নিখাদ খবর ডেস্ক

কোলন ক্যান্সার, বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান এক স্বাস্থ্যঝুঁকি। এটি মূলত বৃহৎ অন্ত্র বা মলদ্বারে দেখা দেয় এবং সময়মতো ধরা না পড়লে প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। বয়স, পরিবারে ক্যান্সারের ইতিহাস, অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসসহ নানা কারণে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে সুখবর হলো—নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। গবেষণা বলছে, কিছু নির্দিষ্ট ধরনের খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই খাবারগুলো কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১.সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফোলেট এবং লুটেইন এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, কোলনের প্রদাহ কমায় এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে, যা পলিপ এবং ক্যান্সার গঠনের সম্ভাবনা কমায়।
২. ক্রুসিফেরাস সবজি
এই সবজিতে সালফোরাফেন থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত একটি উদ্ভিদ যৌগ। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই সবজিগুলো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক কার্সিনোজেনগুলোকে বিষমুক্ত করে।
৩. গোটা শস্য
গোটা শস্য খাদ্যতালিকাগত ফাইবারে ভরপুর, যা মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং বর্জ্য দ্রুত নির্মূল করতে সাহায্য করে, কোলনের আস্তরণের সঙ্গে সম্ভাব্য কার্সিনোজেনগুলোর যোগাযোগের সময় হ্রাস করে। এগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে এবং প্রদাহ কমায়।
৪. মটরশুটি এবং শিম
প্রতিরোধী স্টার্চ এবং দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ, শিমগুলো উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াটি শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে যার ক্যান্সার-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং কোলনে প্রদাহ কমায়।
৫. বেরি
বেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন, এলাজিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি-এর মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই যৌগগুলো কোলন কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ডিএনএ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

৬. ফ্যাটি মাছ
ফ্যাটি মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহের মাত্রা কমায়। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ নিয়মিত কেলে তা পরিপাকতন্ত্রে প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৭. রসুন
রসুনে সালফার যৌগ থাকে যা লিভারের এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে কার্সিনোজেন ধ্বংস করে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও সমর্থন করে এবং কোলনে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থের গঠন কমাতে পারে।
৮. হলুদ
হলুদের সক্রিয় যৌগ কারকিউমিনের শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব রয়েছে। এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ধীর করতে পারে এবং টিউমারের বিস্তার রোধ করতে পারে।
৯. দই এবং প্রোবায়োটিক খাবার
প্রোবায়োটিকগুলো একটি সুস্থ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে উৎসাহিত করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত দইয়ের খাওয়া হজমের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং কোলন সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
১০. বাদাম
বাদাম ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোলন স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। বাদামের পরিমিত ব্যবহার কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়।

কোলন ক্যান্সার, বা কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান এক স্বাস্থ্যঝুঁকি। এটি মূলত বৃহৎ অন্ত্র বা মলদ্বারে দেখা দেয় এবং সময়মতো ধরা না পড়লে প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। বয়স, পরিবারে ক্যান্সারের ইতিহাস, অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসসহ নানা কারণে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে সুখবর হলো—নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। গবেষণা বলছে, কিছু নির্দিষ্ট ধরনের খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই খাবারগুলো কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১.সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফোলেট এবং লুটেইন এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, কোলনের প্রদাহ কমায় এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে, যা পলিপ এবং ক্যান্সার গঠনের সম্ভাবনা কমায়।
২. ক্রুসিফেরাস সবজি
এই সবজিতে সালফোরাফেন থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত একটি উদ্ভিদ যৌগ। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই সবজিগুলো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক কার্সিনোজেনগুলোকে বিষমুক্ত করে।
৩. গোটা শস্য
গোটা শস্য খাদ্যতালিকাগত ফাইবারে ভরপুর, যা মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং বর্জ্য দ্রুত নির্মূল করতে সাহায্য করে, কোলনের আস্তরণের সঙ্গে সম্ভাব্য কার্সিনোজেনগুলোর যোগাযোগের সময় হ্রাস করে। এগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে এবং প্রদাহ কমায়।
৪. মটরশুটি এবং শিম
প্রতিরোধী স্টার্চ এবং দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ, শিমগুলো উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্ট করতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াটি শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে যার ক্যান্সার-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং কোলনে প্রদাহ কমায়।
৫. বেরি
বেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন, এলাজিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি-এর মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই যৌগগুলো কোলন কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ডিএনএ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

৬. ফ্যাটি মাছ
ফ্যাটি মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহের মাত্রা কমায়। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ নিয়মিত কেলে তা পরিপাকতন্ত্রে প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৭. রসুন
রসুনে সালফার যৌগ থাকে যা লিভারের এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে কার্সিনোজেন ধ্বংস করে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো অন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও সমর্থন করে এবং কোলনে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থের গঠন কমাতে পারে।
৮. হলুদ
হলুদের সক্রিয় যৌগ কারকিউমিনের শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব রয়েছে। এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ধীর করতে পারে এবং টিউমারের বিস্তার রোধ করতে পারে।
৯. দই এবং প্রোবায়োটিক খাবার
প্রোবায়োটিকগুলো একটি সুস্থ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে উৎসাহিত করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত দইয়ের খাওয়া হজমের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং কোলন সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
১০. বাদাম
বাদাম ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোলন স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। বাদামের পরিমিত ব্যবহার কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়।

ব্রেইন ফগ কোনো রোগ নয়, তবে এর লক্ষণগুলো বেশ বিরক্তিকর। যেমন: মনোযোগ কমে যাওয়া, ভুলে যাওয়া বা চিন্তার গতি ধীর হয়ে যাওয়া। বিশেষ করে সপ্তাহের ছুটি শেষে কাজে ফেরা বা পড়াশোনায় মন বসাতে গেলে অনেকের কাছেই এটি পরিচিত অনুভূতি
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাম্বুরা একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল, যা দেশের প্রায় সব স্থানেই পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভালো উৎস। সাধারণত এটি বিভিন্ন মসলা দিয়ে চাটনি করে অথবা এমনিতেই খাওয়া হয়। তবে যেকোনো খাবারের মতোই জাম্বুরার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা সবার জন্য উপয
২৪ আগস্ট ২০২৫
ভালো ফল পেতে প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিনই ব্যবহার করুন। দ্বিতীয় সপ্তাহে ৩-৪ বার। তৃতীয় সপ্তাহে ২-৩ বার। এভাবে পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে ২ দিন করে ব্যবহার করুন। ১ ঘণ্টা তেল লাগিয়ে এরপর ধুয়ে ফেলুন। এই এক ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব হলে দুবার মালিশ করুন
২৩ আগস্ট ২০২৫
তখন তো ফেসবুক ছিলো না। লেখা ভাইরাল কিনা সেটা বোঝারও উপায় ছিলো না। কিন্তু মিরপুর থেকে যখন কারওয়ানবাজারগামী বাসে উঠতাম, তখন দেখতাম, বাসের লোকজন প্রথম আলো পত্রিকা খুলে ঠিক আমার লেখাটাই পড়ছে। তাদের চোখেমুখে আনন্দের আভা।
২৩ আগস্ট ২০২৫ব্রেইন ফগ কোনো রোগ নয়, তবে এর লক্ষণগুলো বেশ বিরক্তিকর। যেমন: মনোযোগ কমে যাওয়া, ভুলে যাওয়া বা চিন্তার গতি ধীর হয়ে যাওয়া। বিশেষ করে সপ্তাহের ছুটি শেষে কাজে ফেরা বা পড়াশোনায় মন বসাতে গেলে অনেকের কাছেই এটি পরিচিত অনুভূতি
জাম্বুরা একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল, যা দেশের প্রায় সব স্থানেই পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি ভালো উৎস। সাধারণত এটি বিভিন্ন মসলা দিয়ে চাটনি করে অথবা এমনিতেই খাওয়া হয়। তবে যেকোনো খাবারের মতোই জাম্বুরার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যা সবার জন্য উপয
ভালো ফল পেতে প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিনই ব্যবহার করুন। দ্বিতীয় সপ্তাহে ৩-৪ বার। তৃতীয় সপ্তাহে ২-৩ বার। এভাবে পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে ২ দিন করে ব্যবহার করুন। ১ ঘণ্টা তেল লাগিয়ে এরপর ধুয়ে ফেলুন। এই এক ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব হলে দুবার মালিশ করুন
তখন তো ফেসবুক ছিলো না। লেখা ভাইরাল কিনা সেটা বোঝারও উপায় ছিলো না। কিন্তু মিরপুর থেকে যখন কারওয়ানবাজারগামী বাসে উঠতাম, তখন দেখতাম, বাসের লোকজন প্রথম আলো পত্রিকা খুলে ঠিক আমার লেখাটাই পড়ছে। তাদের চোখেমুখে আনন্দের আভা।