৭-৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব
২ দিন আগেদেশের বৃহৎ আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা কম খরচে পণ্য পরিবহন, দ্রুত পণ্য ছাড় ব্যবস্থাসহ আর্থিক সাশ্রয় সুবিধা পাওয়ায় ভোমরা বন্দরকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে
ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ১ হাজার ২৭৩ টাকা থেকে ৩ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নীলফামারীতে হু হু করে ভোগ্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারণ দিশেহারা হয়ে পরেছে। ব্যবসায়ীরা এই মুল্যবৃদ্ধিকে অপর্যাপ্ত সরবরাহের কারণ বলে অজুহাত তুলছেন।
প্রতি টন পেঁয়াজ ৩০৫ ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে প্রায় ৩৮ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ৫৭-৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব