শিক্ষকরা একবারের জন্যও নীরব থাকতে রাজি নন। দীর্ঘ ২২ দিন ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে পরিষদ জানায়, তিন দফা দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পরীক্ষা বর্জন ও শাটডাউন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। শিক্ষকদের আশা, প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে বিদ্যালয় অচলাবস্থা দূর করবেন এবং শ্রেণিকক্ষে ফিরে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করবেন।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের তিন দফা দাবি হলো:

• সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে নির্ধারণ করা,
• ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করা,
• সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ায় পরিষদের চারজন আহ্বায়ক—মো. আবুল কাসেম, মো. শামছুদ্দিন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি ও মু. মাহবুবুর রহমান—এবং ২০২৩ ও ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষকদের শোকজ করার প্রতিবাদে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় প্রতিটি উপজেলার শিক্ষা অফিসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় সারাদেশের প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। শিক্ষকেরা এ কর্মসূচির মাধ্যমে আশা করছেন, তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ হলে আবারও শ্রেণিকক্ষে ফিরে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে।