নির্বাচন কমিশন (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট এবার একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিতে ভোটের কাঠামো, গণভোটের প্রশ্ন ও সংশ্লিষ্ট সংবিধান সংস্কারের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভোটারদের সামনে উপস্থাপিত হবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’-সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট প্রশ্ন। ভোটাররা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বিকল্পের মাধ্যমে তাদের সম্মতি জানাতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে গণভোটের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

• নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে গঠন করা হবে।
• জাতীয় সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট, যেখানে উচ্চকক্ষে সদস্য সংখ্যা ১০০ এবং সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন প্রয়োজন।
• সংসদে নারী প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা-সহ ৩০টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।
• সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে বর্ণিত সংস্কারগুলো প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকবেন।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গণভোটের ফলাফলের সঙ্গে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের সমন্বয় সুনিশ্চিত করা হবে, যাতে সংবিধান সংস্কারের ধারাবাহিকতা ও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়।

এই উদ্যোগে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, সমন্বিত ও সকল রাজনৈতিক পক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।