নতুন শিক্ষাবর্ষকে ঘিরে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় তৈরি হওয়া উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা অবসান হয়েছে। খুলনা মহানগরী ও জেলার নয়টি উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২ লাখ ৯শ’ শিক্ষার্থীর জন্য বই প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ৮ লাখ ৭১ হাজার কপি। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই ৬ লাখ ৭ হাজার বই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। প্রাক-প্রাথমিক ও দ্বিতীয় শ্রেণির সব বই উপজেলা গুদামে মজুদ রয়েছে।

তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রায় ৩১ শতাংশ বই এখনও সরবরাহের অপেক্ষায় থাকলেও কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই সব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে এবং ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে বিতরণ সম্পন্ন হবে।

নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যসূচি প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩৩টি পাঠ্যপুস্তক দিয়ে সাজানো হয়েছে। এতে রয়েছে: আমার বাংলা বই, ইংলিশ ফর টুডে, প্রাথমিক গণিত, প্রাথমিক বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম শিক্ষা, বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা ও খ্রিষ্ট ধর্ম শিক্ষা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, নতুন পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং শিক্ষার্থীরা শুরুর দিনেই বই হাতে পাবে। এবার কোনো উৎসব বা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সরাসরি বিদ্যালয়ে বই পৌঁছে দেওয়া হবে, যাতে পাঠদান দ্রুত শুরু করা যায়।

শিক্ষাবর্ষে মোট ১৪ দিন ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস অন্তর্ভুক্ত। খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম নিশ্চিত করেছেন, শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই নতুন বই নিয়ে পাঠদান শুরু হবে এবং আগের বছরের বই ব্যবহার করা হবে না।

সব মিলিয়ে, বই সংকট ও অনিশ্চয়তার অধ্যায় পেরিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ফিরছে স্থিতিশীলতা, যা শিক্ষার্থীদের শেখার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে।