ভোলার নদ-নদীতে ইলিশের অকাল
আবু মাহাজ,ভোলা
সম্প্রতি দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ আহরণে নামছেন ভোলার জেলেরা। নৌকা ও জাল মেরামত করে নদীতে নামছে তারা। দীর্ঘ কর্মহীন সময় শেষে জেলেপাড়ায় বইছে আনন্দ-উৎসবের আমেজ।
কিন্তু সেই আমেজ নষ্ট হয়ে যায় নদীতে মাছ শিকারে গেলে। ভরা মৌসূমে ইলিশ না পেয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার উপকূলের প্রায় আড়াই লাখ জেলে। এতে দিনদিন কমছে জেলের সংখ্যা।
ভোলায় ৭ উপজেলা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ভরা মৌসূমেও ইলিশ শিকারের জন্য কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জাল ফেলছেন জেলেরা। কিন্তু মিলছে না কাঙ্কিত ইলিশ। যা পাচ্ছেন তা বিক্রি করে খরচের পয়সাও উঠছেনা। এক বুক হতাশা নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন জেলেরা। মহাজনের দাদন, এনজিওর কিস্তি, মুদি দোকানের দেনা পরিশোধের চিন্তা মাথায় নিয়ে শতশত জেলে ট্রলার ঘাটে বেঁধে আয় রোজগারের ভিন্ন পথে ঝুঁকছেন।
ইলিশ গবেষকরা বলছেন, নদীতে ডুবোচরের কারণে ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে মিলছে না কাঙ্কিত ইলিশ। নদীতে ইলিশ না থাকায় এবছর এক লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই মৌসুমের ইলিশ এ অঞ্চলে আসছে না। তবে অসময়ে ইলিশ ধরা পড়তে পারে বলেও আশা করা হচ্ছে।
সূত্রটি আরো বলছে, ভোলায় ইলিশ উৎপাদনের ( আহরণের) লক্ষ্যমাত্রা এবছর ধরা হয় ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন । যে অবস্থায় নদী গুলোতে ইলিশের অকাল চলছে তাতে এবছরে ইলিশের লক্ষমাত্রা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোলার ইলিশা, ধনিয়া, রাজাপুর, ভোলার খাল, দৌলতখানের চৌকিঘাট ঘুরে দেখা যায়, সারাদিন নদী চষে নৌকা প্রতি মিলছে না ৩/৪টি ইলিশ। ওই ইলিশ বিক্রি করে টাকা মেলে ১/৩ হাজার। নৌকার জ্বালানি খরচ, প্রতিদিনের ব্যয় মিটিয়ে ভাগিদার ৮/১০ জনের একজন পান ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ওই টাকায় ৬/৭ জনের সংসার চলে না। অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে এদের।
জেলেরা জানান, ভোলার শাহবাজপুর চ্যানেল ইলিশ বিচরণের জন্য খ্যাত। ওই চ্যানেলের মুখে কিছু প্রভাবশালী মাছদস্যু নিষিদ্ধ পাই জাল, বেড় জাল, বিহুন্দি জাল, মশারী জাল বসিয়ে ৩/৪ ইঞ্চির ইলিশ প্রজাতি বিনষ্ট করছে। এটা ওপেন সিক্রিট। প্রশাসন জেনেও চিহ্নিত ওই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। জেলায় ওই চক্রের সংখ্যা মাত্র ২০/২৫ জন। অথচ এরা ধ্বংস করে বেড়াচ্ছে কোটি কোটি টাকার ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতি মাছ রেনু পোনা। বছরে ডিম ছাড়ার সময় এরা মা ইলিশও ধ্বংস করে। আবার জানুয়ারি-ফেরুয়ারি মাসে এরাই জাটকা বিনষ্ট করছে। ইলিশ প্রজাতি এভাবেই বিনষ্ট হওয়ায় এখন ইলিশ সংকট চলছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলায় নিবন্ধনকৃত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ২৪৩ জন। অনিবন্ধনকৃত জেলে রয়েছে সমপরিমান। জেলে সূত্র থেকে জানা যায়,প্রায় ৩ লাখ জেলে ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও সাগর মোহনায় সরাসরি মাছ ধরা পেশায় জড়িত। মাছ বিক্রির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আরো ৫০ হাজার ।
জেলা মৎস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডুবচরই ইলিশ বিচরণে মূল বাঁধা। নদী ড্রেজিং এর জন্য আমরা কাজ করছি। নদীগুলোতে পানি কম থাকায় ইলিশ বিচরণ কম । আমরা আশা করছি বর্ষার প্রকৃত রুপরেখা প্রকৃতির সাথে মিশে গেলেই ভোলার নদীগুলোতে ইলিশের অকাল রোধ কেটে যাবে। এর ফলে আমাদের এ বছরের লক্ষা মাত্রাও পূর্ণ হবে আশা করছি। জেলেদের হতাশ হওয়ার কারন নেই অচিরেই নদীতে ইলিশ শঙ্কট কেটে যাবে।এবছর ইলিশ লক্ষমাত্রা ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন । লক্ষমাত্রার চেয়ে এবারে উৎপাদন বেশী হবে বলে আশাবাদি এই কর্মকর্তার।
সম্প্রতি দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ আহরণে নামছেন ভোলার জেলেরা। নৌকা ও জাল মেরামত করে নদীতে নামছে তারা। দীর্ঘ কর্মহীন সময় শেষে জেলেপাড়ায় বইছে আনন্দ-উৎসবের আমেজ।
কিন্তু সেই আমেজ নষ্ট হয়ে যায় নদীতে মাছ শিকারে গেলে। ভরা মৌসূমে ইলিশ না পেয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার উপকূলের প্রায় আড়াই লাখ জেলে। এতে দিনদিন কমছে জেলের সংখ্যা।
ভোলায় ৭ উপজেলা মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ভরা মৌসূমেও ইলিশ শিকারের জন্য কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জাল ফেলছেন জেলেরা। কিন্তু মিলছে না কাঙ্কিত ইলিশ। যা পাচ্ছেন তা বিক্রি করে খরচের পয়সাও উঠছেনা। এক বুক হতাশা নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন জেলেরা। মহাজনের দাদন, এনজিওর কিস্তি, মুদি দোকানের দেনা পরিশোধের চিন্তা মাথায় নিয়ে শতশত জেলে ট্রলার ঘাটে বেঁধে আয় রোজগারের ভিন্ন পথে ঝুঁকছেন।
ইলিশ গবেষকরা বলছেন, নদীতে ডুবোচরের কারণে ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে মিলছে না কাঙ্কিত ইলিশ। নদীতে ইলিশ না থাকায় এবছর এক লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই মৌসুমের ইলিশ এ অঞ্চলে আসছে না। তবে অসময়ে ইলিশ ধরা পড়তে পারে বলেও আশা করা হচ্ছে।
সূত্রটি আরো বলছে, ভোলায় ইলিশ উৎপাদনের ( আহরণের) লক্ষ্যমাত্রা এবছর ধরা হয় ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন । যে অবস্থায় নদী গুলোতে ইলিশের অকাল চলছে তাতে এবছরে ইলিশের লক্ষমাত্রা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোলার ইলিশা, ধনিয়া, রাজাপুর, ভোলার খাল, দৌলতখানের চৌকিঘাট ঘুরে দেখা যায়, সারাদিন নদী চষে নৌকা প্রতি মিলছে না ৩/৪টি ইলিশ। ওই ইলিশ বিক্রি করে টাকা মেলে ১/৩ হাজার। নৌকার জ্বালানি খরচ, প্রতিদিনের ব্যয় মিটিয়ে ভাগিদার ৮/১০ জনের একজন পান ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ওই টাকায় ৬/৭ জনের সংসার চলে না। অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে এদের।
জেলেরা জানান, ভোলার শাহবাজপুর চ্যানেল ইলিশ বিচরণের জন্য খ্যাত। ওই চ্যানেলের মুখে কিছু প্রভাবশালী মাছদস্যু নিষিদ্ধ পাই জাল, বেড় জাল, বিহুন্দি জাল, মশারী জাল বসিয়ে ৩/৪ ইঞ্চির ইলিশ প্রজাতি বিনষ্ট করছে। এটা ওপেন সিক্রিট। প্রশাসন জেনেও চিহ্নিত ওই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। জেলায় ওই চক্রের সংখ্যা মাত্র ২০/২৫ জন। অথচ এরা ধ্বংস করে বেড়াচ্ছে কোটি কোটি টাকার ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতি মাছ রেনু পোনা। বছরে ডিম ছাড়ার সময় এরা মা ইলিশও ধ্বংস করে। আবার জানুয়ারি-ফেরুয়ারি মাসে এরাই জাটকা বিনষ্ট করছে। ইলিশ প্রজাতি এভাবেই বিনষ্ট হওয়ায় এখন ইলিশ সংকট চলছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলায় নিবন্ধনকৃত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ২৪৩ জন। অনিবন্ধনকৃত জেলে রয়েছে সমপরিমান। জেলে সূত্র থেকে জানা যায়,প্রায় ৩ লাখ জেলে ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া ও সাগর মোহনায় সরাসরি মাছ ধরা পেশায় জড়িত। মাছ বিক্রির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন আরো ৫০ হাজার ।
জেলা মৎস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডুবচরই ইলিশ বিচরণে মূল বাঁধা। নদী ড্রেজিং এর জন্য আমরা কাজ করছি। নদীগুলোতে পানি কম থাকায় ইলিশ বিচরণ কম । আমরা আশা করছি বর্ষার প্রকৃত রুপরেখা প্রকৃতির সাথে মিশে গেলেই ভোলার নদীগুলোতে ইলিশের অকাল রোধ কেটে যাবে। এর ফলে আমাদের এ বছরের লক্ষা মাত্রাও পূর্ণ হবে আশা করছি। জেলেদের হতাশ হওয়ার কারন নেই অচিরেই নদীতে ইলিশ শঙ্কট কেটে যাবে।এবছর ইলিশ লক্ষমাত্রা ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন । লক্ষমাত্রার চেয়ে এবারে উৎপাদন বেশী হবে বলে আশাবাদি এই কর্মকর্তার।
দেশের বৃহৎ আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা কম খরচে পণ্য পরিবহন, দ্রুত পণ্য ছাড় ব্যবস্থাসহ আর্থিক সাশ্রয় সুবিধা পাওয়ায় ভোমরা বন্দরকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে
২ দিন আগেভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ১ হাজার ২৭৩ টাকা থেকে ৩ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২ দিন আগেনীলফামারীতে হু হু করে ভোগ্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারণ দিশেহারা হয়ে পরেছে। ব্যবসায়ীরা এই মুল্যবৃদ্ধিকে অপর্যাপ্ত সরবরাহের কারণ বলে অজুহাত তুলছেন।
২ দিন আগেপ্রতি টন পেঁয়াজ ৩০৫ ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে প্রায় ৩৮ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ৫৭-৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব
২ দিন আগেদেশের বৃহৎ আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা কম খরচে পণ্য পরিবহন, দ্রুত পণ্য ছাড় ব্যবস্থাসহ আর্থিক সাশ্রয় সুবিধা পাওয়ায় ভোমরা বন্দরকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে
ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের মূল্য ১ হাজার ২৭৩ টাকা থেকে ৩ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নীলফামারীতে হু হু করে ভোগ্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতা সাধারণ দিশেহারা হয়ে পরেছে। ব্যবসায়ীরা এই মুল্যবৃদ্ধিকে অপর্যাপ্ত সরবরাহের কারণ বলে অজুহাত তুলছেন।
প্রতি টন পেঁয়াজ ৩০৫ ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে প্রায় ৩৮ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ৫৭-৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব