নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আগে বাকস্বাধীনতার প্রতিপক্ষ ছিল স্বৈরাচারী সরকার এবং তাদের দলীয় ক্যাডাররা। কিন্তু এখন এই প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন গোষ্ঠী। একদল অন্য দলকে 'ধর্মপ্রবণ' বা 'ধর্মীয় উন্মাদ' বলছে, আবার অন্য কেউ 'নাস্তিক' বলে আক্রমণ করছে। ভারত-পাকিস্তান-দালাল-শত্রু—এমন নানা ধরনের অভিযোগও ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, বিপ্লবের পর সমাজে এক ধরনের অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলতা দেখা যায়।
একটি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মব জাস্টিস’ (গণপিটুনি) দমনের ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে। এটাকে দমন করার জন্য সরকারের আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কখনো ভালো, আবার কখনো খারাপ হয়েছে। তবে অপরাধ প্রবণতা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে।
তিনি বলেন, যে সমাজে রক্ত ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে, সেখানে এই ধরনের পরিস্থিতি কেন দেখা দিচ্ছে, তা একটি স্বাভাবিক প্রশ্ন। এর ফলে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে। সমাজের অসুস্থতাগুলো আরও প্রকটভাবে প্রকাশ পাচ্ছে এবং অনেকে প্রত্যাশিত মাত্রায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি বলে প্রশ্ন তুলছেন।
এই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে আসিফ নজরুল প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজনৈতিকীকরণকে দায়ী করেন। বিশেষ করে, পুলিশ বাহিনীর রাজনৈতিকীকরণ একটি বড় সমস্যা। তিনি অভিযোগ করেন যে, গোপালগঞ্জ ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অধিকাংশই ছিল আওয়ামী লীগের অনুগত। পরে যারা বঞ্চিত ও অবহেলিত ছিলেন, তাদের বড় পদে বসানো হলেও তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা বা স্বাধীনতা ছিল না। ফলে, পুলিশে পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যাশিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি, যদিও সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ধ্বংসপ্রায়’ একটি প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করতে সময় লাগছে।
তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনা করলে তার ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ বাড়ছে। গত চার মাসে তার বিরুদ্ধে মোট ১৭টি ভিডিও তৈরি করা হয়েছে, এমনকি ২০০ কোটি টাকা সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির অভিযোগেও তাকে জড়ানো হয়েছে।
গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থেকে যে পরিমাণ কটূ-সমালোচনা তাকে শুনতে হয়েছে, তার চেয়ে মাত্র সাত মাসে তিনি আরও বেশি সমালোচনার শিকার হচ্ছেন। এসবের বিরুদ্ধে তিনি কোনো আইনি ব্যবস্থা নেননি, এমনকি কাউকে গ্রেপ্তার করার জন্যও বলেননি।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, আগে বাকস্বাধীনতার প্রতিপক্ষ ছিল স্বৈরাচারী সরকার এবং তাদের দলীয় ক্যাডাররা। কিন্তু এখন এই প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন গোষ্ঠী। একদল অন্য দলকে 'ধর্মপ্রবণ' বা 'ধর্মীয় উন্মাদ' বলছে, আবার অন্য কেউ 'নাস্তিক' বলে আক্রমণ করছে। ভারত-পাকিস্তান-দালাল-শত্রু—এমন নানা ধরনের অভিযোগও ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, বিপ্লবের পর সমাজে এক ধরনের অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলতা দেখা যায়।
একটি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মব জাস্টিস’ (গণপিটুনি) দমনের ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে। এটাকে দমন করার জন্য সরকারের আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কখনো ভালো, আবার কখনো খারাপ হয়েছে। তবে অপরাধ প্রবণতা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে।
তিনি বলেন, যে সমাজে রক্ত ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে, সেখানে এই ধরনের পরিস্থিতি কেন দেখা দিচ্ছে, তা একটি স্বাভাবিক প্রশ্ন। এর ফলে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে। সমাজের অসুস্থতাগুলো আরও প্রকটভাবে প্রকাশ পাচ্ছে এবং অনেকে প্রত্যাশিত মাত্রায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি বলে প্রশ্ন তুলছেন।
এই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে আসিফ নজরুল প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজনৈতিকীকরণকে দায়ী করেন। বিশেষ করে, পুলিশ বাহিনীর রাজনৈতিকীকরণ একটি বড় সমস্যা। তিনি অভিযোগ করেন যে, গোপালগঞ্জ ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অধিকাংশই ছিল আওয়ামী লীগের অনুগত। পরে যারা বঞ্চিত ও অবহেলিত ছিলেন, তাদের বড় পদে বসানো হলেও তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা বা স্বাধীনতা ছিল না। ফলে, পুলিশে পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যাশিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি, যদিও সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ধ্বংসপ্রায়’ একটি প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করতে সময় লাগছে।
তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনা করলে তার ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ বাড়ছে। গত চার মাসে তার বিরুদ্ধে মোট ১৭টি ভিডিও তৈরি করা হয়েছে, এমনকি ২০০ কোটি টাকা সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির অভিযোগেও তাকে জড়ানো হয়েছে।
গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থেকে যে পরিমাণ কটূ-সমালোচনা তাকে শুনতে হয়েছে, তার চেয়ে মাত্র সাত মাসে তিনি আরও বেশি সমালোচনার শিকার হচ্ছেন। এসবের বিরুদ্ধে তিনি কোনো আইনি ব্যবস্থা নেননি, এমনকি কাউকে গ্রেপ্তার করার জন্যও বলেননি।

এই অপরাধের শাস্তি আরপিও ১৯৭২-এর ৭৩ ধারা অনুযায়ী সর্বনিম্ন দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে
১৪ ঘণ্টা আগে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে জাতীয় তহবিলের অর্ধেকেরও বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত
১৬ ঘণ্টা আগে
শিগগিরই আলাদা পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ করবে সরকার। নির্বাচনে স্বাধীনভাবে যাতে পুলিশ বাহিনী কাজ করতে পারে সে জন্য এই কমিশন করার সিদ্ধান্ত
১৬ ঘণ্টা আগে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দিদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে কারা অধিদফতর নিশ্চিত করেছে
১৭ ঘণ্টা আগেএই অপরাধের শাস্তি আরপিও ১৯৭২-এর ৭৩ ধারা অনুযায়ী সর্বনিম্ন দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে জাতীয় তহবিলের অর্ধেকেরও বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত
শিগগিরই আলাদা পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ করবে সরকার। নির্বাচনে স্বাধীনভাবে যাতে পুলিশ বাহিনী কাজ করতে পারে সে জন্য এই কমিশন করার সিদ্ধান্ত
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দিদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে কারা অধিদফতর নিশ্চিত করেছে