রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
জাতীয়
আইন-বিচার

জিকে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, মা খালাস

২৯৭ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২: ৪৬
logo

জিকে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, মা খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২: ৪৬
Photo
ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের পাঁচ বছর ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। একই মামলায় আদালত তাঁর মা আয়েশা আক্তারকে খালাস দিয়েছেন।

এ ছাড়া, জিকে শামীমের ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এসব তথ্য জানান।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে সাজা দিয়েছেন। আমরা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও বিজ্ঞ আদালত তাঁকে এই অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা তা কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে।’

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিলো। ওইদিন জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি, সাফাই সাক্ষ্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২০ মার্চ আবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।

এর আগে, ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর শামীম ও তাঁর মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালত এ মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। যার মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।

এজাহার থেকে জানা যায়, জিকে শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক।

এছাড়া, শামীমের বাসা থেকে উদ্ধার করা নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ছাড়াও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তাঁর মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক।

অনুসন্ধানে শামীমের মায়েরও বৈধ আয়ের কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ মোট ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলাটি দায়ের করেন।

Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের পাঁচ বছর ৬ মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। একই মামলায় আদালত তাঁর মা আয়েশা আক্তারকে খালাস দিয়েছেন।

এ ছাড়া, জিকে শামীমের ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এসব তথ্য জানান।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে সাজা দিয়েছেন। আমরা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও বিজ্ঞ আদালত তাঁকে এই অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা তা কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে।’

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিলো। ওইদিন জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন শুনানি, সাফাই সাক্ষ্য এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২০ মার্চ আবার রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।

এর আগে, ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর শামীম ও তাঁর মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালত এ মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। যার মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।

এজাহার থেকে জানা যায়, জিকে শামীম ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক।

এছাড়া, শামীমের বাসা থেকে উদ্ধার করা নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ছাড়াও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তাঁর মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরও ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক।

অনুসন্ধানে শামীমের মায়েরও বৈধ আয়ের কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ মোট ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলাটি দায়ের করেন।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

আইন-বিচার নিয়ে আরও পড়ুন

ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান মারা গেছেন

ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান মারা গেছেন

ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান মারা গেছেন।

৩৩ মিনিট আগে
জুলাই হত্যাকাণ্ড: সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ৩৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

জুলাই হত্যাকাণ্ড: সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ৩৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

আজ রোববার (২০ জুলাই) সকালে পৃথক প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

২ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

গোপালগঞ্জে আবারও বাড়ানো হয়েছে কারফিউয়ের সময়সীমা। আজ শনিবার রাত ৮টা থেকে আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জেলায় কারফিউ বলবৎ থাকবে।

১৯ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: প্রেস সচিব

নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: প্রেস সচিব

নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তাতে কোনো রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকার সুযোগ থাকবে না এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।

১ দিন আগে
ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান মারা গেছেন

ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান মারা গেছেন

ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান মারা গেছেন।

৩৩ মিনিট আগে
জুলাই হত্যাকাণ্ড: সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ৩৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

জুলাই হত্যাকাণ্ড: সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ৩৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

আজ রোববার (২০ জুলাই) সকালে পৃথক প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

২ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

গোপালগঞ্জে আবারও বাড়ানো হয়েছে কারফিউয়ের সময়সীমা। আজ শনিবার রাত ৮টা থেকে আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জেলায় কারফিউ বলবৎ থাকবে।

১৯ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: প্রেস সচিব

নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: প্রেস সচিব

নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তাতে কোনো রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকার সুযোগ থাকবে না এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।

১ দিন আগে