সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে বর্ষাকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। তিন চার গুণ দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। তবে স্থিতিশীল আছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। হঠাৎ সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা।
সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজারে প্রকারভেদে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। যা এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা । এছাড়া বেগুন ১১০ , টমেটো ১৪০, আলু ২৫, দেশী ওল ১২০, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০, কাঁচা কলা ৫০, গাজর ১৪০, বরবটি ৭০, ঢেঁড়স ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫, কাঁকরোল ৮০, কচুরমুখি ৫০, চিচিঙ্গা ৬০, ঝিঙে ৬০, পল্লা ৩০, ঢেঁড়স ৪০, কেওড়া ৪০, কচুর লতি ৬০ ও উচ্ছে ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া লেবু ২ টাকা পিস, পুঁইশাক এক আটি ২০ টাকা, লাল শাক এক আঁটি ২০ টাকা, লাউ একপিস ৫০ টাকা এবং ৩০/৩৫ টাকা দামের খিরাই বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে এসব সবজি কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, রসুন প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১১০ টাকা এবং আদা প্রতি কেজি ১শ টাকা । এছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য মশলা জাতীয় পণ্য। সাধারণ ক্রেতাদের মসলায় স্বস্তি থাকলে অস্বস্তিতে আছে সবজিতে।
সবজি ক্রেতা হায়দার আলী জানান, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। বৃষ্টির অজুহাতে সরবরাহ কমিয়ে পরিকল্পিতভাবে বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে কিনা তা মনিটরিং এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আড়ৎদার রহিম বাবু বলেন, গত প্রায় ১৫ দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার বহু অঞ্চলের সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, টানা বর্ষার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে বাজারে সবজি সরবরাহ কম। আমাদের প্রতিটি সবজি কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে কেনার পার কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভে খুচরা বিক্রি করি।
পাইকারি বিক্রেতা মহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা আমাদের নগরঘাটা ও ধানদিয়া এলাকার অধিকাংশ সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। সে কারণে কৃষকরা ক্ষেতের সবজি উঠাতে পারছে না। আবার অনেকের ক্ষেতের সবজি পানিতে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত পানি সরে না গেলে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন করে সবজি না উঠা পর্যন্ত বাজারে দাম বাড়তেই থাকবে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে সাতক্ষীরার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বর্ষাকালীন সবজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১হাজার ৭৮৫ হে: জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষায় ২ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান, ধানের বীজতলা ও সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
সাতক্ষীরায় পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে বর্ষাকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। তিন চার গুণ দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। তবে স্থিতিশীল আছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। হঠাৎ সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা।
সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজারে প্রকারভেদে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। যা এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা । এছাড়া বেগুন ১১০ , টমেটো ১৪০, আলু ২৫, দেশী ওল ১২০, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০, কাঁচা কলা ৫০, গাজর ১৪০, বরবটি ৭০, ঢেঁড়স ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫, কাঁকরোল ৮০, কচুরমুখি ৫০, চিচিঙ্গা ৬০, ঝিঙে ৬০, পল্লা ৩০, ঢেঁড়স ৪০, কেওড়া ৪০, কচুর লতি ৬০ ও উচ্ছে ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া লেবু ২ টাকা পিস, পুঁইশাক এক আটি ২০ টাকা, লাল শাক এক আঁটি ২০ টাকা, লাউ একপিস ৫০ টাকা এবং ৩০/৩৫ টাকা দামের খিরাই বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে এসব সবজি কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, রসুন প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১১০ টাকা এবং আদা প্রতি কেজি ১শ টাকা । এছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য মশলা জাতীয় পণ্য। সাধারণ ক্রেতাদের মসলায় স্বস্তি থাকলে অস্বস্তিতে আছে সবজিতে।
সবজি ক্রেতা হায়দার আলী জানান, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। বৃষ্টির অজুহাতে সরবরাহ কমিয়ে পরিকল্পিতভাবে বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে কিনা তা মনিটরিং এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আড়ৎদার রহিম বাবু বলেন, গত প্রায় ১৫ দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার বহু অঞ্চলের সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, টানা বর্ষার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে বাজারে সবজি সরবরাহ কম। আমাদের প্রতিটি সবজি কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে কেনার পার কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভে খুচরা বিক্রি করি।
পাইকারি বিক্রেতা মহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা আমাদের নগরঘাটা ও ধানদিয়া এলাকার অধিকাংশ সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। সে কারণে কৃষকরা ক্ষেতের সবজি উঠাতে পারছে না। আবার অনেকের ক্ষেতের সবজি পানিতে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত পানি সরে না গেলে কৃষকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন করে সবজি না উঠা পর্যন্ত বাজারে দাম বাড়তেই থাকবে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে সাতক্ষীরার প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বর্ষাকালীন সবজির চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১হাজার ৭৮৫ হে: জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষায় ২ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান, ধানের বীজতলা ও সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
অনুকূল আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী বলে মনে করছেন চাষিরা
১৫ ঘণ্টা আগেবোরো মৌসুমে সরকারের চাল সংগ্রহের প্রভাবে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী
২ দিন আগেজৈব সার মিশ্রণ ও নারিকেলের ছোবরার মধ্যে বীজ বপন করে চারা উৎপাদন করা হয়
৩ দিন আগেএক বছর আগেও যেসব চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা ছিল, বর্তমানে সেগুলোর অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে দেশটি এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।
৩ দিন আগেঅনুকূল আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী বলে মনে করছেন চাষিরা
প্রতি কেজিতে সবজির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা
বোরো মৌসুমে সরকারের চাল সংগ্রহের প্রভাবে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী
জৈব সার মিশ্রণ ও নারিকেলের ছোবরার মধ্যে বীজ বপন করে চারা উৎপাদন করা হয়