মানিকগঞ্জ
নিজ কন্যাশিশুকে ধর্ষণের দায়ে এক বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ হামিদ এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু যশোর সদর উপজেলার নওদাগ্রাম ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুর রহমান হাওলাদারের ছেলে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘পিতার পরিচয়ে যে নরপিশাচ আত্মগোপন করেছিল, তার অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমাজে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে।’
আদালত সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী কন্যাশিশুটি বাবা-মায়ের সঙ্গে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ভাড়া বাসায় থাকত। ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বাবা আনোয়ার হোসেন তার নয় বছর বয়সী মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন।
পরদিন শিশুটি মাকে ঘটনাটি জানালে, তার মা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে আনোয়ার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার চান।
মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শিশু নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে সমাজে সচেতনতা ও বিচারিক সাহস দুই-ই বাড়বে।’
আইনজীবী ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, পারিবারিক পরিবেশে সংঘটিত এমন অপরাধ শিশুর জীবনে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক প্রভাব ফেলে। এই ধরনের মামলায় দ্রুত বিচার ও পুনর্বাসনের বিষয়টি সমান গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর সুরক্ষায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একযোগে দায়িত্ব নিতে হবে।
নিজ কন্যাশিশুকে ধর্ষণের দায়ে এক বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ হামিদ এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু যশোর সদর উপজেলার নওদাগ্রাম ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আব্দুর রহমান হাওলাদারের ছেলে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘পিতার পরিচয়ে যে নরপিশাচ আত্মগোপন করেছিল, তার অপরাধ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমাজে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে।’
আদালত সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী কন্যাশিশুটি বাবা-মায়ের সঙ্গে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ভাড়া বাসায় থাকত। ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বাবা আনোয়ার হোসেন তার নয় বছর বয়সী মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন।
পরদিন শিশুটি মাকে ঘটনাটি জানালে, তার মা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। আদালতে অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে আনোয়ার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার চান।
মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘শিশু নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এতে সমাজে সচেতনতা ও বিচারিক সাহস দুই-ই বাড়বে।’
আইনজীবী ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, পারিবারিক পরিবেশে সংঘটিত এমন অপরাধ শিশুর জীবনে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক প্রভাব ফেলে। এই ধরনের মামলায় দ্রুত বিচার ও পুনর্বাসনের বিষয়টি সমান গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর সুরক্ষায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একযোগে দায়িত্ব নিতে হবে।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই মীর নাসিরউদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালউদ্দিনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন
২ দিন আগেবৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন
২ দিন আগেযখন র্যাব পরিচালিত টিএফআই সেলে ব্যারিস্টার আরমানকে আটকের বিষয়ে জানতে পেরেছেন, তখন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা
২ দিন আগেগত এক বছরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে ঝুলে থাকা প্রায় সাড়ে ৯ লাখ এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি করেছে ইসি
২ দিন আগেঅবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই মীর নাসিরউদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালউদ্দিনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন
যখন র্যাব পরিচালিত টিএফআই সেলে ব্যারিস্টার আরমানকে আটকের বিষয়ে জানতে পেরেছেন, তখন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা
গত এক বছরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে ঝুলে থাকা প্রায় সাড়ে ৯ লাখ এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি করেছে ইসি