সমন যাবে টেলিফোন-খুদেবার্তায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিচার কার্যক্রমকে আরও সময়োপযোগী ও নাগরিকবান্ধব করতে দেওয়ানি কার্যবিধি (সিপিসি) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আদালতের সমন জারির পদ্ধতিতে টেলিফোন ও খুদেবার্তাসহ আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তিকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। একইসঙ্গে ভুয়া মামলার ক্ষেত্রে শাস্তি বাড়িয়ে আরও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠক-পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সিপিসিতে বেশ কিছু আধুনিক ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- আদালতের সমন এখন থেকে টেলিফোন, এসএমএস কিংবা অন্যান্য আধুনিক ডিজিটাল মাধ্যমে জারি করা যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগে যেখানে বারবার সময় নেওয়ার সুযোগ থাকত, এখন সেটির একটি সীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে। কতবার সময় চাওয়া যাবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত থাকবে।”
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বাংলাদেশে একটা প্রচলিত কথা আছে- শত্রুতা করতে চাইলে ভূমির মামলা করে দাও, তা তিন প্রজন্মেও শেষ হবে না। আমরা চাই, যেন সেই বিচার এক প্রজন্মেই শেষ হয়। তাই সময় ও খরচ- দুই-ই কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই সিপিসি সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
ভুয়া মামলার প্রবণতা রোধে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আগে এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ২০ হাজার টাকা জরিমানা, এখন তা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের প্রবণতা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্রিটিশ আমলে প্রণীত সিপিসিকে যুগোপযোগী করার জন্য এই পরিবর্তনগুলো সময়ের দাবি হয়ে উঠেছিল বহু আগেই। অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাত ধরে এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হলো।
বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন, মামলার সময়সীমা নির্ধারণ, এবং ভুয়া মামলার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান- এসব সিদ্ধান্ত বিচারব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা পুনঃস্থাপন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একদিকে প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার, অন্যদিকে প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোরতা- দুইয়ের সমন্বয়ে বাংলাদেশ পাচ্ছে এক নতুন ধারার বিচারব্যবস্থা।
বিচার কার্যক্রমকে আরও সময়োপযোগী ও নাগরিকবান্ধব করতে দেওয়ানি কার্যবিধি (সিপিসি) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আদালতের সমন জারির পদ্ধতিতে টেলিফোন ও খুদেবার্তাসহ আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তিকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। একইসঙ্গে ভুয়া মামলার ক্ষেত্রে শাস্তি বাড়িয়ে আরও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠক-পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সিপিসিতে বেশ কিছু আধুনিক ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- আদালতের সমন এখন থেকে টেলিফোন, এসএমএস কিংবা অন্যান্য আধুনিক ডিজিটাল মাধ্যমে জারি করা যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগে যেখানে বারবার সময় নেওয়ার সুযোগ থাকত, এখন সেটির একটি সীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে। কতবার সময় চাওয়া যাবে, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারিত থাকবে।”
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বাংলাদেশে একটা প্রচলিত কথা আছে- শত্রুতা করতে চাইলে ভূমির মামলা করে দাও, তা তিন প্রজন্মেও শেষ হবে না। আমরা চাই, যেন সেই বিচার এক প্রজন্মেই শেষ হয়। তাই সময় ও খরচ- দুই-ই কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই সিপিসি সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
ভুয়া মামলার প্রবণতা রোধে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। আগে এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ২০ হাজার টাকা জরিমানা, এখন তা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের প্রবণতা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্রিটিশ আমলে প্রণীত সিপিসিকে যুগোপযোগী করার জন্য এই পরিবর্তনগুলো সময়ের দাবি হয়ে উঠেছিল বহু আগেই। অবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাত ধরে এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হলো।
বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন, মামলার সময়সীমা নির্ধারণ, এবং ভুয়া মামলার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান- এসব সিদ্ধান্ত বিচারব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা পুনঃস্থাপন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একদিকে প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার, অন্যদিকে প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোরতা- দুইয়ের সমন্বয়ে বাংলাদেশ পাচ্ছে এক নতুন ধারার বিচারব্যবস্থা।
আমাদের আর ভয় পাওয়ার অধিকার নেই। আবু সাঈদের আদর্শ ছিল সত্য ও ন্যায়ের। মৃত্যুর জন্য সে প্রস্তুত ছিল
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ জনের মরদেহ পোড়ানোর মামলায় পলাতক সাবেক এমপি সাইফুলসহ সব আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
৩ ঘণ্টা আগেপাশাপাশি দলটির নিবন্ধন পাওয়ার তারিখ, প্রতীক ও প্রতীকের নাম ইসির ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআমাদের আর ভয় পাওয়ার অধিকার নেই। আবু সাঈদের আদর্শ ছিল সত্য ও ন্যায়ের। মৃত্যুর জন্য সে প্রস্তুত ছিল
জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় হত্যার পর ৬ জনের মরদেহ পোড়ানোর মামলায় পলাতক সাবেক এমপি সাইফুলসহ সব আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
পাশাপাশি দলটির নিবন্ধন পাওয়ার তারিখ, প্রতীক ও প্রতীকের নাম ইসির ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।