নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ‘বিশেষ সুবিধা’ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ৫ শতাংশসহ মোট ১৫ শতাংশ এবং ১ম থেকে ৯ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা মোট ১০ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এই বৃদ্ধির ফলে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ১ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা অতিরিক্ত ৫ শতাংশ এবং ১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পাবেন। এতে সরকারের বাড়তি প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, '২০১৫ সালের পর থেকে কোনো বেতন কাঠামো না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।'
বাজেট ডকুমেন্ট অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে অফিসারদের মূল বেতন হিসেবে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা, কর্মচারীদের বেতন বাবদ ব্যয় হবে ৩০ হাজার ১ কোটি টাকা। আর অফিসার ও কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বাবদ ব্যয় হবে ৪০ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতায় বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৮৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অফিসারদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ১২ হাজার ২১৭ কোটি টাকা, কর্মচারীদের বেতন বাবদ ২৮ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতা বাবদ ৩৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাতে ৮১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৭৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
মূলত ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রায় ৫০ হাজার সরকারি চাকরিজীবী অবসরে যাবেন। ফলে পেনশনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৮.৫০ লাখ। এ কারণে পেনশন খাতে সরকারের ব্যয় বেশি বাড়লেও বিশেষ প্রণোদনা বাড়ানো সত্বেও বেতন-ভাতায় বরাদ্দের পরিমাণ সে তুলনায় বাড়ছে না।
সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা বৃদ্ধির ঘোষণা সম্পর্কে জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, 'মূল্যস্ফীতির চাপ সবার ওপর বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। এরকম সময়ে সরকার তার কর্মীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ালে সেটি মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিতে পারে। কারণ এর আগে বিভিন্ন হিসাব থেকে দেখা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ালে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় হবে। এতে বৈষম্যও বাড়তে পারে। কারণ ব্যক্তি খাত বেতন বাড়াবে না।'
তিনি বলেন, 'এরকম পরিস্থিতিতে সামাজিক নায্যতা নিশ্চিত করতে সরকারকে অন্যান্য পদক্ষেপও নিতে হবে, যাতে বেসরকারি খাতের মানুষদের করের চাপ কমে। বেসরকারি খাতে নিয়োজিতদের ব্যয়ের চাপ কমাতে সরকারি সেবা কম খরচে ও বিনামূল্যে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।'
জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ‘বিশেষ সুবিধা’ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই ৫ শতাংশসহ মোট ১৫ শতাংশ এবং ১ম থেকে ৯ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা মোট ১০ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এই বৃদ্ধির ফলে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ১ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা অতিরিক্ত ৫ শতাংশ এবং ১০ম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা পাবেন। এতে সরকারের বাড়তি প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, '২০১৫ সালের পর থেকে কোনো বেতন কাঠামো না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।'
বাজেট ডকুমেন্ট অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে অফিসারদের মূল বেতন হিসেবে ব্যয় হবে ১৩ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা, কর্মচারীদের বেতন বাবদ ব্যয় হবে ৩০ হাজার ১ কোটি টাকা। আর অফিসার ও কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা বাবদ ব্যয় হবে ৪০ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতায় বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৮৪ হাজার ১১৪ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অফিসারদের বেতন বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ১২ হাজার ২১৭ কোটি টাকা, কর্মচারীদের বেতন বাবদ ২৮ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতা বাবদ ৩৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাতে ৮১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৭৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
মূলত ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রায় ৫০ হাজার সরকারি চাকরিজীবী অবসরে যাবেন। ফলে পেনশনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৮.৫০ লাখ। এ কারণে পেনশন খাতে সরকারের ব্যয় বেশি বাড়লেও বিশেষ প্রণোদনা বাড়ানো সত্বেও বেতন-ভাতায় বরাদ্দের পরিমাণ সে তুলনায় বাড়ছে না।
সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা বৃদ্ধির ঘোষণা সম্পর্কে জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, 'মূল্যস্ফীতির চাপ সবার ওপর বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিয়েছে। এরকম সময়ে সরকার তার কর্মীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ালে সেটি মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিতে পারে। কারণ এর আগে বিভিন্ন হিসাব থেকে দেখা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ালে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় হবে। এতে বৈষম্যও বাড়তে পারে। কারণ ব্যক্তি খাত বেতন বাড়াবে না।'
তিনি বলেন, 'এরকম পরিস্থিতিতে সামাজিক নায্যতা নিশ্চিত করতে সরকারকে অন্যান্য পদক্ষেপও নিতে হবে, যাতে বেসরকারি খাতের মানুষদের করের চাপ কমে। বেসরকারি খাতে নিয়োজিতদের ব্যয়ের চাপ কমাতে সরকারি সেবা কম খরচে ও বিনামূল্যে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।'