তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে স্থায়ী সমাধান চান আপিল বিভাগ

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে কার্যকর একটি সমাধান প্রয়োজন, যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিয়ে সাময়িক সমাধান দিতে চায় না আপিল বিভাগ; এটি যাতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখে সেটিই করা হবে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা চারটি রিভিউ আবেদনের দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দেই এটি কবে থেকে কার্যকর হবে?

এদিন সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া রায়ের দ্বিতীয় দিনের রিভিউ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করছেন।

শুনানির শুরুতে বক্তব্য অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো ছিল সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক। জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগ এ ব্যবস্থা বাতিল করায় নির্বাচনব্যবস্থায় ধস নামে। এর ফলে ‘‘দিনের ভোট রাতে’’, ডামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন এবং বহু সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।’

এর আগে, সোমবারের শুনানিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের রায়ের নানা ত্রুটি তুলে ধরেন আইনজীবীরা। তাদের দাবি, এ রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে মত দেয়া চারজন বিচারপতিই পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি হন। আর একই বেঞ্চে যারা এর পক্ষে ছিলেন, তারা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হন।

এদিকে, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এখন রিভিউ আবেদনকারীর আইনজীবীদের বক্তব্য শুনানি চলছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

আইন-বিচার নিয়ে আরও পড়ুন

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেছেন, বর্তমান সরকারের নানা কার্যক্রমে দেশের মানুষ সন্দিহান হয়ে পড়েছে। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ প্রকাশ না করা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়

৫ ঘণ্টা আগে

দেশের প্রাণীজ প্রোটিনের বড় অংশ আসে মাছ, ডিম ও অন্যান্য প্রাণীজাত পণ্য থেকে, যা মূলত ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদন করছেন এবং তাদের বেশিরভাগই নারী। কিন্তু তাদের এই অবদান নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এখনো যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না

৭ ঘণ্টা আগে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী যাচাই বাছাই করছে

৮ ঘণ্টা আগে

ভবিষ্যতে এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নাগরিকরা দেশের রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে। দেশের ক্রান্তিকালে প্রয়োজনে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে

৯ ঘণ্টা আগে