বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
শিক্ষা

উপাচার্যের কক্ষ সাজাতে ব্যয় ২০ লাখ টাকা!

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২: ৩৭
logo

উপাচার্যের কক্ষ সাজাতে ব্যয় ২০ লাখ টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২: ৩৭
Photo
উপাচার্যের এই কক্ষের সাজসজ্জায় ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ টাকা। ছবি : সংগৃহীত

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) ভাড়া ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদের কক্ষ সাজাতে ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব বাজেট থেকে এ অর্থ ব্যয় করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ খাত থেকে ভাড়া ভবনের সাজসজ্জায় ব্যয়ের এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই বলে জানিয়েছে তদারক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর সদরের কুমিল্লা রোডের ওয়াপদা এলাকার খলিশাঢুলী এলাকার একটি ভাড়া ভবনে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) এবং বিবিএ—এই তিন বিভাগের ৯টি ব্যাচের ক্লাসের জন্য মোট ছয়টি শ্রেণিকক্ষ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির।

প্রতি বিভাগের জন্য দুটি করে শ্রেণিকক্ষে কোনোমতে পাঠদান দেওয়া হতো। এ ছয় শ্রেণিকক্ষের মধ্যে একটি কক্ষ নতুন করে সাজানো হয়েছে। বর্তমানে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আগে থেকেই শ্রেণিকক্ষের সংকট ছিল। সেখানে আইসিটি বিভাগের একটি কক্ষ বাতিল হওয়ায় সংকট আরও বাড়বে। উপাচার্যের জন্য আলাদা একটি কক্ষ থাকার পরও আইসিটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষকে উপাচার্যের কক্ষ বানানো এবং ভাড়া ভবনে এ ধরনের সাজসজ্জার প্রয়োজন ছিল না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভাড়া ভবনে রাজস্ব বাজেট থেকে রুম রেনোভেশনের জন্য এমন খরচ করা হলে ইউজিসির অডিট আপত্তি হবে, বিষয়টি জানার পরও উপাচার্য কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ ব্যয় করেছেন। কী কারণে করেছেন, সেটি তারাই ভালো বলতে পারবেন।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আইসিটি বিভাগের যে কক্ষের সাজসজ্জা করা হয়েছে, সেটি ৬২৫ বর্গফুটের। কেবল অভ্যন্তরীণ সজ্জায় এ কক্ষের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া দুটি এসির জন্য ২ লাখ, চেয়ার-টেবিলের জন্য ১ লাখ ও সোফার জন্য ২ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদ বলেন, ‘রুম সাজানোর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা করেছেন। এখানে টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে হলে অনেক কিছুরই প্রয়োজন রয়েছে। যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে, সেটা কেনা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ইউজিসির অর্থ, হিসাব ও বাজেট বিভাগের পরিচালক মো. রেজাউল করিম হাওলাদার বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া ভবনে এ ধরনের ডেকোরেশন করা যায় না। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এমন কিছু করেছে কি না, আমার জানা নেই।’

ভাড়া ভবনের জন্য রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থ ব্যয় করা যায় না বলে জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে আমরা তদন্ত দল পাঠাব। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Thumbnail image
উপাচার্যের এই কক্ষের সাজসজ্জায় ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ টাকা। ছবি : সংগৃহীত

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) ভাড়া ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদের কক্ষ সাজাতে ব্যয় হয়েছে ২০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব বাজেট থেকে এ অর্থ ব্যয় করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ খাত থেকে ভাড়া ভবনের সাজসজ্জায় ব্যয়ের এখতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই বলে জানিয়েছে তদারক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর সদরের কুমিল্লা রোডের ওয়াপদা এলাকার খলিশাঢুলী এলাকার একটি ভাড়া ভবনে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই), ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) এবং বিবিএ—এই তিন বিভাগের ৯টি ব্যাচের ক্লাসের জন্য মোট ছয়টি শ্রেণিকক্ষ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির।

প্রতি বিভাগের জন্য দুটি করে শ্রেণিকক্ষে কোনোমতে পাঠদান দেওয়া হতো। এ ছয় শ্রেণিকক্ষের মধ্যে একটি কক্ষ নতুন করে সাজানো হয়েছে। বর্তমানে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আগে থেকেই শ্রেণিকক্ষের সংকট ছিল। সেখানে আইসিটি বিভাগের একটি কক্ষ বাতিল হওয়ায় সংকট আরও বাড়বে। উপাচার্যের জন্য আলাদা একটি কক্ষ থাকার পরও আইসিটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষকে উপাচার্যের কক্ষ বানানো এবং ভাড়া ভবনে এ ধরনের সাজসজ্জার প্রয়োজন ছিল না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ভাড়া ভবনে রাজস্ব বাজেট থেকে রুম রেনোভেশনের জন্য এমন খরচ করা হলে ইউজিসির অডিট আপত্তি হবে, বিষয়টি জানার পরও উপাচার্য কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ ব্যয় করেছেন। কী কারণে করেছেন, সেটি তারাই ভালো বলতে পারবেন।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আইসিটি বিভাগের যে কক্ষের সাজসজ্জা করা হয়েছে, সেটি ৬২৫ বর্গফুটের। কেবল অভ্যন্তরীণ সজ্জায় এ কক্ষের জন্য ব্যয় করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া দুটি এসির জন্য ২ লাখ, চেয়ার-টেবিলের জন্য ১ লাখ ও সোফার জন্য ২ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদ বলেন, ‘রুম সাজানোর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা করেছেন। এখানে টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে হলে অনেক কিছুরই প্রয়োজন রয়েছে। যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে, সেটা কেনা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ইউজিসির অর্থ, হিসাব ও বাজেট বিভাগের পরিচালক মো. রেজাউল করিম হাওলাদার বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া ভবনে এ ধরনের ডেকোরেশন করা যায় না। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এমন কিছু করেছে কি না, আমার জানা নেই।’

ভাড়া ভবনের জন্য রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থ ব্যয় করা যায় না বলে জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে আমরা তদন্ত দল পাঠাব। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

শিক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম ২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে

২ দিন আগে
৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

দেশের প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও তাদের মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। বর্তমানে একজন সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে যোগদান করে মোট ১৭ হাজার ৬৫০ টাকা বেতন পান, যা বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়

৩ দিন আগে
২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু কবে, যা জানা গেল

২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু কবে, যা জানা গেল

প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, গত বছর এসএসসি পরীক্ষা হয়েছিলো ১৬ এপ্রিল, এবার আমাদের টার্গেট আছে ৩০ এপ্রিল শুরু করার

৬ দিন আগে
এমপিও নীতিমালা সংশোধন, বেসরকারি কলেজে সিনিয়র প্রভাষক পদ বিলুপ্ত

এমপিও নীতিমালা সংশোধন, বেসরকারি কলেজে সিনিয়র প্রভাষক পদ বিলুপ্ত

পদটি বিলুপ্ত হওয়ায় এখন আগের মতোই প্রভাষকরা সরাসরি সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। প্রভাষকরা চাকরির ১০ বছর পূর্তিতে জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ৯ থেকে ৮ প্রাপ্য হবেন এবং ধারাবাহিকভাবে এমপিওভুক্তির ১৬ বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন

৬ দিন আগে
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম ২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে

২ দিন আগে
৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

দেশের প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও তাদের মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। বর্তমানে একজন সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে যোগদান করে মোট ১৭ হাজার ৬৫০ টাকা বেতন পান, যা বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়

৩ দিন আগে
২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু কবে, যা জানা গেল

২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা শুরু কবে, যা জানা গেল

প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, গত বছর এসএসসি পরীক্ষা হয়েছিলো ১৬ এপ্রিল, এবার আমাদের টার্গেট আছে ৩০ এপ্রিল শুরু করার

৬ দিন আগে
এমপিও নীতিমালা সংশোধন, বেসরকারি কলেজে সিনিয়র প্রভাষক পদ বিলুপ্ত

এমপিও নীতিমালা সংশোধন, বেসরকারি কলেজে সিনিয়র প্রভাষক পদ বিলুপ্ত

পদটি বিলুপ্ত হওয়ায় এখন আগের মতোই প্রভাষকরা সরাসরি সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। প্রভাষকরা চাকরির ১০ বছর পূর্তিতে জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ৯ থেকে ৮ প্রাপ্য হবেন এবং ধারাবাহিকভাবে এমপিওভুক্তির ১৬ বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন

৬ দিন আগে