বিশেষ প্রতিনিধি
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান খোলস পাল্টানোর অপচেষ্টা করছেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিভিন্ন সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তার বিরুদ্ধে অবিচার করা হচ্ছে বলেও জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন।আওয়ামী সরকারের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী এই আমলা ইনিয়েবিনিয়ে এখন নিজেকে বর্তমান সরকারের সহযোগী দাবি করার চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, নরসিংদীতে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের অপকর্মের বিরুদ্ধে আমার ভূমিকা নরসিংদীর ৯০ ভাগ জনগণই বলবে। তাদের সঙ্গে মিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ঘনিষ্ঠতম হিসেবে আমারই অধীনে এক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সে সময়ের প্রতিমন্ত্রী এবং মেয়রের সহযোগিতায় আমার বিরুদ্ধে মিছিলে নেমেছিল।
তার এমন কথা একেবারেই সত্য নয়। একসময় এই প্রতিমন্ত্রী এবং এই মেয়রের প্রিয়জন ছিলেন তিনি। পরে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। ডিসি থেকে আওয়ামী লীগের লিডার বনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। লুটপাট থেকে শুরু করে এমন হীন কোনো কাজ নেই, যা তিনি করেননি। তিনি তার অধ্যাপিকা মাকেও বিব্রত করেছেন। হেনা হীরুকে ছেড়ে গোপনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন বিদ্রোহী নেতা সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর আশ্রয় নেওয়ার পরই শুরু হয় হট্টোগোল। আর হেনার রাজুর আশ্রয়ে যাওয়ার মূল কারণ ছিল ভালো পোস্টিং। রাজুর ঢাকা ক্লাবের টেবিল পার্টনার ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। আশরাফ ছিলেন তখন জনপ্রশাসনমন্ত্রী। রাজুকে দিয়ে হেনা ভালো পোস্টিং বাগিয়ে নেবেন এই ধান্দাই ছিল তার। যদিও এখন ফেসবুকে আবোলতাবল লিখছেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, দুদককে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে হয়রানি করা হয়েছিল। দুদক কিছু পায়নি। সাবেক মেয়র আতিকের সেই অফিসার নাকি এখন জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন না পাওয়ায় বঞ্চিত হিসেবে এই সরকারের ঘনিষ্ঠতম। এখন আমার পেছনে লেগে আছে। ভাগ্যের পরিহাস।
আসলেই ভাগ্যের পরিহাস। দুদকে অভিযোগ করার কারণে তিনি মায়ের নামে রোকেয়া পদক নিতে পারেননি। ৭০ কোটি টাকার সম্পত্তি ৩৫ লাখ টাকায় সরোজ সাহাকে দিতে পারেননি। মাধবদী গরু বাজারের শতকোটি টাকার জমি বিক্রি করে ভাগবাটোয়ারা করতে পারেননি। একজন অনুগত মেধাবী অফিসারকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়েও প্রমাণ করতে পারেনি।
নরসিংদীর ঘটনায় শাস্তি হিসেবে জেলা প্রশাসক পদ থেকে প্রত্যাহার হওয়ার পর আমাকে সচিবালয়ে পদায়ন না করে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ইপিবিতে জুনিয়র পদে শাস্তিমূলক পোস্টিং দেওয়া হয়, এসবও লিখেছেন। মিথ্যাবাদী সাবেক এই ডিসি নরসিংদী থেকেই যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন। পরে আবার এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যন্ত হন। অথচ এখন বলছেন জুলুমবাজ আওয়ামী সরকার তাকে বঞ্চিত করছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ২০১৪ ও ১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের ২১ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান রয়েছেন। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং কিছুদিন আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
আবু হেনা মোরশেদ জামান নরসিংদীর ডিসি থানাকালীন নানা দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ কারণে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হেনা মোরশেদ জামান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছিলেন। নেতাকর্মীরা ডিসির বিরুদ্ধে ক্রমাগত দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছিলেন।
ওইদিন ডিসির অপসারণ চেয়ে তার কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্লোগানের ভাষা শুনে হতবাক হয়ে যান প্রশাসনের কর্মীরা। এতে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ জুন ফরিদপুর জেলা থেকে নরসিংদীতে যোগ দেন ডিসি আবু হেনা মোরশেদ জামান। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
নরসিংদী ক্লাব লিমিটেডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিরা ডিসিকে নরসিংদীর নাগরিকত্ব দিতে চান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নরসিংদী-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক ডিসিকে একজন অত্যন্ত মেধাবী, সৎ ও ভালো মানুষ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আবু হেনা মোরশেদ জামান সরকারের প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুন্দর ও চমৎকারভাবে করেন। নরসিংদীর মানুষ তাকে ভালোবাসে এবং তিনিও নরসিংদীকে ভালোবাসেন। আমরা তাকে নরসিংদীর নাগরিকত্ব দিতে চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের সংসদ সদস্য নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান শিক্ষা সংস্কৃতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন।
কিন্তু গত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের পর থেকে পাল্টে যেতে থাকে সুসম্পর্কের বাতাস। বইতে থাকে উল্টো হাওয়া। কয়েক দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জেলার ৬১টি ইউনিয়নের সাতটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও একটিতে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হন। এর মধ্যে সদর উপজেলার শীলমান্দি ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল বাকীর। হাজিপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে হারিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউসুফ খান পিন্টু বিজয়ী হন। এই দুটি ইউনিয়নের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে প্রকাশ্যে জাল ভোট, কেন্দ্র দখলসহ নানা অভিযোগ ওঠায় পরবর্তী দফার নির্বাচনে কঠোর অবস্থান নেয় নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসন। ফলে নির্বাচনের ফল ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে যায়। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দূরত্ব শুরু হয়। শিবপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাতিল করাকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধ আরো তুঙ্গে ওঠে।
ডিসির গোপন প্রতিবেদন!
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের একটি গোপন প্রতিবেদন ফাঁস হয়ে যায়। প্রতিবেদনে নরসিংদীর পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুলসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নরসিংদীর ছয়জন সংসদ সদস্যের মধ্যে নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের কামরুল আশরাফ খান পোটন, নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, সংরক্ষিত আসনের এমপি বেগম রহিমা আক্তার এবং জেলা পরিষদের প্রশাসক আসাদুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা বর্তমানে আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির শিকার।
এই প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার পর প্রশাসনের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থাকা নেতাদের বিরোধ অনেকটা প্রকাশ্য রূপ নেয়।
এরই জেরে দলীয় সভায় জেলা প্রশাসনের কোনো কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা জেলা প্রশাসককে বর্জন করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত দুদকের গণশুনানিতে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এলআর ফান্ড, সরকারি জমি বরাদ্দ ও মায়ের নামে রোকেয়া পদকের নাম প্রস্তাবসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
ডিসির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের অপসারণের দাবিতে মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভ থেকে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অপসারণের দাবি জানানো হয়।
প্রতিবেদনে নরসিংদীর পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। যা প্রশাসনের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের বিতর্ক সৃষ্টি করে। এরই জেরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দলীয় সভায় জেলা প্রশাসনের কোনো কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ নভেম্বর দুদকের গণশুনানিতে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এলআর ফান্ড, সরকারি জমি বরাদ্দ ও মায়ের নামে রোকেয়া পদকের নাম প্রস্তাবসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
তবে জেলা প্রশাসক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বলে অভিহিত করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অধীন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন এই গণশুনানির আয়োজন করে।
২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ।
গণশুনানিতে অংশ নেন নরসিংদীর সদর উপজেলার ১১টি দপ্তরের কর্মকর্তারা। দুর্নীতি আক্রান্ত উপজেলার সহস্রাধিক সাধারণ মানুষ নানা ক্ষোভ নিয়ে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসিম উদ্দিন হায়দার।
এ সময় নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। মেয়র বলেন, জেলা প্রশাসক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ৮৫ শতাংশ সরকারি খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। তখন জেলা প্রশাসন কার্যালয় ঘেরাও করে বাধা দেয়ার ফলেই তিনি এ অপকর্ম আর করতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর থেকে শুরু করে সচিবালয় পর্যন্ত তিনি যেখানেই কাজ করেছেন, তার কোনো সহকর্মীর সঙ্গেই তার ভালো সম্পর্ক ছিল না। তার খোঁচাখুঁচি ও দুষ্ট স্বভাব দীর্ঘদিনের। মারাত্মক অহংকারী, লুটপাটকারী, মিথ্যাবাদী, দুর্নীতিবাজ, প্রতিশোধপরায়ণ এই ঘুষখোর কর্মকর্তার স্বভাব অনেকটা ফ্যাসিস্ট হাসিনার মত। তিনি অবিকল হাসিনাকে নকল করতেন। এমন কথাই বলেছেন ফরিদপুর থেকে সচিবালয় পর্যন্ত তার সঙ্গে কাজ করা সহকর্মীরা।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান খোলস পাল্টানোর অপচেষ্টা করছেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বিভিন্ন সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তার বিরুদ্ধে অবিচার করা হচ্ছে বলেও জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন।আওয়ামী সরকারের সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী এই আমলা ইনিয়েবিনিয়ে এখন নিজেকে বর্তমান সরকারের সহযোগী দাবি করার চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, নরসিংদীতে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের অপকর্মের বিরুদ্ধে আমার ভূমিকা নরসিংদীর ৯০ ভাগ জনগণই বলবে। তাদের সঙ্গে মিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ঘনিষ্ঠতম হিসেবে আমারই অধীনে এক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সে সময়ের প্রতিমন্ত্রী এবং মেয়রের সহযোগিতায় আমার বিরুদ্ধে মিছিলে নেমেছিল।
তার এমন কথা একেবারেই সত্য নয়। একসময় এই প্রতিমন্ত্রী এবং এই মেয়রের প্রিয়জন ছিলেন তিনি। পরে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। ডিসি থেকে আওয়ামী লীগের লিডার বনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। লুটপাট থেকে শুরু করে এমন হীন কোনো কাজ নেই, যা তিনি করেননি। তিনি তার অধ্যাপিকা মাকেও বিব্রত করেছেন। হেনা হীরুকে ছেড়ে গোপনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন বিদ্রোহী নেতা সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর আশ্রয় নেওয়ার পরই শুরু হয় হট্টোগোল। আর হেনার রাজুর আশ্রয়ে যাওয়ার মূল কারণ ছিল ভালো পোস্টিং। রাজুর ঢাকা ক্লাবের টেবিল পার্টনার ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। আশরাফ ছিলেন তখন জনপ্রশাসনমন্ত্রী। রাজুকে দিয়ে হেনা ভালো পোস্টিং বাগিয়ে নেবেন এই ধান্দাই ছিল তার। যদিও এখন ফেসবুকে আবোলতাবল লিখছেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, দুদককে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে হয়রানি করা হয়েছিল। দুদক কিছু পায়নি। সাবেক মেয়র আতিকের সেই অফিসার নাকি এখন জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন না পাওয়ায় বঞ্চিত হিসেবে এই সরকারের ঘনিষ্ঠতম। এখন আমার পেছনে লেগে আছে। ভাগ্যের পরিহাস।
আসলেই ভাগ্যের পরিহাস। দুদকে অভিযোগ করার কারণে তিনি মায়ের নামে রোকেয়া পদক নিতে পারেননি। ৭০ কোটি টাকার সম্পত্তি ৩৫ লাখ টাকায় সরোজ সাহাকে দিতে পারেননি। মাধবদী গরু বাজারের শতকোটি টাকার জমি বিক্রি করে ভাগবাটোয়ারা করতে পারেননি। একজন অনুগত মেধাবী অফিসারকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়েও প্রমাণ করতে পারেনি।
নরসিংদীর ঘটনায় শাস্তি হিসেবে জেলা প্রশাসক পদ থেকে প্রত্যাহার হওয়ার পর আমাকে সচিবালয়ে পদায়ন না করে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ইপিবিতে জুনিয়র পদে শাস্তিমূলক পোস্টিং দেওয়া হয়, এসবও লিখেছেন। মিথ্যাবাদী সাবেক এই ডিসি নরসিংদী থেকেই যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেন। পরে আবার এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যন্ত হন। অথচ এখন বলছেন জুলুমবাজ আওয়ামী সরকার তাকে বঞ্চিত করছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ২০১৪ ও ১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের ২১ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান রয়েছেন। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং কিছুদিন আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
আবু হেনা মোরশেদ জামান নরসিংদীর ডিসি থানাকালীন নানা দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ কারণে জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হেনা মোরশেদ জামান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছিলেন। নেতাকর্মীরা ডিসির বিরুদ্ধে ক্রমাগত দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করেছিলেন।
ওইদিন ডিসির অপসারণ চেয়ে তার কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্লোগানের ভাষা শুনে হতবাক হয়ে যান প্রশাসনের কর্মীরা। এতে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ জুন ফরিদপুর জেলা থেকে নরসিংদীতে যোগ দেন ডিসি আবু হেনা মোরশেদ জামান। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
নরসিংদী ক্লাব লিমিটেডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিরা ডিসিকে নরসিংদীর নাগরিকত্ব দিতে চান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নরসিংদী-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক ডিসিকে একজন অত্যন্ত মেধাবী, সৎ ও ভালো মানুষ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আবু হেনা মোরশেদ জামান সরকারের প্রতিটি কাজ অত্যন্ত সুন্দর ও চমৎকারভাবে করেন। নরসিংদীর মানুষ তাকে ভালোবাসে এবং তিনিও নরসিংদীকে ভালোবাসেন। আমরা তাকে নরসিংদীর নাগরিকত্ব দিতে চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের সংসদ সদস্য নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান শিক্ষা সংস্কৃতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন।
কিন্তু গত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের পর থেকে পাল্টে যেতে থাকে সুসম্পর্কের বাতাস। বইতে থাকে উল্টো হাওয়া। কয়েক দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জেলার ৬১টি ইউনিয়নের সাতটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও একটিতে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হন। এর মধ্যে সদর উপজেলার শীলমান্দি ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল বাকীর। হাজিপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে হারিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউসুফ খান পিন্টু বিজয়ী হন। এই দুটি ইউনিয়নের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে প্রকাশ্যে জাল ভোট, কেন্দ্র দখলসহ নানা অভিযোগ ওঠায় পরবর্তী দফার নির্বাচনে কঠোর অবস্থান নেয় নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসন। ফলে নির্বাচনের ফল ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে যায়। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দূরত্ব শুরু হয়। শিবপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাতিল করাকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধ আরো তুঙ্গে ওঠে।
ডিসির গোপন প্রতিবেদন!
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের একটি গোপন প্রতিবেদন ফাঁস হয়ে যায়। প্রতিবেদনে নরসিংদীর পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুলসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নরসিংদীর ছয়জন সংসদ সদস্যের মধ্যে নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের কামরুল আশরাফ খান পোটন, নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, সংরক্ষিত আসনের এমপি বেগম রহিমা আক্তার এবং জেলা পরিষদের প্রশাসক আসাদুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা বর্তমানে আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির শিকার।
এই প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার পর প্রশাসনের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বে থাকা নেতাদের বিরোধ অনেকটা প্রকাশ্য রূপ নেয়।
এরই জেরে দলীয় সভায় জেলা প্রশাসনের কোনো কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা জেলা প্রশাসককে বর্জন করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত দুদকের গণশুনানিতে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এলআর ফান্ড, সরকারি জমি বরাদ্দ ও মায়ের নামে রোকেয়া পদকের নাম প্রস্তাবসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
ডিসির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের অপসারণের দাবিতে মিছিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভ থেকে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অপসারণের দাবি জানানো হয়।
প্রতিবেদনে নরসিংদীর পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। যা প্রশাসনের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের বিতর্ক সৃষ্টি করে। এরই জেরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দলীয় সভায় জেলা প্রশাসনের কোনো কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ নভেম্বর দুদকের গণশুনানিতে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে এলআর ফান্ড, সরকারি জমি বরাদ্দ ও মায়ের নামে রোকেয়া পদকের নাম প্রস্তাবসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
তবে জেলা প্রশাসক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বলে অভিহিত করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অধীন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন এই গণশুনানির আয়োজন করে।
২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ।
গণশুনানিতে অংশ নেন নরসিংদীর সদর উপজেলার ১১টি দপ্তরের কর্মকর্তারা। দুর্নীতি আক্রান্ত উপজেলার সহস্রাধিক সাধারণ মানুষ নানা ক্ষোভ নিয়ে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসিম উদ্দিন হায়দার।
এ সময় নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। মেয়র বলেন, জেলা প্রশাসক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ৮৫ শতাংশ সরকারি খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। তখন জেলা প্রশাসন কার্যালয় ঘেরাও করে বাধা দেয়ার ফলেই তিনি এ অপকর্ম আর করতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর থেকে শুরু করে সচিবালয় পর্যন্ত তিনি যেখানেই কাজ করেছেন, তার কোনো সহকর্মীর সঙ্গেই তার ভালো সম্পর্ক ছিল না। তার খোঁচাখুঁচি ও দুষ্ট স্বভাব দীর্ঘদিনের। মারাত্মক অহংকারী, লুটপাটকারী, মিথ্যাবাদী, দুর্নীতিবাজ, প্রতিশোধপরায়ণ এই ঘুষখোর কর্মকর্তার স্বভাব অনেকটা ফ্যাসিস্ট হাসিনার মত। তিনি অবিকল হাসিনাকে নকল করতেন। এমন কথাই বলেছেন ফরিদপুর থেকে সচিবালয় পর্যন্ত তার সঙ্গে কাজ করা সহকর্মীরা।
বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৮২ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
৯ ঘণ্টা আগেতথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। আজ মঙ্গলবার উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। নতুন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যায়। আগামী শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করছে নতুন রাজনৈতিক দল।
১৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পিলখানায় বীর সেনা সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর অনেকগুলো বছর ধরে জাতি হিসেবে আমাদের নানা বিভ্রান্তিতে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই নির্মমতার সুবিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ।
১৬ ঘণ্টা আগেআওয়ামী সরকারে আমলে রাতারাতী ধনী হয়ে যান লক্ষিপুরের এক দম্পতি। গড়েন সম্পদের পাহাড়। এই দম্পত্তির কোম্পানির নাম ফাস্ট এস এস এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন আবু সাদেক ও চেয়ারম্যান হয়েছেন তার প্রিয়তমা স্ত্রী হালিমা আইরীন।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৮২ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। আজ মঙ্গলবার উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। নতুন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা যায়। আগামী শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করছে নতুন রাজনৈতিক দল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পিলখানায় বীর সেনা সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর অনেকগুলো বছর ধরে জাতি হিসেবে আমাদের নানা বিভ্রান্তিতে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এই নির্মমতার সুবিচার নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ।
আওয়ামী সরকারে আমলে রাতারাতী ধনী হয়ে যান লক্ষিপুরের এক দম্পতি। গড়েন সম্পদের পাহাড়। এই দম্পত্তির কোম্পানির নাম ফাস্ট এস এস এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন আবু সাদেক ও চেয়ারম্যান হয়েছেন তার প্রিয়তমা স্ত্রী হালিমা আইরীন।